গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসন
গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসন (জিটিএ) হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলের আধা-স্বশাসিত প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ। জিটিএ ১৯৮৮ সালে স্থাপিত এবং ২৩ বছর ধরে দার্জিলিং পাহাড়ের প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা পূর্বতন দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে। জিটিএ-এর অন্তর্ভুক্ত দার্জিলিং জেলার তিনটি পার্বত্য মহকুমার (দার্জিলিং সদর, কালিম্পং যা বর্তমানে কালিম্পং জেলার অন্তর্গত ও কার্শিয়াং) সম্পূর্ণ অংশ এবং সমতলের শিলিগুড়ি মহকুমার অংশবিশেষ।
গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসন गोर्खाल्याण्ड क्षेत्रीय प्रशासन | |
---|---|
স্বশাসিত পর্ষদ | |
![]() সীলমোহর | |
![]() ![]() দার্জিলিং ![]() ![]() দার্জিলিং | |
স্থানাঙ্ক: ২৭.০৩° উত্তর ৮৮.১৬° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | দার্জিলিং, কালিম্পং |
প্রতিষ্ঠিত | ১৪ মার্চ ২০১২ |
সদর দফতর | দার্জিলিং |
অধীভুক্ত অঞ্চল | দার্জিলিং সদর মহকুমা, কার্শিয়াং মহকুমা, মিরিক মহকুমা, শিলিগুড়ি মহকুমা (কিছু অংশ), কালিম্পং জেলা |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | অনিত থাপা |
আয়তন | |
• মোট | ৩,৩০৩.৯৮ বর্গকিমি (১,২৭৫.৬৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ৮,৭৮,০০২ |
• জনঘনত্ব | ২৭০/বর্গকিমি (৬৯০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• অফিসিয়াল | নেপালী এবং ইংরেজী |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
ওয়েবসাইট | http://gtadmin.org |

প্রেক্ষাপট
উত্তর পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং ও ডুয়ার্স অঞ্চলের নেপালি-ভাষাভাষী গোর্খা জনগোষ্ঠী নিজেদের জন্য যে স্বতন্ত্র রাজ্যের দাবি করছিলেন, তার প্রস্তাবিত নাম ছিল গোর্খাল্যান্ড। গোর্খাল্যান্ড নামটি গোর্খা ন্যাশানাল লিবারেশন ফ্রন্ট নেতা সুভাষ ঘিসিং-এর দেওয়া। উল্লেখ্য, ঘিসিং ১৯৮০-এর দশক থেকে গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে সহিংস আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন।[1] ১৯৮৮ সালে দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পর্ষদ (ডিজিএইচসি) স্থাপিত হলে আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে। কিন্তু ডিজিএইচসি দার্জিলিং-এর পাহাড়বাসীদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় সুভাষ ঘিসিং-এর পতন ঘটে।[2] ২০০৭ সালে বিমল গুরুং-এর নেতৃত্বে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (জিজেএম) নামে অপর একটি রাজনৈতিক দল গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে দ্বিতীয় আন্দোলন শুরু করে।
জিটিএ গঠন
গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে তিন বছর আন্দোলনের পরে জিজেএম রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর দার্জিলিং পাহাড়ের জন্য একটি আধা-স্বশাসিত পর্ষদ স্থাপনে রাজি হয়।[3] পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় শীঘ্রই জিটিএ গঠনের জন্য একটি বিল পেশ করা হবে। জিটিএ-এর প্রশাসনিক, কার্যনির্বাহী ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা থাকলেও আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে না।
চুক্তি স্বাক্ষর
২০১১ সালের ১৮ জুলাই শিলিগুড়ির কাছে পিনটেল ভিলেজে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জিজেএম নেতৃত্ববর্গের উপস্থিতিতে[4] জিটিএ গঠনের চুক্তি সাক্ষরিত হয়।[5] পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব জ্ঞানদত্ত গৌতম, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র যুগ্মসচিব কে কে পাঠক ও জিজেএম সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি চুক্তিতে সই করেন।[6]
তথ্যসূত্র
- "Interview with Subhash Ghisingh"। ১২ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১১।
- "Subhas Ghising resigns"। ১৯ মার্চ ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১১।
- Darjeeling issue solved: Mamata
- https://archive.is/20120724010152/timesofindia.indiatimes.com/india/Darjeeling-tripartite-pact-signed-for-Gorkhaland-Territorial-Administration/articleshow/9263963.cms Darjeeling tripartite pact signed for Gorkhaland Territorial Administration
- Full Text of GTA MoA http://www.darjeelingtimes.com/images/stories/news_images/2011/jul11/jul15/finalmos.pdf%5B%5D
- http://news.outlookindia.com/item.aspx?728097 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ জুলাই ২০১১ তারিখে Gorkhaland Territorial Administration Agreement Signed