গেরহার্ট হাউপ্টমান
গেরহার্ট হাউপ্টমান (নভেম্বর ১৫, ১৮৬২-জুন ৬, ১৯৪৬) নোবেলজয়ী জার্মান নাট্যকার এবং ঔপন্যাসিক। তার নাটকগুলো জার্মান সাহিত্যে এখনও ধ্রুপদী সৃষ্টিকর্ম হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯১২ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৪৬ সালে পোল্যান্ডে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
গেরহার্ট হাউপ্টমান | |
---|---|
জন্ম | সাইলেসিয়া, প্রুশিয়া | ১৫ নভেম্বর ১৮৬২
মৃত্যু | ৬ জুন ১৯৪৬ ৮৩) পোল্যান্ড | (বয়স
পেশা | নাট্যকার |
জাতীয়তা | জার্মান |
সাহিত্য আন্দোলন | Naturalism |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | দ্য উইভার্স, দ্য র্যাটস |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ১৯১২ |
স্বাক্ষর |
জীবন ও কর্ম
গেরহার্ট হাউপ্টমান ১৮৬২ সালে প্রুশিয়ার সাইলেসিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। হাউপ্টমান তার বাবা-মা বহু কষ্টে স্কুলে ভর্তি করেন। লেখাপড়ার প্রতি হাউপ্টমানের প্রচণ্ড অনীহা ছিল। লেখাপড়ায় অনীহা দেখে তার বাবা খুব কমবয়সে তার এক আত্মীয়ের ফার্মের কাজে লাগিয়ে দেন। পরবর্তীকালে হাউপ্টমান ফার্মের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ভাস্কর্য শিল্প নিয়ে পড়াশোনার জন্য একটি অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হন। কিছুদিন পড়ার পর তিনি অ্যাকাডেমি ছেড়ে ইতালির জেনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে তিনি ইতিহাসের উপর পড়াশোনা করেন। ১৮৮৩ থেকে ১৮৮৪-এর মধ্যবর্তী সময়ে তিনি ইতালিতে কাটান। জেনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে তিনি হোটেল ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। ১৮৮৫ সালের মে মাসে তিনি মারিয়া নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে জার্মানীর বার্লিনে বসবাস করা শুরু করেন এবং সাহিত্যকর্মে মনোনিবেশ করেন। তখন থেকেই আধুনিক নাট্যকার হিসেবে তিনি মোটামুটি খ্যাতি অর্জন করেন।
গেরহার্ট হাউপ্টমান তার জীবদ্দশায় প্রচুর নাটক লিখে গেছেন। বিফোর ডন এবং লোনলি সোলস তার দু'টি বিখ্যাত নাটক। তার অমর সৃষ্টি দ্য উইভার্স নাটকটি। সে সময়ে নাটকটি বেশ দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এ সময় তিনি মার্গারেট নামের এক বিদুষী মহিলাকে ভালবেসে বিয়ে করেন। মার্গারেট ছিলেন হাউপ্টমানের প্রেরণা। মার্গারেটকে বিয়ে করার এগার বছর পর তিনি প্রথম স্ত্রী মারিয়ার সাথে বিচ্ছেদ ঘটান। পরবর্তীকালে তিনি দ্য সাংকেন বেল, বুক অব প্যাশন এবং দ্য গ্রেট ড্রিম-এর মত বিখ্যাত রচনাগুলো সৃষ্টি করেন।
বহিঃসংযোগ
- The Nobel Prize Bio on Hauptmann
- গুটেনবের্গ প্রকল্পে Gerhart Hauptmann-এর সাহিত্যকর্ম ও রচনাবলী (ইংরেজি)
- Authors' Calendar