গুলজার আহমদ চৌধুরী
গুলজার আহমদ চৌধুরী বাংলাদেশি রাজনিতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[1][2][3]
গুলজার আহমদ চৌধুরী | |
---|---|
সুনামগঞ্জ-৩-এর সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ – জুন ১৯৯৬ | |
পূর্বসূরী | আব্দুস সামাদ আজাদ |
উত্তরসূরী | আব্দুস সামাদ আজাদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৩৭ হাতিয়া গ্রাম, দিরাই, সুনামগঞ্জ, বাংলাদেশ |
মৃত্যু | ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ঢাকা, বাংলাদেশ |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
দাম্পত্য সঙ্গী | সৈয়দা জেবুন্নেছা খাতুন |
সন্তান | দুই মেয়ে, এক ছেলে |
জীবিকা | রাজনীতিবিদ |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
গুলজার আহমদ ১৯৩৭ সালে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের হাতিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার স্ত্রী সৈয়দা জেবুনেছা খাতুন কিশোরী মোহন বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। গুলজার দম্পতি এক ছেলে ও দুই কন্যা।[4]
তিনি জগন্নাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৬ সালে মেট্রিক পরীক্ষা পাশ করে সুনামগঞ্জ কলেজে ভর্তি হন। তার রাজনৈতিক কর্মকান্ডের ফলে তৎকালীন সরকারী (মুসলিমলীগ) আদেশে তিনি কলেজ থেকে বহিস্কৃত হন এবং ১৯৫৮ সালে তিনি কারাগার থেকে পরীক্ষা দিয়ে আই.এ পাশ করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি এম সি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৬৪ সালে তিনি বি.এ পরীক্ষা দিয়ে রাজনীতিতে বেশী সক্রিয় থাকায় অকৃতকার্য হলে ১৯৬৬ সালে তিনি মাদারীপুর সরকারি কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন তবে কোন পরীক্ষা দেন নি।[4]
রাজনৈতিক জীবন
গুলজার আহমদ স্কুল জীবন থেকে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬২ সালে সিলেটে সামরিক আইন বিরোধী আন্দোলন সংগঠনে অত্যন্ত বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৩ সালে সিলেট জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে ১৯৬৩ সালে তিনি এই সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬৫ সালে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। তার সভাপতিত্বে সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সভাপতি ও সাইফ উদ্দিন আহমদ মানিক ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৬-৬৯ সালে তিনি সিলেট মহকুমা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি প্রথমে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক, পরে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন।[4]
১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি মেঘালয়ের “বালাট ইয়থ” ক্যাম্পের প্রধান হিসাবে কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে ১৯৭২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন সিলেট জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৭৫ সালে ‘বাকশাল’ গঠিত হলে তিনি ‘বাকশালে’ যোগ দেন। পরে ন্যাপ ভেঙে যায় এবং গণতন্ত্রী পার্টি গঠিত হলে তিনি গণতন্ত্রী পার্টির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৫ সালে তিনি বিএনপিতে যোগদান করে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[1][2][3] এর পর আর রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না।[4]
তথ্যসূত্র
- "৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- "আ'লীগে মান্নান এগিয়ে জোটের দুশ্চিন্তায় বিএনপি"। Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২৫।
- sylhetview24.com। "সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে ২১ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ"। www.sylhetview24.net। ২০১৯-০৮-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২৫।
- তবারক হোসেইন (২৯ নভেম্বর ২০১৯)। "চলে গেলেন গুলজার আহমেদ"। দৈনিক প্রথম আলো। ১২ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০২১।
- sylhetview24.com। "স্ত্রীর লাশ দাফনের প্রস্তুতি কালে সুনামগঞ্জের সাবেক এমপির মৃত্যু"। www.sylhetview24.net। ২০১৯-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৬।
- "স্ত্রীকে দাফনের প্রস্তুতির সময় সাবেক এমপি গুলজারের মৃত্যু | Purboposhchimbd"। Purboposchim। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৬।