গুমা রেলওয়ে স্টেশন

গুমা রেলওয়ে স্টেশন পূর্ব রেলওয়ে অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের শিয়ালদহ বনগাঁ রেলপথের একটি রেলওয়ে স্টেশন । এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার গুমা শহরে অবস্থিত।


গুমা
যাত্রীবাহী ট্রেন স্টেশন
অবস্থানগুমা, উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা, পশ্চিমবঙ্গ
ভারত
মালিকানাধীনভারতীয় রেল
পরিচালিতপূর্ব রেল
লাইনশিয়ালদহ বনগাঁ রেলপথ
প্ল্যাটফর্ম
রেলপথ
নির্মাণ
গঠনের ধরনভূমিগত স্টেশন
পার্কিংনা
অন্য তথ্য
অবস্থাসক্রিয়
স্টেশন কোড
অঞ্চল পূর্ব রেল
বিভাগ শিয়ালদহ
ইতিহাস
বৈদ্যুতীকরণহ্যাঁ
আগের নামবেঙ্গল সেন্ট্রাল রেলওয়ে কোম্পানি
পরিষেবা
পূর্ববর্তী স্টেশন   ভারতীয় রেলওয়ে   পরবর্তী স্টেশন
পূর্ব রেল
অবস্থান
মানচিত্র

অবস্থান

গুমা রেলওয়ে স্টেশন উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার গুমাতে অবস্থিত। এই স্টেশন থেকে পরবর্তী স্টেশন হল - অশোকনগর রোড রেলওয়ে স্টেশন এবং পূর্ববর্তী স্টেশন হল বিড়া রেলওয়ে স্টেশন

ইতিহাস

১৮৮২-৮৪ সালে বেঙ্গল সেন্ট্রাল রেলওয়ে কোম্পানি দমদম থেকে খুলনা পর্যন্ত একটি রেলপথ নির্মাণ করে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে রয়েছে এই লাইনের কিছু অংশ। এই রেলপথের ভারতীয় অংশের শিয়ালদহ এবং বনগাঁ স্টেশনের মধ্যে যাত্রী রেল পরিষেবা চালু রয়েছে। শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট পর্যন্ত পূর্ববাংলা রেলওয়ে প্রধান লাইনটি ১৮৬২ সালে খোলা হয় এবং দুই মাসের মধ্যে বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় প্রসারিত হয়।[1][1][2] এর পর শিয়ালদহ বনগাঁ রেলপথকে শিয়ালদহ রানাঘাট রেলপথের সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে ১৮৮২-৮৪ সালে বেঙ্গল সেন্ট্রাল রেলওয়ে কোম্পানি রাণাঘাট বনগাঁ রেলপথ নির্মাণ করে।[1]

রেলপথ

গুমা রেলওয়ে স্টেশনটি কলকাতা জেলাউত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার মধ্যে বিস্তৃত শিয়ালদহ বনগাঁ রেলপথের মধ্যে অবস্থিত। এই রেলপথটি শিয়ালদহ থেকে দমদম পর্যন্ত ৪ টি, দমদম থেকে বনগাঁ পর্যন্ত ২ টি রেললাইন বা রেল ট্র্যাক দ্বার গঠিত।

পরিকাঠাম

স্টেশনটির পরিকাঠাম ভূমিগত। এই স্টেশনে ২ টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। গুমা রেলওয়ে স্টেশনে ২ টি রেললাইন বা রেলট্র্যাক রয়েছে। স্টেশনে স্টেশন পরিচালনার জন্য ভবন ও স্টেশন মাষ্টারে ভবন ১ নং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেই অবস্থিত। বর্তমানে স্টেশন মাস্টার এর ঘর যেখান থেকে স্টেশন পরিচালিত হয় নবনির্মিত ভবন এ স্থানান্তর করা হয়েছে যা স্টেশন সংলগ্ন রেল গেট এর পাশে অবস্থিত। যাত্রীদের রেল ভ্রমণের জন্য টিকিট 1 নম্বর স্টেশনের টিকিট ঘর থেকে প্রদান করা হয়। এইখানে দুটি টিকিট কাউন্টার আছে।রিজার্ভভেশন এর সুবিধা এই স্টেশন এ বর্তমানে নেই।স্টেশনে যাত্রী সুবিধার জন্য বসার আসন, প্ল্যাটফর্ম ছাউনি, পানীয় জল এর ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও প্লাটফর্মে নবনির্মিত শৌচাগার আছে যেখানে বিশেষ সুবিধার ব্যাক্তিদের জন্য শৌচাগার আছে।চাবি স্টেশন মাস্টার এর কাছে থাকে। স্টেশনে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা নেই। কিন্তু সদ্য রেলওয়ে অনুমোদন প্রাপ্ত সাইকেল বাইক রাখার গ্যারেজে বা পার্কি নির্মাণ করা হয়েছে। যা রাত 11 টা অবধি খোলা থাকে।

গুমা রেলওয়ে স্টেশন ব্যাগ বা যাত্রীদের দ্বারা বহন করা জিনিসপত্রের পরীক্ষায় ব্যবস্থা নেই।

বৈদ্যুতীকরণ

গুমা রেলওয়ে স্টেশনের রেলপথে বৈদ্যুতীক ট্রেন চলাচল করে।

রেল পরিষেবা

এই স্টেশনটি স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় রেল পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এই স্টেশনের দ্বারা বনগাঁ এবং শিয়ালদা, বারাসাত ও মাঝেরহাটগামী ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন এই স্টেশনে কলকাতা শহরতলি রেলের লোকাল ট্রেনগুলি ট্রেন যাত্রী পরিষেবা প্রদান করে থাকে।

প্রশাসন ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা

গুমা রেলওয়ে স্টেশনটি ভারতীয় রেলের পূর্ব রেল অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের অন্তর্গত। স্টেশন পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব স্টেশনের প্রধান "স্টেশন মাষ্টার" - এর উপর ন্যস্ত। এছাড়া স্টেশনের নিরাপত্তার জন্য অস্থায়ী ভাবে ভ্রাম্যমাণ জিআরপি কর্মী নিযুক্ত রয়েছে এবং স্টেশন চত্বর ও সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন প্রদান করে থাকে।

তথ্যসূত্র

  1. "The Chronology of Railway development in Eastern Indian"। railindia। ২০১২-০৮-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০
  2. J.H.E.Garrett। "Nadia, Bengal District Gazetteers (1910)"IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.