গুন্মা প্রশাসনিক অঞ্চল
গুন্মা প্রশাসনিক অঞ্চল (群馬県? গুন্মা কেন্) হল জাপানের বৃহত্তম দ্বীপ হোনশুর কান্তোও অঞ্চলের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[1] এর রাজধানী মায়েবাশি নগর।[2]
গুন্মা প্রশাসনিক অঞ্চল 群馬県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 群馬県 |
• রোমাজি | Gunma-ken |
পতাকা গুন্মা প্রশাসনিক অঞ্চলের প্রতীক | |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | কান্তোও |
দ্বীপ | হোনশু |
রাজধানী | মায়েবাশি |
আয়তন | |
• মোট | ৬,৩৬২.৩৩ বর্গকিমি (২,৪৫৬.৫১ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ২১শ |
জনসংখ্যা (১লা মে, ২০১৫) | |
• মোট | ১৯,৭১,১৯৫ |
• ক্রম | ১৯শ |
• জনঘনত্ব | ৩১০/বর্গকিমি (৮০০/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-10 |
জেলা | ৭ |
পৌরসভা | ৩৫ |
ফুল | জাপানি অ্যাজালিয়া (রোডোডেন্ড্রন জাপোনিকাম) |
গাছ | জাপানি কালো পাইন (পাইনাস থানবার্জিয়াই) |
পাখি | তাম্র দোয়েল (ফেজিয়ানুস সোমেরিঞ্জিয়াই) |
মাছ | সুইটফিশ (প্লেকোগ্লসাস অল্টিভেলিস) |
ওয়েবসাইট | www.pref.gunma.jp |
ইতিহাস
গুন্মা কথার মানে “ঘোড়ার দল”। খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর আগে পর্যন্ত জাপানে ঘোড়া ছিল না। প্রাচীন গুন্মা প্রদেশ এশীয় মূল ভূখণ্ড থেকে আগত জনসাধারণের ঘোড়া প্রজনন ও ব্যবসার প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠে। এই সময়ের পর থেকেই পদাতিকতার প্রাচীন য়ায়োই নিয়মকে নস্যাৎ করে দিয়ে জাপানি যুদ্ধনীতিতে ঘোড়া এক অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে ওঠে।
এখানে ষষ্ঠ শতাব্দীতে হারুনা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় জাপান প্রাগৈতিহাসিক পর্যায়েই ছিল। ১৯৯৪ খ্রিঃ গুন্মা প্রশাসনিক আঞ্চলিক প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ ছাইচাপা প্রবালের নমুনা থেকে এই অগ্ন্যুৎপাতের কালনির্ণয়ে সমর্থ হয়।
জাপানের ইতিহাসের অধিকাংশ সময় জুড়ে গুন্মা অঞ্চলটি কোযুকে প্রদেশ নামে পরিচিত ছিল। জাপান ও বহির্বিশ্বের আধুনিক যোগাযোগের সময় অর্থাৎ এদো যুগের অব্যবহিত আগে বিদেশীরা অঞ্চলটিকে জোওশু রাজ্য নামে চিনত।[3]
১৮৭০ এর দশকে ইতালীয় ও ফরাসি সাহায্যে এখানে জাপানের প্রথম আধুনিক রেশম কারখানা স্থাপিত হয়।
মেইজি যুগের প্রথমে ১৮৮৪ খ্রিঃ গুন্মা ও নাগানোয় আদর্শবাদী পাশ্চাত্য-অনুরাগী ও রক্ষণশীল জাতীয়তাবাদী দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। একে স্থানীয়ভাবে বলা হয় গুন্মা ঘটনা। এই বিদ্রোহ দমন করতে প্রথম আধুনিক জাপানি মুরাতা রাইফেল ব্যবহার করা হয়।
বিংশ শতাব্দীতে গুন্মার ওইযুমির বায়ুসেনা অধিকর্তা নাকাজিমা চিকুশি নাকাজিমা এয়ারক্রাফট কোম্পানি স্থাপন করেন। প্রথমে বিদেশী মডেলে উড়োজাহাজ বানালেও ১৯৩১ খ্রিঃ দেশীয় নকশায় তিনি বানান নাকাজিমা ৯১ যুদ্ধবিমান। এই সময় থেকে তার কোম্পানি আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ নির্মাণে বিশিষ্ট স্থান দখল করে নেয়। এই কোম্পানির মূল দপ্তর ছিল গুন্মা প্রশাসনিক অঞ্চলের ওতায়।
ভূগোল
গুন্মা জাপানের আটটি স্থলবেষ্টিত প্রশাসনিক অঞ্চলের অন্যতম। এর ঘনবসতিপূর্ণ মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব ভাগ সমতল এবং বাকি অংশ পর্বতময়। এর চতুঃসীমায় অবস্থিত প্রশাসনিক অঞ্চলগুলি হল: উত্তরে নিইগাতা ও ফুকুশিমা, পূর্বে তোচিগি, দক্ষিণে সাইতামা ও পশ্চিমে নাগানো।
গুন্মার প্রধান প্রধান পর্বতগুলি হল আকাগি, হারুনা, মিয়োগি, নিক্কো-শিরানে এবং আসামা পর্বত। তোনে, আগাৎসুমা ও কারাসু হল মূল নদী।
২০১২ এর এপ্রিল মাসের হিসেব অনুযায়ী গুন্মার ১৪ শতাংশ ভূমি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে জোওশিন্এৎসু, নিক্কো ও ওযে জাতীয় উদ্যান এবং মিয়োগি-আরাফুনে-সাকু-কোওগেন উপ-জাতীয় উদ্যান।[4]
তথ্যসূত্র
- Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Gumma-ken" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 267, পৃ. 267,; "Kantō" in গুগল বইয়ে p. 479, পৃ. 479,.
- Nussbaum, "Maebashi" in গুগল বইয়ে p. 600, পৃ. 600,.
- Nussbaum, "Provinces and prefectures" in গুগল বইয়ে p. 470, পৃ. 470,.
- "General overview of area figures for Natural Parks by prefecture" (পিডিএফ)। Ministry of the Environment। ১ এপ্রিল ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৩।