গিয়াস উদ্দিন আহমেদ
গিয়াস উদ্দিন আহমেদ (৯ মে ১৯৫৪ — ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।[1]
গিয়াস উদ্দিন আহমেদ | |
---|---|
ময়মনসিংহ-১০ আসনের সাংসদ | |
কাজের মেয়াদ ২০০৮ – ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ |
উত্তরসূরী | ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ময়মনসিংহ জেলা | ৯ মে ১৯৫৪
মৃত্যু | ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ভারতের একটি হাসপাতালে |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | বাংলাদেশ |
শাখা | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী |
পদ |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ৯ মে, ১৯৫৪ সালে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেছেন।[2] ১৯৭১ সালে গফরগাঁও ডিগ্রি কলেজের ছাত্র থাকাকালীন মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। এসময় তিনি সার্জেন্ট জহু্ুরুল হক হলের (পূর্ববর্তী ইকবাল হল) আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় ১৯৭৫ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে যোগদান করেন। ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কিছু সেনা সদস্যের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করলে এই হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং কারাভোগ করেন।[3]
রাজনৈতিক জীবন
গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি প্রয়াত ফজলুর রহমান সুলতানকে পরাজিত করে ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[1] নবম জাতীয় সংসদে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ও বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।[2] তবে ১০ম সংসদ নির্বাচনে তিনি আর দলীয় মনোনয়ন পাননি।
বিতর্ক
গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ২০১২ সালে নিজ নির্বাচনী এলাকায় নিজের লাইন্সেকৃত রিভলভার দিয়ে জনতার উদ্দেশ্যে গুলি করেন। সেই সময় পিস্তল এমপি হিসেবে বাংলাদেশে পরিচিত হন। জানুয়ারি ২০১৩ সালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তাকে গুলি করার হুমকি দিয়েও ব্যাপক আলোচিত হন।[4][5][6][7][8]
মৃত্যু
২০২২ সালের ১৭ই আগস্ট এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স হাসপাতালে সাবেক এই সংসদ সদস্যের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। পরে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান।[9]
তথ্যসূত্র
- "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৫।
- "Constituency 155"। www.parliament.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৫।
- "গফরগাঁওয়ের সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন মারা গেছেন | কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। ২০২২-০৯-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-০৬।
- "বিতর্কিত সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৫।
- থেকে, মুহাম্মদ আতিকুল্লাহ, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ)। "ময়মনসিংহ-১০ : গফরগাঁওয়ে বইছে নির্বাচনী হাওয়া"। DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৫।
- "মনোনয়ন বঞ্চিত পিস্তল গিয়াস! | বাংলাদেশ প্রতিদিন"। Bangladesh Pratidin (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৫।
- ":: দৈনিক জনতা ::"। www.djanata.com। ২০১৩-০৯-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৫।
- "এবার মন্ত্রীর দপ্তরে স্বরূপে সাংসদ গিয়াস"। www.prothom-alo.com। ২০১৩-০১-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৫।
- "সাবেক এমপি ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ আর নেই"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-০৬।