গান্ধী আশ্রম

১৯৩৪ সালে জামালপুর মহকুমা কংগ্রেসের সম্পাদক নাসির উদ্দিন সরকার (অধুনা বাংলাদেশে) মেলান্দহ উপজেলায় গড়ে তোলেন গান্ধী আশ্রমটি। মেলান্দহ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ঝিনাই নদীর তীরে ঝাউগড়া ইউনিয়নের কাপাসহাটিয়া গ্রামে আশ্রমটি অবস্থিত। গান্ধীভক্ত কমরেড নাসির উদ্দিন সরকার এ আশ্রমে গ্রামের মানুষকে স্বদেশি চেতনায় উজ্জীবিত করে চরকায় সুতা তৈরি, হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও শরীরচর্চা কার্যক্রম চালাতেন। এই আশ্রমটি তখন পরিণত হয়েছিল বাংলার মুক্তিকামী মানুষের অন্যতম মিলনমেলায়।

গান্ধী আশ্রম
স্থাপিত১৯৩৪
অবস্থানমেলান্দহ, জামালপুর
ধরনজাদুঘর
প্রতিষ্ঠাতানাসির উদ্দিন সরকার

ইতিহাস

১৯৩৪ সালে আশ্রমটি প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন সময়ে এ আশ্রমে এসেছিলেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, কমরেড মণি সিংহ, বারীন দত্ত, প্রফেসর শান্তিময় রায়, কমরেড আশুতোষ দত্ত, কমরেড রবি নিয়োগী, নগেন মোদক, বিধূভূষণ সেন, সুরেন্দ্র মোহন ঘোষ, মনোরঞ্জন ধর, নরেন নিয়োগী, রণেশ দাশগুপ্ত, সত্যেন সেন, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কৃষক নেতা হাতেম আলী খান, আবদুস সাত্তার, হেমন্ত ভট্টাচার্য, মন্মথনাথ দে, খন্দকার আবদুল বাকীসহ অনেক বিশিষ্টজন। তাঁরা বিভিন্ন রাজনৈতিক বৈঠকেও মিলিত হয়েছিলেন এখানে। পাকিস্তানি শাসক চক্রের ইন্ধনে মুসলীম লীগ সমর্থকরা ১৯৪৮ সালে আশ্রমটিতে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে আশ্রমের বহ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়, টিকে থাকে শুধু অফিস ঘরটি। তাদের হামলায় বুকের পাঁজর ভেঙে গুরুতর আহত হন নাসির উদ্দিন সরকার। পরবর্তীতে এই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে ২০০৭ সালে ০২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে পুনরায় শুরু হয় মানব কল্যাণের গান্ধী আশ্রমের নানা কার্যক্রম।

মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘর

এলাকাবাসীর উদ্যোগে ইতিহাস ঐতিহ্য ধারণকল্পে আশ্রমে গড়েে উঠেছে একটি মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘর। আশ্রমে সেবামূলক বেশকিছু কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। প্রতিদিন বহুদর্শনাথী আশ্রমটি দেখার জন্য এখানে আসেন।

তথ্যসূত্র

[1]

  1. ইতিহাস (২০১৫-০২-১০)। "ইতিহাসের প্রাণকেন্দ্র জামালপুরের গান্ধী আশ্রম"এনটিভি। ২০১৭-০১-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-২০
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.