গাদোয়াল শাড়ি
গাদোয়াল শাড়ি হল ভারতের যোগুলাম্বা গাদোয়াল জেলার গাদোয়ালের তৈরি ঐতিহ্যগত শাড়ি।[1] এই শাড়ি জরির জন্য জনপ্রিয়। এই শাড়িগুলি প্রস্তুত করা হয় খাঁটি রেশম, খাঁটি সুতো (কটন) এবং খাঁটি তসর অথবা যে কোন দুটি উপাদানের সংমিশ্রনে জরির কাজ সহকারে। এই হস্তশিল্প ভারতের ভৌগোলিক অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়।[2]
গাদোয়াল শাড়ী | |
---|---|
ভৌগোলিক নির্দেশক | |
বর্ণনা | গাদোয়াল শাড়ি এক প্রকারের সিল্ক এবং সুতি মিশৃত হাতে বোনা শাড়ি যার জমি সুতির ও আঁচলটি সিল্কের এবং তার উপর জরির কাজ করা থাকে। |
ধরন | হস্তশিল্প |
অঞ্চল | গাদোয়াল, তেলেঙ্গানা |
দেশ | ভারত |
নথিবদ্ধ | ১৯৯৯ |
উপাদান | সুতি এবং সিল্ক |
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট | http://ipindia.nic.in/girindia/ |
শাড়ি
স্থানীয় তাঁতিরা এতোই প্রতিভাবান ছিল যে তাদের বোনা ফ্যাব্রিক ৫.৫ মিটার লম্বা শাড়ি দেশলাইয়ের বাক্সে ভরে রাখা যেত।[1] গাদোয়াল শাড়ি ১৯৩০ সাল থেকে খুব জনপ্রিয় হয়েছে। এটি রেশম সুতার তৈরি শাড়ি যা সংযুক্ত সিল্ক সীমানা এবং রেশম বালিশ দিয়ে তৈরি করা হয়।
গাদোয়াল তাঁত সেন্টার
গাদোয়াল তাঁত সেন্টার আনুমানিক ১৯৪৬ সালে মরহুম রতন বাবু রাও প্রতিষ্ঠাতা করেন। এবং এটি সনাতন গাদোয়াল শাড়ি সংক্রান্ত সচেতনতা তৈরি করার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত হচ্ছে। প্রথাগত শাড়ি সংক্রান্ত সচেতনতা তৈরি করার জন্য তার দোকান সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়েছে.
নামকরনের ইতিহাস
গাদোয়াল শাড়ির উদ্ভব আনুমানিক ২০০বছর আগে হয়েছিল। সেই সময় অধুনা গাদোয়াল শহর ছিল একটি ছোট রাজ্যের রাজধানী যার নাম ছিল সংস্থানম। উক্ত রাজ্যের মহারানী, অধিলক্ষ্মী দেবাম্মা, এই গাদোয়াল শাড়ির কারিগরদের সূচিত এবং উন্নিত করেন কিছু বুননকারীর সহায়তায়। এই বুননকারীরা দেশের বিভিন্ন উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে গাদোয়ালে আসেন। প্রাথমিক ভাবে গাদোয়াল শাড়িকে বলা হত মধ্যমপেটা। যেহেতু এই শাড়ি উৎপাদন শিল্পের সম্পূর্নটাই অধুনা গাদোয়াল শহর কেন্দ্রিক তাই সময়ের সাথে সাথে এই জাতীয় শাড়ি গাদোয়াল শাড়ি হিসাবেই পরিচিত এবং জনপ্রিয় হয়েছে। [3]
তথ্যসূত্র
- "Gorgeous Gadwal"। Deccan Herald। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৬।
- "State Wise Registration Details of G.I Applications" (পিডিএফ)। Geographical Indication Registry। পৃষ্ঠা 5। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৬।
- "Geographical Indications Journal No 32 " (পিডিএফ)। ৯ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৬।