গাজিয়াবাদ জংশন রেলওয়ে স্টেশন

গাজিয়াবাদ রেলওয়ে স্টেশনটি ভারতের হাওড়া–দিল্লি প্রধান লাইন এর কানপুর-দিল্লি বিভাগ এ অবস্থিত৷ এর মধ্য আরও রয়েছে হাওড়া-গয়া-দিল্লি লাইন এবং নয়া দিল্লি-মুরাদাবাদ-লখনৌ লাইন৷ এটি ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলায় অবস্থিত৷ রেলওয়ে স্টেশনটি গাজিয়াবাদ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করেছে৷

Thumb
দিল্লি-মিরাট-সাহারানপুর লাইন
কিমি
সাহারানপুর জংশন
১৮১
মোরাদাবাদ-আম্বালা লাইন
তাপরি
১৭৪
দিল্লি-শামলি–
সাহারানপুর লাইন
নাঙ্গল
১৬৪
তালহেরি বুজুর্গ
১৫৬
দেওবন্দ
১৪৭
রোহানা কালান
১৩৫
এসএইচ ৫৯
বামনহেরি
১২৮
মুজাফফরনগর
১২৩
এসএইচ ৫৮
জারউদনরা
১১৮
মনসুরপুর
১১০
মিরানপুর-খাতৌলি রোড
খাতাউলি
১০১
এসএইচ ৫৮
শকোটি তান্ডা
0৯১
দৌলা
0৮৩
পাবলি খাস
0৭৬
মিরুত বাইপাস রোড
এনএইচ ৫৮
মিরুত ক্যান্ট
0৭২
কিমি
মিরুত শহর
0৬৭
নুরনগর
পার্টাপুর
0৬১
১১
চান্দসারা
১৮
খারখাউদা
এসএইচ ১১৯
২৩
কলি
হাপুর রোড
মহিউদ্দিনপুর
056
দিল্লি-মোরাদাবাদ লাইন
৩০
হাপুর জংশন
মোদিনগর
0৪৮
দিল্লি-মোরাদাবাদ লাইন
৩৯
হাফিজপুর
আপার গঙ্গা খাল
৪৯
গুলাওঠি
৫৪
ছপরাওয়াত
মুরাদনগর
0৩৮
৫৯
বড়াল
৬৮
নুমাইশগড় হল্ট
দুহাই হল্ট
0৩৩
৭১
বুলান্ডশাহর
৭৮
মামন
গুলধর
0৩০
এনএইচ ৯১
৮৭
খুরজা সিটি
নতুন গাজিয়াবাদ
0২৬
কানপুর-দিল্লি বিভাগ
খুরজা জংশন
দিল্লি-মোরাদাবাদ লাইন
কানপুর-দিল্লি বিভাগ
কানপুর-দিল্লি বিভাগ
গাজিয়াবাদ
0২০
কিমি
সাহেবাবাদ জংশন
0১৩
চন্দর নগর
বিবেক বিহার
০০
দিল্লি-শামলি–
সাহারানপুর লাইন
আনন্দ বিহার টার্মিনাল
দিল্লি শাহদারা
০০
দিল্লি জংশন
০০
দিল্লি-কালকা লাইন
দিল্লি-ফাজিলকা লাইন
নয়া দিল্লি
0২৩
শিবাজি সেতু
0২৪
তিলক সেতু
0২৬
প্রগতি ময়দান
0২৮
হযরত নিজামউদ্দিন
0৩০
দিল্লি-জয়পুর লাইন
আগ্রা কর্ড থেকে
কানপুর-দিল্লি সেকশন
কিমি
উৎস: গুগল মানচিত্র
৫৪৫০৫ দিল্লি-আম্বালা প্যাসেঞ্জার
৫৪৪০২ মিরাট-খুরজা প্যাসেঞ্জার

ইতিহাস

ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানির হাওড়া-দিল্লি লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয় ১৮৬৬ সালে৷[1]

মিরাত এবং দিল্লির মধ্যকার রেলওয়ে লাইন ১৮৬৪ সালে নির্মিত হয়৷[2]

সিন্ধ, পাঞ্জাব এবং দিল্লি রেলওয়ে ১৮৭০ সালে ৪৮৩ কিলোমিটার (৩০০ মাইল) দীর্ঘ অমৃতসর-আমবালা-শাহরানপুর-ঘাজিয়াবাদ লাইন নির্মাণ সম্পূর্ণ করে, যা দিল্লিকে মুলতান(যা বর্তমানে পাকিস্তানে) এর সাথে সংযুক্ত করে৷[3]

অপরদিকে গাজিয়াবাদ-মুরাদাবাদ লাইনটি অযোধ্যা এবং রোহিলখান্ড রেলওয়ে কর্তৃক ১৯০০ সালে নির্মিত হয়৷[4]

বিদ্যুৎচালিতকরণ

টানডা-আলিগড়-ঘাজিয়াবাদ সেক্টর ১৯৭৫-৭৬ সালে এবং ঘাজিয়াবাদ-নিজামুদ্দিন-নয়া দিল্লি-দিল্লি সেক্টর ১৯৭৬-৭৭ সালে বিদ্যুৎচালিতকরণ করা হয়৷[5]

১৪০ কিলোমিটার (৮৭ মাইল) দীর্ঘ গাজিয়াবাদ-মুরাদাবাদ লাইন ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎচালিতকরণ করা হয়৷ অপরদিকে গাজিয়াবাদ-মিরাত-মুজাফফরনগর-শাহরানপুর-রোরকি-হরিদ্বার লাইনটি ২০১৬ সালের মার্চ মাসে বিদ্যুৎচালিতকরণ করা হয়৷

লোকাল ইলেকট্রিক ট্রেন

ঘাজিয়াবাদ হতে ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন এ নিয়মিতভাবে লোকাল ইলেকট্রিক ট্রেন চলাচল করে থাকে৷ এক্ষেত্রে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর অতিক্রান্ত দূরত্ব যথাক্রমে: নয়া দিল্লি রেলওয়ে স্টেশন(২৬ কিলোমিটার), পুরাতন দিল্লি রেলওয়ে স্টেশন(২০ কিলোমিটার), হযরত নিযামুদ্দিন রেলওয়ে স্টেশন(২৬ কিলোমিটার) এবং আনন্দ বিহার রেলওয়ে স্টেশন(১৩ কিলোমিটার)৷

স্থানীয় ট্রেনের তালিকা

নিয়মিতভাবে যে স্থানীয় ট্রেনগুলো চলাচল করে থাকে, সেগুলো হল ইএমইউ, এমইএমইউ, প্যাসেঞ্জার ইত্যাদি৷ এ ট্রেনগুলো ভোর সকালে যাত্রা শুরু করে এবং মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচল করে থাকে৷[6]

যাত্রী সার্ভিসসমূহ

ঘাজিয়াবাদ স্টেশনে যাত্রীদের জন্য যে সকল সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে, সেগুলো হল- ওয়েটিং রূম, ওয়াটার কুলার, খাঁটি নিরামিষভোজী রেস্টুরেন্ট, রিফ্রেশমেন্ট কক্ষ, বুক স্টল, কম্পিউটারাইজড রিজার্ভেশন অফিস এবং টেলিফোন বুথ৷

লোকো শেড

ঘাজিয়াবাদ ইলেকট্রিক লোকো শেড দিল্লি এলাকায় সার্ভিস প্রদান করে থাকে৷ এটি ভারতের দ্রুতগামী লোকোমোটিভগুলোর সার্ভিস প্রদান ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে৷ এ লোকোমোটিভগুলোর বেশিরভাগই রাজধানী, শতাব্দী এবং দুরন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷ ২০০৮ সাল অনুযায়ী এটিতে ৪৭ ডাব্লিউএপি-১ লোকো রয়েছে৷ এছাড়াও এটিতে সংযুক্ত রয়েছে ডাব্লিউএএম-৪, ডাব্লিউএপি-৪, ডাব্লিউএপি-৪, ডাব্লিউএপি-৭ এবং ডাব্লিউএজি-৫এইচএ লোকো৷[7]

তথ্যসূত্র

  1. "IR History: Early Days - I"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৭
  2. "Meerut"। Triposo। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৭
  3. "IR History: Early Days II (1870-1899)"। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৭
  4. "The Oudh and Rohilkhand Railway" (পিডিএফ)। Management E-books6। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৭
  5. "History of Electrification"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৭
  6. "গাজিয়াবাদ ট্রেন স্টেশন"। cleartrip.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৭
  7. "Sheds and workshops"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৭

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.