গাঁজা
গাঁজা (/ˈkænəbɪs/, ইংরেজি: Cannabis) মূলত সপুষ্পক উদ্ভিদের গণ, যেখানে সাতিভা গাঁজা,[2] ইন্ডিকা গাঁজা এবং রুডের্লাইস গাঁজা[1], এই তিনটি ভিন্ন প্রজাতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার স্থানীয় প্রজাতি।[3] গাঁজা দীর্ঘকাল ধরে বীজ ও বীজ তেল, ঔষধি উদ্দেশ্যে এবং একটি বিনোদনমূলক ড্রাগ হিসাবে শণ আঁশের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আঁশের উৎপাদন বৃদ্ধি নির্বাচন করতে বাণিজ্যিক শণ পণ্যসমূহ গাঁজা গাছ থেকে তৈরি করা হয়।
গাঁজা | |
---|---|
প্রচলিত শণ | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Rosales |
পরিবার: | Cannabaceae |
গণ: | গাঁজা L. |
প্রজাতি[1] | |
|
বিবরণ
ভিন্ন ভিন্ন নামে বিভিন্ন দেশে এর বিস্তার। গাঁজা গাছের শীর্ষ পাতা, ডাল এবং ফুল যা এই উপমহাদেশে গাঁজা নামে পরিচিত একই জিনিস পশ্চিমা দেশ গুলোতে মারিজুয়ানা বা মারিহুয়ানা নামে পরিচিত। গাছের পাতা বা ডালের আঠালো কষ দিয়ে তৈরী এ অঞ্চলের চরস নামের জিনিসটিই পশ্চিমা দেশের হাশিশ।[2] এছাড়াও ভাং, সিদ্ধি, পাট্টি, সব্জি, গ্রাস, মাজুন এবং নানা নামে ডাকা হয়। [2][4]
ভেষজ গুণ
গাঁজা শরীরের বিষ-ব্যথা সারায়। এ কথার বর্ণনা রয়েছে ভারতবর্ষের প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে। তবে এ কথাও সুবিদিত যে, গাঁজা, ভাং ও মারিজুয়ানা গ্রহণ মানুষের স্মরণশক্তি হ্রাস করে এবং দীর্ঘ মেয়াদে মনোবৈকল্য ঘটায়। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা এখন গাঁজা, ভাং ও মারিজুয়ানার ওপর গবেষণা করে জেনেছেন, এ সব মাদকদ্রব্য থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ব্যথানাশক ওষুধ প্রস্তুত করা সম্ভব, যা মানুষের কোনো ক্ষতি করবে না। গবেষণাটি করেছে ফ্রান্সের বায়োমেডিকেল ইনস্টিটিউট।[5] এর নেতৃত্ব দিয়েছে আইএনএসইআরএম। ফ্রান্সের গবেষকরা জানান, 'তারা ইঁদুরের মস্তিষ্কের যে অংশের কোষের নিউরনে গাঁজা বা মারিজুয়ানার মাদক ক্রিয়া করে তা ওষুধ প্রয়োগ করে নিষ্ক্রিয় করেন প্রথম। এর পর ওই ইঁদুরের শরীরে এসব মাদক প্রবেশ করিয়ে দেখা গেছে, তাতে ইঁদুরটি বেহুশ হয় না। বরং ওটির প্রাণচাঞ্চল্য ঠিকই থাকে। এ অভিজ্ঞতা থেকে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ব্যথানাশক হিসেবে গাঁজা বা মারিজুয়ানার ভালো গুণ মানুষের বিভিন্ন রোগের ওষুধ এবং অস্ত্রোপচারের জন্য চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। শিগগিরই গাঁজা ও মারিজুয়ানার নির্যাস থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন এ ওষুধ প্রস্তুত হবে। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ও আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখেছেন, ভাং ও গুঞ্জি সেবনে ফুসফুসের ক্ষতি তামাক পাতায় প্রস্তুত সিগারেট পানের চেয়ে কম।
তথ্যসূত্র
- Geoffrey William Guy; Brian Anthony Whittle; Philip Robson (২০০৪)। The Medicinal Uses of Cannabis and Cannabinoids। Pharmaceutical Press। পৃষ্ঠা 74–। আইএসবিএন 978-0-85369-517-2।
- "Cannabis sativa information from NPGS/GRIN"। www.ars-grin.gov। ৫ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০০৮।
- A. ElSohly, Mahmoud (২০০৭)। Marijuana and the Cannabinoids। Humana Press। পৃষ্ঠা 8। আইএসবিএন 1-58829-456-0। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১১।
- A. ElSohly, Mahmoud (২০০৭)। Marijuana and the Cannabinoids। Humana Press। পৃষ্ঠা 8 ও 322। আইএসবিএন 1-58829-456-0। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৫-০২।
- Watt, John Mitchell; Breyer-Brandwijk, Maria Gerdina: The Medicinal and Poisonous Plants of Southern and Eastern Africa 2nd ed Pub. E & S Livingstone 1962
আরো পড়ুন
- Deitch, Robert (২০০৩)। Hemp: American History Revisited: The Plant with a Divided History। Algora Pub। আইএসবিএন 0-87586-206-3।
- Earleywine, Mitchell (২০০৫)। Understanding Marijuana: A New Look at the Scientific Evidence। Oxford University Press। আইএসবিএন 0-19-513893-7।
- Emmett, David; Graeme Nice (২০০৯)। What you need to know about cannabis: understanding the facts। Jessica Kingsley Publishers। আইএসবিএন 1-84310-697-3।
- Hulsewé, A. F. P. (1979). China in Central Asia: The Early Stage 125 BC – AD 23: an annotated translation of chapters 61 and 96 of the History of the Former Han Dynasty. E. J. Brill, Leiden. আইএসবিএন ৯০-০৪-০৫৮৮৪-২.
- Geoffrey William, Guy; Brian Anthony Whittle; Philip Robson (২০০৪)। The medicinal uses of cannabis and cannabinoids। Pharmaceutical Press। আইএসবিএন 0-85369-517-2।
- Holland, Julie M.D. (২০১০)। The Pot Book: A Complete Guide to Cannabis: Its Role in Medicine, Politics, science, and culture। Park Street Press। আইএসবিএন 978-1-59477-368-6।
- Iversen, Leslie L (২০০৮)। The science of marijuana (2nd সংস্করণ)। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-532824-0।
- Jenkins, Richard (২০০৬)। Cannabis and Young People: Reviewing the Evidence। Jessica Kingsley। আইএসবিএন 1-84310-398-2।
- Lambert, Didier M (২০০৮)। Cannabinoids in Nature and Medicine। Wiley-VCH। আইএসবিএন 3-906390-56-X।
- Mallory, J. P. and Victor H. Mair (2000). The Tarim Mummies: Ancient China and the Mystery of the Earliest Peoples from the West. Thames & Hudson, London. আইএসবিএন ০-৫০০-০৫১০১-১.
- Roffman, Roger A; Robert S. Stephens (২০০৬)। Cannabis Dependence: Its Nature, Consequences, and Treatment। Cambridge University Press। আইএসবিএন 0-521-81447-2।
- Russo, Ethan; Melanie Creagan Dreher; Mary Lynn Mathre (২০০৪)। Women and Cannabis: Medicine, Science, and Sociology। Haworth Press। আইএসবিএন 0-7890-2101-3।
- Solowij, Nadia (১৯৯৮)। Cannabis and Cognitive Functioning। Cambridge University Press। আইএসবিএন 0-521-59114-7।