গর্ভপাত-অধিকার আন্দোলন
গর্ভপাত-অধিকার আন্দোলন, বা পছন্দের পক্ষে আন্দোলন, আবিষ্ট গর্ভপাত সেবা দেবার পক্ষে আইনি সাহায্যের সমর্থক। ইচ্ছাপূর্বক গর্ভপাতের সমস্যা জনজীবনে বিভেদ সৃষ্টিকারী হয়েউঠছে, আইনি গর্ভপাত সেবাকে উদার বা সীমাবদ্ধ করতে বারবার গর্ভপাত বিতর্ক উঠছে ।গর্ভপাত-অধিকার সমর্থকরা নিজেরাই কি ধরনের গর্ভপাত সেবা দেওয়া উচিত এবং কি পরিস্থিতিতে দেওয়া যাবে তা নিয়ে বারে বারে বিভক্ত হয়ে পড়ছে, উদাহরণস্বরূপ, গর্ভাবস্থার বিভিন্ন সময়ে যেমন বিলম্বিত গর্ভপাত এর ক্ষেত্রে আইনি সাহায্য সীমাবদ্ধ করা হতে পারে।
পরিভাষা
বিতর্কে ব্যবহৃত অনেক শব্দই নিজের অবস্থান যাচাই করার জন্য এবং বিরোধীদের অবস্থান অবৈধ সাব্যস্ত করার জন্য ব্যবহৃত রাজনৈতিক কাঠামোবদ্ধ শব্দ। উদাহরণস্বরূপ, "পছন্দ-মুখী" এবং "জীবন-মুখী" আখ্যা ব্যাপকভাবে চর্চিত স্বাধীনতা এবং মুক্তির মত শব্দের প্রতি শ্রদ্ধার অনুমোদন প্রকাশ করে আর বোঝায় যে, বিরোধীরা "পছন্দ-বিরোধী" বা "জীবন-বিরোধী" (অথবা "বলপ্রয়োগ-মুখী" বা "মৃত্যু-মুখী")।[1] এই মতামতগুলি সবসময় দুই উপাদানে গঠিত হয়না; পাবলিক রিলিজিয়ন রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর ভোটে, দশের মধ্যে সাতজন, আমেরিকান নিজেদের বর্ণনা করেছেন "পছন্দ-মুখী" হিসাবে যখন প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ নিজেদের বর্ণনা "জীবন-মুখী" হিসাবে।[2] এসোসিয়েটেড প্রেস পছন্দ করে "গর্ভপাত অধিকার" এবং " গর্ভপাত বিরোধী " শব্দদুটিকে।[3]
প্রাথমিক ইতিহাস
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে প্রায়ই নারীবাদীরা গর্ভপাতকে বৈধতা দেবার বিরোধিতা করতেন।[4][5] এলিজাবেথ ক্যাডি স্ট্যানটন এবং সুসান বি এন্থনি দ্বারা পরিচালিত দি রেভোলিউশন সংবাদপত্রে ১৮৬৯ সালে একজন বেনামী অবদানকারী "এ" স্বাক্ষর করে এই বিষয়ে তর্ক ক'রে লিখেছেন যে নিছক গর্ভপাতের আইন পাস করার পরিবর্তে মূল কারণের সুরাহা করতে হবে।
লেখক বলেছেন, "কেবল একটি গর্ভপাত-বিরোধী আইন চালু ক'রে শুধুমাত্র ক্ষতিকর আগাছার শীর্ষ ছেদন হবে এবং মূল থেকে যাবে। অভিপ্রায় যাই হোক না কেন, আরামের ইচ্ছা, অথবা অজাত নির্দোষকে দুর্ভোগ থেকে বাঁচানোর ইচ্ছা, যে নারী এই কাজ করে সে অতিশয় দোষী। তার জীবনে বিবেকের বোঝা হবে এটি, মৃত্যুর পর তার আত্মার বোঝা হবে; কিন্তু ওহ! তিনগুণ দোষী সে, যে তাকে হতাশার দিকে নিয়ে গিয়ে এই অপরাধ করতে তাড়িত করেছে।"[6][7][8]
ব্রিটেন
জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার ফলে যে জয় এসেছে তার প্রেক্ষাপট শুরু হয়েছিল ১৯২০ এবং ৩০ সালে উদ্ভূত গর্ভপাত আইনকে উদারীকরণ করার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে।আন্দোলনকারীদের মধ্যে ইংল্যান্ডের মারি স্টোপস এবং আমেরিকার মার্গারেট স্যাঙ্গার সমস্যাটি সবার সামনে আনেন এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা হয় যারা পরিবার পরিকল্পনার জন্য এবং প্রয়োজনে মহিলাদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে পরামর্শ দিত।
১৯২৯ সালে ব্রিটেন শিশু জীবন সংরক্ষণ আইন পাস হয়, যা (ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ আইন ১৮৬১) আইনের সংশোধন, যাতে একমাত্র মায়ের জীবন সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে, ভাল বিশ্বাসে, গর্ভপাত সম্পন্ন করালে অপরাধ হবে না।[9]
সিদ্ধান্তস্টেলা ব্রাউন ছিলেন একজন নেতৃস্থানীয় জন্ম নিয়ন্ত্রণ প্রচারক, যিনি ১৯৩০ সালে আরো বিতর্কিত সমস্যা গর্ভপাত নিয়ে বেশি ক'রে কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেন। ব্রাউন এর বিশ্বাসকে প্রচন্ডভাবে প্রভাবিত করেছিল হ্যাভলক এলিস, এডওয়ার্ড কার্পেন্টার এবং অন্যান্য যৌনতাবিশারদ দের কাজ।[10] তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে কর্মজীবি মহিলারাদের, যাঁদের, পার্শ্ববর্তী একজন গর্ভবতী মহিলা যাঁকে গর্ভাবস্থার সময়ও কঠোর পরিশ্রম হচ্ছে, এইরকম ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে কাজ করতে হয় তাঁদের গর্ভবতী হওয়া এবং গর্ভাবস্থা বিনষ্ট করার ইচ্ছা নিজের হাতে থাকা উচিত[11] এই ক্ষেত্রে তিনি যুক্তি দেখান যে, যে নারীরা জানতে চায় ডাক্তারদের উচিত তাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বিনামূল্যে তথ্য দেওয়া। এটি হলে নারীর তাদের নিজস্ব পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং তারা মা হতে চায় কি না সেটি তাদেরই সিদ্ধান্ত হবে।[12]
১৯২০ সালের শেষ দিকে ব্রাউন ইংল্যান্ডের চারিদিকে বক্তৃতা সফর শুরু করেন, নানা রকম বিষয়ের মধ্যে ছিল তাঁর বিশ্বাস নারীদের জানা উচিত জন্ম নিয়ন্ত্রণ, নারীদের স্বাস্থ্য সমস্যা, বয়ঃসন্ধির সমস্যা ও যৌন শিক্ষা এবং উচ্চ মাতৃ অসুস্হতার হার অন্যান্য বিষয়ে তথ্যের প্রয়োজন সম্পর্কে। এই আলোচনাগুলি শুনে নারীরা তাদের যৌনতা এবং স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় বিষয়গুলি তাদের নিজেদের হাতে নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। তিনি গর্ভপাতে নারী অধিকার বিষয়ে নিজের মতামতে খুবই আগ্রহী হয়ে ওঠেন, এবং ১৯২৯ সালে লন্ডনে বিশ্ব যৌন সংস্কার কংগ্রেস এ তাঁর বক্তৃতা "গর্ভপাতের অধিকার" তিনি সবার সামনে আনেন। ১৯৩১ সালে ব্রাউন গর্ভপাতে নারী অধিকারের ওপর তাঁর যুক্তির সম্প্রসারণ শুরু করেন। তিনি, গর্ভপাত এবং নারীরা যদি গর্ভধারণ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয় তবে তার নেতিবাচক ফল যা ঘটবে যেমন: আত্মহত্যা, আঘাত, স্থায়ী অস্বাস্থ্য বা রুগ্নতা, উন্মাদরোগ এবং রক্তে বিষক্রিয়া বিষয়ে বক্তৃতা দিতে আবার ভ্রমণ শুরু করেন।
ফ্রিডা লাস্কি, ডোরা রাসেল, জন ম্যালেসন এবং জ্যানেট চান্স সহ অন্য নারীবাদীরা এই কারণের জন্য লড়াই শুরু করলেন - নাটকীয়ভাবে কারণটি মূলধারার মধ্যে চলে এল ১৯৩২ সালের জুলাই মাসে, যখন ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন পরিষদ একটি কমিটি গঠন করলেন গর্ভপাত নীতিতে কিছু পরিবর্তন করার জন্য।[10] ১৯৩৬ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি জ্যানেট চান্স, অ্যালিস জেনকিন্স এবং জন ম্যালেসন গর্ভপাত উদারকরণের জন্য প্রথম প্রচারক সংস্থা হিসাবে অ্যাবর্শন ল রিফর্ম অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করলেন। সংস্থাটি ব্রিটেনে গর্ভপাত এ প্রবেশাধিকারে উন্নীত হল এবং আইনি বাধা দূর করার জন্য প্রচার শুরু করল।[13] প্রথম বছরেই এএলআরএ ৩৫ জন সদস্য নিয়োগ করল, এবং ১৯৩৯ এর মধ্যে সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪০০ দাঁড়াল।[13]
১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ এর মধ্যে দেশের চারপাশে বক্তা পাঠিয়ে শ্রম এবং সম-নাগরিকত্ব সম্পর্কে কথা বলা নিয়ে এএলআরএ খুব সক্রিয় ছিল এবং চেষ্টা করেছিল,যদিও প্রায়শই ব্যর্থ হয়েছিল, সংবাদপত্রে চিঠি এবং নিবন্ধ প্রকাশ করতে। এএলআরএ সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যখন এর মেডিকো-লিগ্যাল কমিটির একজন সদস্য চৌদ্দ বছর বয়সী একটি ধর্ষিতা মেয়ের মামলা পেয়েছিলেন, এবং এএলআরএ একজন জনক ডঃ জন ম্যালেসন এই গর্ভাবস্থার অবসান ঘটান।।[13] এই মামলাটি বহুল প্রচার পেয়েছিল, তবে যুদ্ধ শুরু হবার পর, মামলাটি গুটিয়ে গিয়েছিল এবং আবার জনসাধারণের কাছে তার গুরুত্ব হারিয়েছিল।
১৯৩৮ সালে, জন ম্যালেসন ব্রিটিশ গর্ভপাত আইনের প্রভাবশালী মামলাগুলির মধ্যে একটি মামলা, যেটি ছিল চৌদ্দ বছর বয়সী ধর্ষণএর শিকার এক গর্ভবতী বালিকার মামলা, দ্রুতগতিতে তুলে এনে পেশ করেছিলেন স্ত্রীরোগবিশারদ অ্যালেক বোর্নএর কাছে। তখনকার দিনে অবৈধ থাকলেও তিনি গর্ভপাতটি করালেন, এবং গর্ভপাত ঘটানোর দায়ে তাঁকে বিচারের জন্য পাঠান হল। রেক্স বনাম বোর্ন মামলায় বোর্ন শেষ অবধি ছাড়া পেয়ে গেলেন কারণ তাঁর কাজটি ছিল "... পেশার সর্বোচ্চ ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নিঃস্বার্থ আচরণের একটি উদাহরণ"।[14] এই মামলা একটি নজির স্থাপন করল যে, যেক্ষেত্রে গর্ভধারণ "মানসিক এবং শারীরিক ভাবে ধ্বংস" করে দেয় সে ক্ষেত্রে গর্ভপাত সম্পাদন করার জন্য ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবেনা।
অ্যাবর্শন ল রিফর্ম অ্যাসোসিয়েশন যুদ্ধের পর তাদের প্রচার চালিয়ে গেল, এবং সেটি, ১৯৬০ এর দশকে বিস্তৃত সামাজিক পরিবর্তন সঙ্গে মিলে গর্ভপাত সমস্যাকে রাজনৈতিক জমিতে ফিরিয়ে নিয়ে এল। রয়াল কলেজ অফ অবসটেট্রিশিয়ান অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্ট এর সভাপতি জন পিল ব্রিটিশ সরকার কে পরামর্শ কমিটির সভাপতিত্ব করেন এবং ১৯৬৭ গর্ভপাত আইন তৈরী হয়ে ওঠে, যেটি বিভিন্ন কারণে আইনত গর্ভপাত করার অনুমতি দেয়, যার মধ্যে আছে গর্ভাবস্থা ২৮ সপ্তাহের কম থাকলে মহিলা বা তার বিদ্যমান শিশুর (বাচ্চাদের) শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি এড়ানো।[15]
যুক্তরাষ্ট্র
১৯৬০ সালে আমেরিকায় গর্ভপাত সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৬৪ সালে কানেক্টিকাট এর জেরি সান্তোরো একটি অবৈধ গর্ভপাত করতে গিয়ে মারা যান এবং তাঁর ছবি পছন্দ-মুখী আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে। কিছু নারী অধিকার কর্মীদল তাঁদের নিজস্ব দক্ষতা বাড়িয়ে যে মহিলারা অন্যত্র সাহায্য পাবেননা তাঁদের গর্ভপাত প্রদান শুরু করেন। একটি উদাহরণ হিসাবে, শিকাগোতে, "জেন" নামে একটি দল ১৯৬০ এর দশকের বেশিরভাগ সময়ে একটি চলনশীল গর্ভপাত ক্লিনিক পরিচালনা করত। যে মহিলারা সাহায্য চাইছেন তাঁরা একটি বিশেষ নাম্বারে ফোন করলে "জেন" কে কীভাবে খুঁজে পেতে হবে তার নির্দেশাবলী দেওয়া হত।[16]
১৯৬০ এর শেষের দিকে, গর্ভপাতের বৈধতার বিরুদ্ধে এবং পক্ষে মতামত জোরদার করার জন্য বেশ কয়েকটি সংগঠন গঠন তৈরী হয়েছিল। গর্ভপাতের উপর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা ক'রে এবং গর্ভপাত সহজলভ্য করার জন্য ১৯৬৯ সালে গঠিত হয়েছিল এনএআরএএল পছন্দ-মুখী আমেরিকা ।[17] ১৯৭৩ এর শেষ দিকে এনএআরএএল জাতীয় গর্ভপাত অধিকার কর্মী লীগ হয়ে ওঠে।
রো বনাম ওয়েড মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এক বিশিষ্ট নির্দেশ দেয় যে, যখন মায়ের জীবন বাঁচাতে হবে তখন ছাড়া গর্ভপাত নিষিদ্ধ ক'রে টেক্সাস সংবিধিটি নিয়মতন্ত্রবিরোধী। আদালত এই বলে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন যে গর্ভপাতের সমস্যা এবং গর্ভপাতের অধিকার গোপনীয়তার অধিকার এর মধ্যে পড়ে। আদালত গোপনীয়তার অধিকার স্বীকার ক'রে নেন এবং গর্ভপাত অধিকারকে অন্তর্ভুক্ত করেন। আদালত দেখেছেন যে যতক্ষণ সম্ভব ততক্ষণ পর্যন্ত মায়ের গর্ভপাত করার অধিকার রয়েছে, যেটি ঠিক ক'রে দেবেন গর্ভপাত চিকিৎসক। সম্ভাব্য সময়ের পরেও একটি মহিলা স্বাস্থ্যের কারণে গর্ভপাত করতে পারেন, যেটি আদালত রো বনাম ওয়েড মামলায়, একইসাথে ব্যাপকভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে মানসিক সুস্থতাকে অন্তর্ভুক্ত ক'রে।
১৯৭০ থেকে, নারীবাদের দ্বিতীয় তরঙ্গের বিস্তৃতি, গর্ভপাত এবং প্রজনন অধিকার কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ড, ব্রিটেন,নরওয়ে, ফ্রান্স, জার্মানি, এবং ইটালির বিভিন্ন নারীবাদী সংস্থার একীভূত বিষয় হয়ে ওঠে।[18]
পৃথিবী জুড়ে
আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকা ইচ্ছাপূর্বক গর্ভাবস্থার পরিসমাপ্তি আইন অনুসারে ইচ্ছাপূর্বক গর্ভপাতের অনুমতি দেয়। যদিও অধিকাংশ আফ্রিকান জাতি, মহিলার জীবন বা স্বাস্থ্যের ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্র ছাড়া, গর্ভপাত নিষিদ্ধ রেখেছে। অনেকগুলি গর্ভপাত-অধিকার আন্তর্জাতিক সংস্থা সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা এবং উন্নয়নশীল দেশে গর্ভপাত আইন পরিবর্তন করেছে এবং পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবার বৃদ্ধি কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
আর্জেন্টিনা
যেহেতু আর্জেন্টিনা গর্ভপাতের বিরুদ্ধে খুবই নিয়ন্ত্রণশীল, গর্ভপাতের হারের নির্ভরযোগ্য বিবরণ অনুপলব্ধ। আর্জেন্টিনা একটি দৃঢ়ভাবে ক্যাথলিক দেশ, এবং প্রতিবাদকারীরা, যারা আইনত গর্ভপাত চাইছিল, তারা ২০১৩ সালে ক্যাথলিক চার্চের প্রতি বিদ্বেষ ছড়াতে থাকে।[19] আর্জেন্টিনা ২০১৫ সালে ডায়ানা গার্সিয়ার হত্যার প্রতিবাদে প্রতিষ্ঠিত হিংসা বিরোধী সংগঠন নি উনা মেনস এর জন্মভূমি, যেটি গর্ভধারণের সংখ্যা এবং ব্যবধান চয়ন করার জন্য কোন মহিলার অধিকার লঙ্ঘনের বিরোধিতা করে।[20][21]
প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড
প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ডএ গর্ভপাত অবৈধ, মহিলার জীবন বা স্বাস্থ্যের ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্র ছাড়া (আত্মহত্যার ঝুঁকি সহ), ১৯৮৩ গণভোট (৮ম সংশোধনী) দ্বারা সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। ১৯৯২ সালে পরবর্তী সংশোধনী (এক্স কেস এর পর) – ত্রয়োদশ এবং চতুর্দশ – বিদেশে ভ্রমণ করার অধিকার (গর্ভপাতের জন্য) এবং অন্যান্য দেশে উপলব্ধ "বৈধ পরিষেবা" বিতরণ এবং তথ্য প্রাপ্ত নিশ্চিত করেছে। গর্ভপাতের জন্য কারণ হিসাবে আত্মঘাতী ঝুঁকি অপসারণের দুটি প্রস্তাব জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছিল, ১৯৯২ সালের সালের গণভোটে এবং ২০০২ তে। নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে হাজার হাজার নারী অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলিতে (বিশেষত ব্রিটেন এবং নেদারল্যান্ডস)এ স্বতন্ত্রভাবে ভ্রমণ ক'রে,[22] অথবা গর্ভপাতের ঔষধ অনলাইনে উইমেন অন ওয়েব থেকে ফরমায়েশ ক'রে এবং আয়ারল্যান্ড তাদের গ্রহণ ক'রে গর্ভপাত করে।[23]
তথ্যসূত্র
- Holstein & Gubrium (২০০৮)। Handbook of Constructionist Research। Guilford Press।
- "Committed to Availability, Conflicted about Morality: What the Millennial Generation Tells Us about the Future of the Abortion Debate and the Culture Wars"। Public Religion Research Institute। জুন ৯, ২০১১।
- Goldstein, Norm, ed. The Associated Press Stylebook. Philadelphia: Basic Books, 2007.
- Gordon, Sarah Barringer. "Law and Everyday Death: Infanticide and the Backlash against Woman's Rights after the Civil War." Lives of the Law. Austin Sarat, Lawrence Douglas, and Martha Umphrey, Editors. (University of Michigan Press 2006) p.67
- Schiff, Stacy (১৩ অক্টোবর ২০০৬)। "Desperately Seeking Susan."। New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯।
- "Marriage and Maternity"। The Revolution। Susan B. Anthony। জুলাই ৮, ১৮৬৯। মার্চ ১৯, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-২১।
- Susan B. Anthony, “Marriage and Maternity,” ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ অক্টোবর ২০১১ তারিখে Error in webarchive template: Check
|url=
value. Empty. The Revolution (1869-07-08), via University Honors Program, Syracuse University. - Federer, William. American Minute, page 81 (Amerisearch 2003).
- HL Deb. Vol 72. 269.
- Hall, Lesley (২০১১)। The Life and Times of Stella Browne: Feminist and Free Spirit। পৃষ্ঠা 27–178।
- Jones, Greta. "Women and eugenics in Britain: The case of Mary Scharlieb, Elizabeth Sloan Chesser, and Stella Browne." Annals of Science 52 no. 5 (1995):481-502
- Rowbotham, Sheila (১৯৭৭)। A New World for Women: Stella Browne, social feminist। পৃষ্ঠা 66–67।
- Hindell, Keith; Madeline Simms (১৯৬৮)। "How the Abortion Lobby Worked"। The Political Quarterly: 271–272।
- R v Bourne [1939] 1 KB 687, [1938] 3 All ER 615, CCA
- House of Commons, Science and Technology Committee. "Scientific Developments Relating to the Abortion Act 1967." 1 (2006-2007). Print.
- Johnson, Linnea। "Something Real: Jane and Me. Memories and Exhortations of a Feminist Ex-Abortionist"। CWLU Herstory Project। ২০১১-০৭-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৫-২৩।
- "National Women's Health Network | A Voice For Women, A Network For Change"। ২৮ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৮।
- LeGates, Marlene. In Their Time: A History of Feminism in Western Society Routledge, 2001 আইএসবিএন ০-৪১৫-৯৩০৯৮-৭ p. 363-364
- Infobae.com Society Reporting staff (২৬ নভে ২০১৩)। "In San Juan, pro-abortion militants burned an image of the Pope (En San Juan, militantes pro aborto quemaron una imagen del Papa)"। infobae.com (Spanish ভাষায়)। ২৭ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৭।
Frente a la catedral, un grupo de católicos que hizo una muralla humana para evitar la profanación del templo debió soportar insultos, escupitajos y manchas de pintura.
- "Maratón de lectura contra los femicidios" (Spanish ভাষায়)। Sur Capitalino। মার্চ ২৬, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২২, ২০১৭।
- "Ley de protección integral para prevenir, sancionar y erradicar la violencia contra las mujeres."। niunamenos.com.ar। ৫ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৭।
- "Irish teen wins abortion battle"। BBC News। ৯ মে ২০০৭।
- Gartland, Fiona (২৭ মে ২০১৩)। "Fall in seizures of drugs that induce abortion"। The Irish Times।