গজেন্দ্রকুমার মিত্র
গজেন্দ্রকুমার মিত্র (জন্ম: ১১ নভেম্বর ১৯০৮ - মৃত্যু: ১৬ অক্টোবর ১৯৯৪) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখক, প্রকাশক ও অনুবাদক। রবীন্দ্র-শরৎ উত্তর বাংলা সাহিত্যে বিভূতিভূষণ-তারাশঙ্করের পর বাঙালী মধ্যবিত্ত সমাজকে উপজীব্য করে যে সকল কথাসাহিত্যিক সার্থক সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন তাঁদের মধ্যে গজেন্দ্রকুমার মিত্র অন্যতম।[1][2]
গজেন্দ্রকুমার মিত্র | |
---|---|
জন্ম | ১১ নভেম্বর ১৯০৮ কলকাতা, বৃটিশ ভারত |
মৃত্যু | ১৬ অক্টোবর ১৯৯৪ কলকাতা,ভারত |
পেশা | সাহিত্যিক ও প্রকাশক |
ভাষা | বাংলা |
বাসস্থান | কলকাতা |
জাতীয়তা | ভারত |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
উল্লেখযোগ্য রচনা | কলকাতার কাছেই, পৌষ ফাগুনের পালা |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার, রবীন্দ্র পুরস্কার |
সক্রিয় বছর | ১৯০৮-১৯৯৪ |
দাম্পত্যসঙ্গী | প্রতিমা মিত্র |
সন্তান | নাই |
আত্মীয় | মহেন্দ্রকুমার মিত্র(পিতা) সুধীরাবালা দেবী(মাতা) |
![]() |
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
গজেন্দ্রকুমার মিত্রের জন্ম ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ১১ই নভেম্বর বৃটিশ ভারতের কলকাতা শহরে। বাল্যশিক্ষা শুরু হয় কাশীর এংলো-বেঙ্গলী স্কুলে। কলকাতায় ফিরে এসে ঢাকুরিয়া অঞ্চলে গজেন্দ্রকুমার বসবাস শুরু করেন এবং বালিগঞ্জ জগদ্বন্ধু ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হন। স্কুল জীবন অতিক্রম করে অতঃপর তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন। আই.এসসি পড়া অসমাপ্ত রেখে বই এর ব্যবসায় যোগ দেন। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে বন্ধু সুমথনাথ ঘোষের সঙ্গে কলকাতায় "মিত্র ও ঘোষ" নামক বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা স্থাপন করেন। [3] ১৯৪০ সাল পর্যন্ত্ বই বিক্রি করেছেন গজেন্দ্রকুমার।[1]
কর্মজীবন
স্কুল শিক্ষা সমাপ্তির কিছু পরেই বন্ধু সুমথনাথের সঙ্গে মাসিক সাহিত্যিক পত্রিকা 'কথাসাহিত্য' শুরু করেন। [1] গজেন্দ্রকুমারের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস 'মনে ছিল আশা', গল্পগ্রন্থ 'স্ত্রিয়াশ্চরিত্রম' | ১৯৫৯ সালে তার 'কলকাতার কাছেই' উপন্যাস সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত হয়।[4] 'কলকাতার কাছেই', 'উপকন্ঠে', 'পৌষ-ফাগুনের পালা'-এই ট্রিলজিকে (ত্রয়ী উপন্যাস) আধুনিক বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম উল্লেখযোগ্য উপন্যাস বলে গণ্য করা হয়। পৌষ-ফাগুনের পালা ১৯৬৪ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার পায়। গজেন্দ্রকুমারের লেখনীর বিচরণক্ষেত্র বিরাট ও ব্যাপক, সামাজিক উপন্যাস, পৌরানিক উপন্যাস, ঐতিহাসিক উপন্যাস, ছোট গল্প.কিশোর সাহিত্য-সর্বত্র তার অবাধ গতি। সুদীর্ঘ ষাট বছরের অধিককাল ধরে তার কয়েক হাজার ছোটগল্প ও পঞ্চাশটিরও বেশি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। অন্যান্য উপন্যাস গ্রন্থ গুলি হল -
- 'রাত্রির তপস্যা' (১৯৫০)
- 'পাঞ্চজন্য'(১৯৭৯)
- 'বহ্নিকন্যা'(১৯৬০)
- 'রাই জাগো রাই জাগো' প্রভৃতি। উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প গ্রন্থ হল -
- 'কথা কল্পনা কাহিনী'
- 'স্বর্ণমৃগ'
ছোটদের জন্য 'রামায়ণ'
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ-
- 'আদি আছে অন্ত নেই'
পুরস্কার
- সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার - কলকাতার কাছেই [4][5]
- রবীন্দ্র পুরস্কার - পৌষ ফাগুনের পালা
মৃত্যু
১৯৯৪ সালের ১৬ অক্টোবর তার তিরোধান ঘটে।
তথ্যসূত্র
- সাইফুর রহমান (২ নভেম্বর ২০১৮)। "লেখকের তীর্থ যাত্রা"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৩।
- অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ১০৫, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬
- শিশিরকুমার দাশ সংকলিত ও সম্পাদিত, সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৯, পৃষ্ঠা ৬২আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-০০৭-৯ আইএসবিএন বৈধ নয়
- আন্দালিব রাশদী (২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "হুল-ফোটানো সাহিত্য সংবাদ"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২০।
- "হুল-ফোটানো সজনী সংবাদ"। www.prothom-alo.com। ২০১৩-০১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৩।