খ-গোলক
অন্ধকার এবং মেঘমুক্ত আকাশের দিকে তাকালে দর্শকমাত্রেরই চোখে পড়ে অসংখ্য জ্যোতিষ্ক। পৃথিবী থেকে এই জ্যোতিষ্কগুলোর দূরত্ব অনেক বেশি।[1] এজন্য এদেরকে একটি বিরাট ব্যাসার্ধ্যের গোলকের ভেতরের পৃষ্ঠের কিছু স্থির বিন্দু বলে ভ্রম হয়। পৃথিবী পৃষ্ঠে দণ্ডায়মান একজন দর্শক কেবল এই গোলকের উপরের অর্ধাংশই দেখতে পান।[2] এর ভিত্তিতে একজন দর্শককে কেন্দ্র করে অসীম বা যেকোন ব্যাসার্ধ্যের গোলক কল্পনা করা যায়। এই গোলককেই খ-গোলক বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে খ-গোলকের কোন নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধ্য থাকে না।
খ-গোলকের রাশিসমূহ
খ-অক্ষাংশ,খ-দ্রাঘিমাংশ আকাশ গোলক দুইটি বৃহৎ-বৃত্ত পৃথিবীর কোন স্থানের উপর নির্ভর করে না।এই দুইটি খ-বিষুব এবং সূর্য পথ , দিগন্ত মধ্যরেখা প্রধান ঊর্ধ্ব বৃত্ত বিভিন্ন স্থানের জন্য বিভিন্ন। কিন্তু খ বিষুব এবং সূর্য পথ পৃথিবীর যে কোন স্থানের জন্য একই ।পূর্বে দেখা গেছে যে বিষুব এবং শূন্য ঘণ্টা কালবৃত্তকে নির্দেশক বৃত্ত নিয়ে আকাশে যে কোন খ-বস্তুর অবস্থান নির্দেশ করা যেতে পারে।অনুরুপ ভাবে সূর্যপথকে একটা নির্দেশক বৃত্ত মনে করে ও খ-বস্তুর অবস্থান নির্দেশ করা যেতে পারে।
তথ্যসূত্র
- Robin Kerrod. The Star Guide.1993. Prentice Hall General Reference. New York. আইএসবিএন ০-৬৭১-৮৭৪৬৭-৫
- V.Krishnamurthy. The Clock of the Night Sky.1998. UBS Publishers. New Delhi