খোদার পাথর ভিটা
খোদার পাথর ভিটা বগুড়ার মহাস্থানগড়ে অবস্থিত একটি ঢিবি বা ভিটা।[1] এটি বাংলাদেশের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।
খোদার পাথর ভিটা | |
---|---|
স্থানীয় নাম ইংরেজি: খোদার পাথর ভিটা | |
ধরন | প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন |
অবস্থান | মহাস্থানগড় |
অঞ্চল | বগুড়া |
নির্মিত | সুলতানী আমল |
পরিচালকবর্গ | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
মালিক | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
সূত্র নং | BD-E-03-82 |
ইতিহাস
এই ভিটার ধ্বংসাবশেষ পাল শাসনামলের প্রথম দিকের (আনুমানিক খ্রিস্টীয় আট শতক) বলে জানা গেছে। ১৯৭০ সালে এ ঢিবি বা ভিটাতে খননকার্য করে একটি মন্দির এবং তার সাথে ছোটখাটো কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া যায়। এই ঢিবির উপরিভাগে গ্রানাইট পাথরের একটি বিশাল চৌকাঠ পাওয়া যায় এবং এ থেকেই স্থানীয় জনগণ ঢিবির এমন অদ্ভুত নামকরণ করেছে। এখানে খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত খোদাইকৃত প্রস্তর খন্ডগুলির মধ্যে একই সারিতে আসীন অবস্থায় তিনটি বৌদ্ধমূর্তি পাওয়া গিয়েছিল। যা বর্তমানে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে রক্ষিত আছে। এখনও মাটির নিচে চাপা পড়া অবস্থায় আছে প্রত্নস্থলটির কাঠামোর ধংসাবশেষ। শুধু বিশাল চৌকাঠটি এখানে দেখা যায়।
অবকাঠামো
আয়তাকার এই বৌদ্ধ মন্দিরটি ছিল পূর্বাভিমুখী। এর মেঝে ছিল পাথরে বাঁধানো। পাথরে বাঁধানো ভিতের উপরের দেয়াল ছিল ইটের তৈরী যা কাদামাটিতে গাঁথা। আনুমান করা হয় দরজার চৌকাঠের বাজু, দরজার উপরের দিকের অলংকৃত অংশ এবং সরদল পাথর দিয়ে নির্মিত ছিল। এখানকার গ্রানাইট পাথরের চৌকাঠটিতে দরজার হুড়কো লাগাবার দুইটি ছিদ্র দেখা যায়। এছাড়া উপরের দিকে রয়েছে ফোকর এবং উদ্গত ফুলের নকশা। এখানে হিন্দুরা নগ্ন পায়ে এই চৌকাঠটিতে দুধ ঢেলে ভক্তি নিবেদন করত এবং যা বর্তমানেও প্রচলিত আছে।
চিত্রশালা
- পাথরে দুধ দিচ্ছেন এক দর্শনার্থী
- পাথরে দুধ দিচ্ছেন এক দর্শনার্থী
- খোদার পাথর ভিটা
- গ্রানাইট পাথরের প্রকান্ড চৌকাঠ
- গ্রানাইট পাথরের প্রকান্ড চৌকাঠ
- খোদার পাথর ভিটায় দর্শনার্থী ভীর