খুরমা উত্তর ইউনিয়ন
খুরমা উত্তর ইউনিয়ন বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।[1][2]
খুরমা উত্তর | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
৬ নং খুরমা উত্তর | |
খুরমা উত্তর খুরমা উত্তর | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫৭′৪৭.০০২″ উত্তর ৯১°৩৭′৫৩.০০০″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | সুনামগঞ্জ জেলা |
উপজেলা | ছাতক উপজেলা |
ইউনিয়ন পরিষদ | ৬ নম্বর খুরমা উত্তর ইউনিয়ন |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | বিল্লাল আহমেদ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ২,৬৮০ হেক্টর (৬,৬২৩ একর) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ১৭,৪১৪ |
• জনঘনত্ব | ৬৫০/বর্গকিমি (১,৭০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩০৮০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৯০ ২৩ ৯৪ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
ইউনিয়নের ইতিহাস
ইউনিয়ন,বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলের সর্বনিম্ন প্রশাসনিক ইউনিট। গ্রাম চৌকিদারি আইনের ১৮৭০ এর অধীনে, ১৮৭০ সালে কিছু পল্লী সংস্থা গঠনের উদ্যোগ নেয়া হলে ইউনিয়নের সৃষ্টি হয়। এ আইনের অধীনে প্রতিটি গ্রামে পাহারা টহল ব্যবস্থা চালু করার উদ্দেশ্যে কতগুলো গ্রাম নিয়ে একটি করে ইউনিয়ন গঠিত হয়। এই প্রক্রিয়ার বিকাশের মধ্য দিয়ে একটি স্থানীয় সরকার ইউনিটের ধারণার সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এর ভূমিকা নিরাপত্তামূলক কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকলে ও পরবর্তী কালে এটিই স্থানীয় সরকারের প্রাথমিক ইউনিটের ভিত্তিরুপে গড়ে উঠে।তারই ফলশ্রুতিতে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার খুরমা ইউনিয়নের জন্ম যা ভেঙে পরবর্তীতে খুরমা উত্তর ইউনিয়ন গড়ে উঠে।খুরমা উত্তর ইউনিয়নের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন জনাব আব্দুল কদ্দুছ।
ইউনিয়নের ওয়ার্ড ও গ্রাম
খুরমা উত্তর ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ড, ৩৫টি গ্রাম, ১৮টি মৌজা রয়েছে। গ্রামগুলো ভোটার সংখ্যাসহ উল্লেখ করা হলোঃ
০১ নং ওয়ার্ডঃ
- মোহনপুর - ১০৫০ জন
- তেরাপুর - ৩৯৩ জন
- মানজিহারা - ২৮১ জন
০২ নং ওয়ার্ডঃ
- আলমপুর - ১১৮০ জন
- ঘিলাছড়া -৮১১ জন
- হামিদপুর - ৮৭ জন
০৩ নং ওয়ার্ডঃ
- নয়া মৈশাপুর - ১২৯১ জন
- তকিরাই - ৩১০ জন
- নোয়াগাঁও - ৪১৩ জন
- দাহারগাঁও -৩২০ জন
০৪ নং ওয়ার্ডঃ
- সেওতরপাড়া - ১৪৪৬ জন
- হলিয়ারগাঁও - ২৯২ জন
- মৈশাপুর - ১০৫০ জন
- চাড়ালকোনা - ২৫৬ জন
০৫ নং ওয়ার্ডঃ নাদামপুর - ৬৯১ জন
- নানশ্রী - ৪৬২ জন
- ইসলামপুর - ১৭০ জন
- রসুলপুর - ৫২১ জন
০৬ নং ওয়ার্ডঃ
- কাঞ্চনপুর - ৬৭৫ জন
- নানশ্রী - ৬৭০ জন
- শৌলা - ৩৮২ জন
- একলিমনগর -২২০ জন
- গৌরীপুর - ৪০ জন
- রাজার গাঁও - ৩৩৩ জন
- নয়া রাজার গাঁও - ৯৫ জন
০৭ নং ওয়ার্ডঃ
- বিহাই আদর্শ গ্রাম - ৯৭৯ জন
- আমেরতল - ৭৩৬ জন
- ফুরকান নগর - ৩১৩ জন
০৮ নং ওয়ার্ডঃ
- লক্ষ্মীপাশা - ১৪১২ জন
- জামিরখাই - ৩২৩ জন
- গাবুরগাঁও - ৩৫৪ জন
০৯ নং ওয়ার্ডঃ
- রুক্কা - ৭৪৩ জন
- গদারমহল - ৩৫৬ জন
- চলিতারবাঁক - ১২৬ জন
- ঘাটপার - ২৬৯ জন
যোগাযোগ ব্যবস্থা
ছাতক উপজেলা শহরের পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন হওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে সহজেই যোগাযোগ করা যায়। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক ও ছাতক-জাউয়া সড়কের মধ্যখানে ইউনিয়নের অবস্থান হওয়ায় ইউনিয়নবাসী যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক দিয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। দোহালিয়া-ধারণবাজার রাস্তা ইউনিয়নের দুইপাশের জনগোষ্ঠীকে মেলবন্ধনে আবদ্ধ করেছে। এছাড়া প্রায় গ্রামের রাস্তা ও বাড়ির রাস্তা পাকা হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম হয়েছে।
ইউনিয়নের নদ-নদী
সুরমার শাখা নদী ঘানুয়ারা নদী ও বোকা নদী ইউনিয়নের প্রধানতম নদী।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- রুক্কা মিফতাহুল উলুম মাদ্রাসা।
- এলঙ্গি মডেল উচ্চবিদ্যালয়।
- গাবুরগাঁও দাখিল মাদ্রাসা।
- জাহানারা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় আমেরতল।
- সিএম মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়।
- হাজী ছোয়াব আলী উচ্চ বিদ্যালয়।
- কাঞ্চনপুর মহিলা মাদ্রাসা।
- মৈশাপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা।
- লতিফিয়া আইডিয়াল ইসলামি কিন্ডার গার্ডেন।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
- মুহিবুর রহমান মানিক, এমপি সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার)
তথ্যসূত্র
- "খুরমা উত্তর ইউনিয়ন"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১১ জুন ২০১৪। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- "ছাতক উপজেলা"। বাংলাপিডিয়া। ৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০।