খুন

খুন বলতে অন্য আরেক মানুষকে বিচার বহির্ভূতভাবে বা বৈধ অজুহাতে, বিশেষ করে সাথে আক্রোশ থেকে পূর্বকল্পিত ভাবে বেআইনিভাবে জীবন নেয়া বা হত্যা করারে বুঝায়।[1][2][3]

১৮৯৭ সালে আলফ্রেড চার্চ দ্বারা গ্রীক ট্র্যাজেডিয়দের আগামেমনন খুনের গল্পগুলির একটি ঘটনার অঙ্কন

বেশিরভাগ সমাজই খুনকে অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করে এবং একমত যে, খুনে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিকে প্রতিরোধ, পুনর্বাসন বা অক্ষম করার বা প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে কঠোর শাস্তি প্রদান করা উচিত। অধিকাংশ দেশে, একজন ব্যক্তি খুনি সাব্যস্ত সাধারণত একটি দীর্ঘমেয়াদী জেল, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড; এবং কিছু ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে।[4]

আধুনিক ইংরেজি শব্দ "murder" এর অর্থ প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপীয় "mrtro" থেকে এসেছে যার অর্থ "মারা যাওয়া"।[5] মধ্য ইংরেজি ইংলিশ মর্ড্রে অ্যাংলো-স্যাক্সন মুরোর এবং প্রাচীন ফরাসি খুনের একটি বিশেষ্য। মধ্য ইংরেজি ইংলিশ মর্ড্রে অ্যাংলো-স্যাক্সন মাইর্ডিয়ান এবং মধ্য ইংরেজি বিশেষ্য এর ক্রিয়াপদ। [6]

বাংলা শব্দ খুন ফার্সি খূন্ (جو ن) হতে বাংলায় এসেছে।[7]

সংজ্ঞা

অষ্টাদশ শতাব্দীর ইংরেজি আইনবিদ উইলিয়াম ব্ল্যাকস্টোন (অ্যাডওয়ার্ড কোকের উদ্ধৃতি দিয়ে) ইংল্যান্ডের আইন সম্পর্কিত বক্তব্যে খুনের সাধারণ আইন সংজ্ঞাটি নির্ধারণ করেছিলেন।

বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ধারা-৩০০: খুনের সংজ্ঞা-খুন বলতে কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে উচ্ছাকৃতভাবে, ব্যক্তিগত আক্রোশবশত-কিংবা কোন হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভা: উক্ত অপর ব্যক্তিকে হত্যা করে তবে তাকে খুন বলা হয়। ব্যতিক্রান্ত ক্ষেত্রসমূহ ব্যতীত অপরাধজনক নরহত্যাকে খুন বলে গণ্য হবে।

ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় মনোভাব

একাদশ শতকের গোড়ার দিকে এক ভ্রমণকারীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হচ্ছে।

আব্রাহামিক ধর্মে প্রথম খুন সংঘঠিত হয় কেইন কৃতক তার ভাই এবলকে ইষায় খুন করার মাধ্যমে।[8]

কুরআন অনুসারে ইসলামে সবচেয়ে বড় পাপ হল এমন কোন মানুষকে হত্যা করা যিনি কোনও দোষ করেন নি। "এই কারণেই বনি ইসরাইলিদের এই বিধান দিলাম যে নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করার কারণ ব্যতীত যদি কেউ কাউকে হত্যা করে সে যেন দুনিয়ার সকল মানুষকেই হত্যা করল। যদি কেউ একটি প্রাণ রক্ষা করে সে যেন সকল মানুষের প্রাণ রক্ষা করলো। অতপর যদিও তাদের নিকট আমার রাসূলগণ স্পষ্ট প্রমাণসহ এসেছিল এরপরও তাদের মধ্যে অনেকেই সীমালঙ্ঘনকারীই থেকে গেল।"কুুুরআন ৫:৩২

অন্য সূরার একটি আয়াতে বলা হয় "এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না,-যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে।"[কুরআন ২৫:৬৮]

তথ্যসূত্র

  1. West's Encyclopedia of American Law Volume 7 (Legal Representation to Oyez)। West Group। ১৯৯৭। আইএসবিএন 978-0314201607। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  2. "Murder"Merriam-Webster। ২ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  3. The American Heritage Dictionary (5 সংস্করণ)। Random House Publishing Group। ২০১২। আইএসবিএন 978-0553583229। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ("The killing of another person without justification or excuse, especially the crime of killing a person with malice aforethought or with recklessness manifesting extreme indifference to the value of human life.")
  4. Tran, Mark (২০১১-০৩-২৮)। "China and US among top punishers but death penalty in decline"The Guardian। London। ২০১৭-০২-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
  5. Bynon, Theodora (১৯৭৭)। Historical Linguistics। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0521291880। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  6. Nielson, William A.; Patch, Howard R. (১৯২১)। Selections from Chaucer। Harcourt, Brace & Co.। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  7. https://bn.wiktionary.org/wiki/%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%A8
  8. Schimmel, Solomon. "Envy in Jewish thought and literature." Envy: Theory and research (2008): 17–38.
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.