খালিশপুর নীলকুঠি ভবন
খালিশপুর নীলকুঠি ভবন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।[1] ইংরেজ আমলে নির্মিত এ নীলকুঠিটি উপজেলার খালিশপুর নামক গ্রামে অবস্থিত।
খালিশপুর নীলকুঠি ভবন | |
---|---|
ধরন | প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন |
অবস্থান | মহেশপুর উপজেলা |
অঞ্চল | ঝিনাইদহ জেলা |
পরিচালকবর্গ | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
মালিক | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
সূত্র নং | BD-D-23-70 |
ইতিহাস
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ভারত উপমহাদেশে নীলচাষ শুরু করার পর অন্যান্য অঞ্চলের মত খালিশপুরেও এই নীলকুঠিটি নির্মাণ করেন। খালিশপুর নীলকুঠিটি ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত। নির্মাণের পর ১৮১০ থেকে ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত এই নীলকুঠিটি নীলচাষের জন্য ব্যবহার করা হতো।[2] উপমহাদেশে নীল বিদ্রোহের সূচনা হওয়ার পর অন্যান্য নীলকুঠির মত এ নীলকুঠিটিও ইংরেজরা রেখে চলে যান। পরবর্তীতে জমিদাররা এটি তাদের কাছারি হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় তৎকালীন নীলকুঠির মালিক জমিদারও জায়গাটি ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে এটি মূলত পরিত্যক্ত।
বর্তমানে নীলকুঠি ভবন ও এর সংলগ্নজমিটি বাংলাদেশ সরকারের অধীনে রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা হিসেবে নথিভুক্ত করে। নীলকুটির পাশেই রয়েছে একটি আমবাগান। নীলকুটি ও আমবাগান মিলিয়ে সংলগ্ন এ জায়গাটি
তথ্যসূত্র
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান গ্রন্থাগার