খামোশি: দ্যা মিউজিক্যাল

খামোশি: দ্য মিউজিকাল ১৯৯৬ সালের একটি ভারতীয় হিন্দি ভাষায় সংগীত প্রণয়ধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সঞ্জয় লীলা বনশালীর পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন মনীষা কৈরালা, নানা পাটেকর এবং সালমান খান। চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে সফল হয়নি তবে হিন্দি সিনেমার অন্যতম সেরা সংগীত চলচ্চিত্র হিসাবে উল্লেখ করা হয়। [1][2] বধির-নিঃশব্দ দম্পতির কন্যা অ্যানির (মনীষা কৈরালার) অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল এবং আজ অবধি এটি তার (মনীষা কৈরালার) অন্যতম সেরা অভিনয় হিসাবে বিবেচিত। মনীষা কৈরালা সেরা অভিনেত্রীর স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড এবং সেরা অভিনেত্রীর জন্য পরপর দ্বিতীয় ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার সহ তিনি বেশ কয়েকটি পুরস্কার জিতেছিলেন। ছবিটির সংগীতায়োজন করেছেন যতীন – ললিত ।

খামোশি: দ্যা মিউজিক্যাল
চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকসঞ্জয় লীলা বনশালি
রচয়িতাসঞ্জয় লীলা বনশালি
সুতাপা সিকদার
শ্রেষ্ঠাংশেনানা পাটেকর
সালমান খান
মনীষা কৈরালা
মুক্তি০৯ আগস্ট ১৯৯৬
দৈর্ঘ্য১৬০ মিনিট
ভাষাহিন্দী

গল্প

গল্পটি বধির ও নিঃশব্দ দম্পতি জোসেফ ( নানা পাটেকার ) এবং ফ্লাভি ব্রাগানজা ( সীমা বিশ্বাস ) কে নিয়ে। তাদের অ্যানি নামে (তরুণ অ্যানির চরিত্রে প্রিয়া পারুলেকার অভিনয় করেছেন) একটি বাচ্চা মেয়ে আছে, যিনি কথা বলতে ও শুনতে সক্ষম। কয়েক বছর পরে তাদের আরও একটি বাচ্চা হয়, স্যাম নামে একটি ছেলে বাচ্চা, সে কথা বলতে এবং শুনতে পারে। অ্যানির জীবন দুটি ভাগে বিভক্ত একটি তার বাবা-মা এবং অন্যটি সংগীত। অ্যানি তার দাদি, মারিয়া ব্রাগানজা ( হেলেন ) এর কাছ থেকে তাঁর সংগীত অনুপ্রেরণা পান।

কয়েক বছর পরে, স্যামের মর্মান্তিক মৃত্যুর পরে, অ্যানির ( মনীষা কৈরালা ) জীবন ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সংগীত এবং গান ম্লান হয়ে যায়। অ্যানি বড় হওয়ার পর সে আবার সংগীতের সংস্পর্শে আসে রাজ ( সালমান খান ) এর সাথে পরিচয় হওয়ার পর। পরবর্তিতে তিনি তার প্রেমে পড়েন। সে আবার গান শুরু করে।

অ্যানি রাজকে বিয়ে করে এবং একটি ছেলের জন্ম দেয়, যার নাম তারা তার ভাইয়ের নামে স্যাম রাখে। তিনি, রাজ এবং স্যাম তার সাথে পুনর্মিলন করতে জোসেফের বাড়িতে যান। জোসেফ অ্যানির ছেলেকে গ্রহণ করে এবং রাজকে তার জামাই হিসাবে অনুমোদন দেয়। যতক্ষণ না তাদের জীবন একটি কঠোর মোড় নেয় ততক্ষণ বিষয়গুলি সত্যই সুন্দর। অ্যানি এবং রাজের এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায়; অ্যানি গুরুতর আহত হয়ে কোমায় চলে যায়। জোসেফ, ফ্লেভি এবং রাজ তাকে পুনরজ্জীবিত করার জন্য কঠোর চেষ্টা করে, এমনকি স্যামের খাতিরে তাকে আবেগময়ভাবে উতৎসাহিত করার চেষ্টা করে। আত্মহুত রাজ, জোসেফের নিঃশব্দ "ভাষা" এবং ফ্ল্যাভির প্রেম আশা অ্যানিকে আবার সচেতন করে তোলে।

শ্রেষ্ঠাংশে

সঙ্গীত

নং.শিরোনামদৈর্ঘ্য

সংগীতগুলো সুর করেছিলেন যতীন ললিত। হুইয়া হো এবং ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর কম্পোজ করেছিলেন সুরঞ্জয় ভট্টাচার্য, যিনি পরবর্তীতে হাম দিল দে চুক সানাম এবং দেবদাসে ভনসালির জন্য কম্পোজ করেছিলেন। গানের কথা লিখেছেন মাজরুহ সুলতানপুরী ।

ট্র্যাক নং শিরোনাম কন্ঠশিল্পী স্থিতিকাল
০১ "বাহো কে দারমিয়ান" হরিহরন, আলকা ইয়্যাগনিক ৬.৪৯
০২ "আঁখোং মেং কেয়া" কুমার সানু ৭.২৫
০৩ "গাতে থে পেলে একলে" কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, শ্রদ্ধা পণ্ডিত, খুসুমুম ৫.৫৭
০৪ "জানা সুনো হাম তুমি পে মারতে হ্যায়" উদিত নারায়ণ ৫.১৩
০৫ "আজ মে উপার" কবিতা কৃষ্ণমূর্তি ও কুমার সানু ৫.৩১
০৬ "ইয়ে দিল সুন রাহা হ্যায়" কবিতা কৃষ্ণমূর্তি ৬.০৬
০৭ "সাগর কিনারে ভী দো দিল হ্যায় পাইসে" উদিত নারায়ণ, সুলক্ষন পণ্ডিত ও যতীন পণ্ডিত ৬.০০
০৮ "মৌসাম কে সরগম কো সুন" কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, শ্রদ্ধা পণ্ডিত ৬.২৮
০৯ "শিংগা-লীংগা" ^ রেমো ফার্নান্দেস, ডোমিনিক সেরেজো ৫.৩৪
১০ "হুইয়া হো" ^ রেমো ফার্নান্দেস, ডোমিনিক সেরেজো ৪.২৭

পুরস্কার

১৯৯৬ ফিল্মফেয়ার পুরস্কার

১৯৯৬ স্টার স্ক্রিন পুরস্কার

তথ্যসূত্র

  1. "BoxOffice India.com"। ১০ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০২০
  2. "Streaming Guide: Sanjay Leela Bhansali movies"The Indian Express। ৩ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২০

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.