ক্রিয়েটিনিন

ক্রিয়েটিনিন হচ্ছে মাংসপেশির ক্রিয়েটিন ফসফেট ভেঙে তৈরী হওয়া উৎপাদ। এটা শরীরে সর্বদা একটা নির্দিষ্ট অনুপাতে তৈরী হতে থাকে। তবে এটা পেশীর ভর বা ঘনত্বের উপর নির্ভর করে। মানবশরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে কিডনি ঠিকমত কাজ করছে না। ক্রিয়েটিনিন কমানোর কোনো ওষুধ নাই এলোপ্যাথিতে। হোমিওপ্যাথি ছাড়া এর আর কোন কার্যকর চিকিৎসা নেই। মূলত কিছু বিশেষ রোগ হলে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। যেসব রোগের কারণে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে সেসব রোগের চিকিৎসা করালেই ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

ক্রিয়েটিনিন
নামসমূহ
পছন্দসই ইউপ্যাক নাম
২-অ্যামিনো-১-মিথাইল-৫এইচ-ইমিডাজোল-৪-১
পদ্ধতিগত ইউপ্যাক নাম
২-অ্যামিনো-১-মিথাইল-১এইচ-ইমিডাজোল-৪-ওল
অন্যান্য নাম
২-অ্যামিনো-১-মিথাইলিমিডাজোল-৪-ওল
শনাক্তকারী
সিএএস নম্বর
ত্রিমাত্রিক মডেল (জেমল)
থ্রিডিমেট
বেইলস্টেইন রেফারেন্স 112061
সিএইচইবিআই
সিএইচইএমবিএল
কেমস্পাইডার
ড্রাগব্যাংক
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড ১০০.০০০.৪২৪
ইসি-নম্বর
কেইজিজি
এমইএসএইচ Creatinine
পাবকেম CID
ইউএনআইআই
ইউএন নম্বর 1789
কম্পটক্স ড্যাশবোর্ড (EPA)
ইনকি
  • InChI=1S/C4H7N3O/c1-7-2-3(8)6-4(7)5/h2,8H,1H3,(H2,5,6) Y
    চাবি: BTXYOFGSUFEOLA-UHFFFAOYSA-N Y
  • InChI=1/C4H7N3O/c1-7-2-3(8)6-4(7)5/h2H2,1H3,(H2,5,6,8)
    চাবি: DDRJAANPRJIHGJ-UHFFFAOYAV
এসএমআইএলইএস
  • CN1CC(=O)N=C1N
  • CN1CC(=O)NC1=N
বৈশিষ্ট্য
C4H7N3O
আণবিক ভর ১১৩.১২ g·mol−১
বর্ণ সাদা স্ফটিক
ঘনত্ব ১.০৯ g cm−৩
গলনাঙ্ক ৩০০ °সে (৫৭২ °ফা; ৫৭৩ K)[1] (গলে যায়)
পানিতে দ্রাব্যতা
প্রতি ১২তে ১ অংশ[1]

২০° সেলসিয়াসে ৯০ mg/ml[2]

লগ পি -১.৭৬
অম্লতা (pKa) ১২.৩০৯
Basicity (pKb) ১.৬৮৮
আইসোইলেকট্রিক বিন্দু ১১.১৯
তাপ রসায়নবিদ্যা
তাপ ধারকত্ব, C ১৩৮.১ J K−1 mol−১ (২৩.৪ °C এ)
স্ট্যন্ডার্ড মোলার
এন্ট্রোফি
এস২৯৮
১৬৭.৪ J K−1 mol−১
গঠনে প্রমান এনথ্যাল্পির পরিবর্তন ΔfHo২৯৮ −২৪০.৮১-২৩৯.০৫ kJ mol−১
দহনে প্রমান এনথ্যাল্পির পরিবর্তন ΔcHo298 −২.৩৩৫৩৯-২.৩৩৩৬৭ MJ mol−১
ঝুঁকি প্রবণতা
এনএফপিএ ৭০৪
ফ্ল্যাশ পয়েন্ট ২৯০ °সে (৫৫৪ °ফা; ৫৬৩ K)
সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ছাড়া, পদার্থসমূহের সকল তথ্য-উপাত্তসমূহ তাদের প্রমাণ অবস্থা (২৫ °সে (৭৭ °ফা), ১০০ kPa) অনুসারে দেওয়া হয়েছে।
না যাচাই করুন (এটি কি Yনা ?)
তথ্যছক তথ্যসূত্র

ক্রিয়েটিনিন ও কিডনি রোগ

কিডনি বিকল রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীর উপসর্গের ইতিহাস, শারীরিক পরীক্ষা ছাড়াও প্রাথমিকভাবে রক্তের ইউরিয়া,ক্রিয়েটিনিন এবং ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা করা হয়৷ কিডনির কার্যকারিতা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তের ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায়৷ পটাশিয়ামের পরিমাণ বাড়তে থাকে ও বাইকার্বোনেট কমে যায়৷ এছাড়াও ফসফেট শরীরে জমতে শুরু করে, যার ফলে ক্যালসিয়াম কমে যেতে বাধ্য হয় এবং অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও শুরু হতে থাকে৷ এরপরে কি কারণে ধীরগতিতে কিডনি বিকল হয়েছে তা বের করার জন্য প্রস্রাব পরীক্ষা করে এ্যালবুমিন আছে কিনা তা দেখা হয় এবং লোহিত ও শ্বেত কণিকা আছে কিনা তাও দেখে নেয়া হয়৷ প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টার প্রস্রাবে প্রোটিনের পরিমাণও দেখা হয়।[3]

পরিমাপ

যুক্তরাষ্ট্র এবং অধিকাংশ ইউরোপীয় দেশে ক্রিয়েটিনিন পরিমাণের একক mg/dL, অন্যদিকে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং কিছু ইউরোপীয় দেশে পরিমাপের একক হলো μmol/L। এক mg/dL ক্রিয়েটিনিন হচ্ছে 88.4 μmol/L।

রক্তে ক্রিয়েটিনিন - এর স্বাভাবিক মাত্রা

  • স্বাভাবিক নারীদের ক্ষেত্রে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা থাকে ০.৫-১.১ মিলিগ্রাম।
  • স্বাভাবিক পুরুষের ক্ষেত্রে প্রতি ডেসি লিটার রক্তে এর মান ০.৬-১.২ মিলিগ্রাম।
  • একটা কিডনী যাদের নেই তাদের ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা প্রতি ডেসি লিটার রক্তে ১.৮ মিলিগ্রাম পর্যন্ত স্বাভাবিক।
  • কিশোরদের ক্ষেত্রে প্রতি ডেসি লিটার রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ০.৫-১.০ মিলিগ্রাম
  • শিশুদের ক্ষেত্রে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ০.৩-০.৭ মিলিগ্রাম/ডিএল
  • প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে রক্তে ক্রিয়েটিনিন ৫.০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের চেয়ে বেশি হলে কিডনী ড্যামেজ হয়েছে বুঝা যায়।

তথ্যসূত্র

  1. Merck Index, 11th Edition, 2571
  2. "Creatinine, anhydrous - CAS 60-27-5"Scbt.com
  3. https://nhd.gov.bd/mobile/content/কিডনি_বিকলতার_লক্ষণ_ও_চিকিৎসা%5B%5D
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.