ক্রিকেট মাঠ
একটি ক্রিকেট মাঠ হল একটি বৃহৎ তৃণআচ্ছাদিত মাঠ, যেখানে ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। যদিও আকারে সাধারণত উপবৃত্তের মত, এর মধ্যেও আবার বিভিন্ন ধরন রয়েছে: কিছু প্রায় নিখুঁত বৃত্তের মত, কিছু লম্বাটে উপবৃত্তাকার এবং কিছু সম্পূর্ণ অনিয়মিত আকারের,- যার কোনও প্রতিসাম্য নেই – তবে তাদের সকলেরই সম্পূর্ণ বক্র সীমানা থাকে, তার কোন ব্যতিক্রম হয়না। মাঠের জন্য কোনও নির্দিষ্ট মাত্রা থাকেনা তবে এর ব্যাস সাধারণত ৪৫০ ফুট (১৩৭ মি) এবং ৫০০ ফুটের (১৫০ মি) মধ্যেই হয়। বড় খেলাগুলির মধ্যে ক্রিকেট একটু অস্বাভাবিক (গল্ফ, অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবল এবং বেসবল সহ) যেখানে পেশাদার খেলার জন্য নির্দিষ্ট আকারের কোনও স্থিরীকৃত নিয়ম নেই। বেশিরভাগ মাঠে, একটি দড়ি দিয়ে মাঠের পরিধি নির্দিষ্ট করা হয় এবং সেটি বাউন্ডারি নামে পরিচিত।
সীমানার মধ্যে এবং সাধারণত যতটা সম্ভব কেন্দ্রের কাছাকাছি, থাকে বর্গক্ষেত্র, যেটি সাবধানে প্রস্তুত ঘাসের একটি অঞ্চল। সেখানে ক্রিকেট পিচ প্রস্তুত করে খেলার জন্য চিহ্নিত করা হয়। পিচের মধ্যে ব্যাটসম্যান তাকে করা বলকে ব্যাট দিয়ে মারে এবং রান করার জন্য দুই পাশের উইকেটের মধ্যে দৌড়োয়, ফিল্ডিং দল এটিকে প্রতিরোধ করতে বলটি যে কোন এক দিকের উইকেটে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
মাঠের মাপ
আইসিসি, প্রমাণ খেলার শর্তাবলীতে, আন্তর্জাতিক খেলাগুলির জন্য খেলার মাঠের সর্বনিম্ন এবং সর্বাধিক আকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। আইসিসির আইন ১৯.১.৩[1] অনুযায়ী পুরুষদের টেস্ট ম্যাচ খেলার শর্তগুলির পাশাপাশি আইসিসি পুরুষদের এক দিবস আন্তর্জাতিক খেলার শর্তগুলির বিবরণ:
১৯.১.৩ লক্ষ্য থাকবে প্রতিটি ক্ষেত্রে খেলার মাঠের আকার সর্বাধিক করা। বাউন্ডারির আকারের সাপেক্ষে, কোনও বাউন্ডারি ৯০ গজের (৮২.২৯ মিটার) বেশি হবে না, এবং কোনও বাউন্ডারি ব্যবহৃত পিচের কেন্দ্র থেকে ৬৫ গজের (৫৯.৪৩ মিটার) চেয়ে কম হওয়া উচিত নয়।
তদতিরিক্ত, শর্তানুযায়ী "দড়ি" এবং আশেপাশের বেড়া বা বিজ্ঞাপন বোর্ডের মধ্যে সর্বনিম্ন তিন গজ ব্যবধান থাকা প্রয়োজন। এর ফলে খেলোয়াড়েরা বল ধরার জন্য ঝাঁপ দিলে তাদের চোটের ঝুঁকি থাকবেনা।
শর্তগুলিতে একটি প্রাচীনত্বের ধারা রয়েছে, যার ফলে ২০০৭ সালের অক্টোবরের আগে নির্মিত স্টেডিয়ামগুলি ছাড় পেয়েছে। তবে বেশিরভাগ স্টেডিয়াম যেগুলিতে নিয়মিত আন্তর্জাতিক খেলা হয়, সেগুলি সহজেই ন্যূনতম মাপকাঠি পূরণ করে।
একটি সাধারণ টেস্ট ম্যাচ স্টেডিয়াম এই সংজ্ঞায়িত সর্বনিম্নের চেয়ে বড় হয়, যেখানে ২০,০০০ বর্গ গজ বেশি ঘাস থাকবে (যেখানে সোজা দিকে বাউন্ডারির মাপ প্রায় ৮০ মিটার)।[2] বিপরীত দিকে, একটি ফুটবল মাঠে মাত্র ৯,০০০ sq yd (৭,৫০০ মি২) ঘাস থাকলেই চলে, এবং একটি অলিম্পিক স্টেডিয়ামে এর ৪০০ মিটার দৌড় পথের মধ্যে ৮,৩৫০ বর্গ গজ পরিমান ঘাস থাকে, অর্থাৎ ক্রিকেটের উদ্দেশ্যে তৈরি না হওয়া স্টেডিয়ামগুলিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সম্ভব নয়। যাইহোক, স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়া, যেখানে ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকের আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানে দৌড়পথটি তৃণাচ্ছাদিত করা হয়েছিল এবং ৩০,০০০টি আসন সরিয়ে নিয়ে মাঠটিকে ক্রিকেট খেলার যোগ্য করা হয়েছিল, এতে খরচ পড়েছিল অস্ট্রেলীয় $৮০ মিলিয়ন[3] এই কারণে প্রচলিত ক্রিকেট খেলিয়ে দেশগুলির বাইরে সাধারণত ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা যায় না। এখন কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কেনিয়ার মতো কয়েকটি টেস্ট না খেলা দেশ, টেস্ট খেলার মানের স্টেডিয়াম তৈরি করেছে।
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- "Cricket Rules and Regulations | ICC Rules of Cricket"। www.icc-cricket.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২৭।
- "Archived copy"। ১ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১০। A flag measuring 340ft x 510ft i.e. 173,400 sq.ft (19,266 sq. yds) was unveiled at the National Stadium, Karachi. This video <https://www.youtube.com/watch?v=xfbOUUYohxc> shows that the rectangular flag, when fully unfurled, comfortably fit within the playing area.
- "CSA rules out cricket at FIFA World Cup venues | Cricket | ESPN Cricinfo"। Cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৬।