ক্রান্তিবীর

ক্রান্তিবীর একটি বলিউড নির্মিত হিন্দি অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্র। ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত এই সিনেমার পরিচালক-প্রযোজক ছিলেন মেহুল কুমার। তেলুগু ভাষায় এই চলচ্চিত্রটির পুনঃনির্মাণ হয় 'পূণ্য ভুমি না দেশম' নামে। কন্নড় ভাষাতেও পুনঃনির্মাণ হয়, যার নাম ছিল 'পারোদি'।

ক্রান্তিবীর
পরিচালকমেহুল কুমার
প্রযোজকমেহুল কুমার
শ্রেষ্ঠাংশেনানা পাটেকর
ডিম্পল কাপাডিয়া
অতুল অগ্নিহোত্রী
মমতা কুলকার্নি
ড্যানি ডেনজংপা
পরেশ রাওয়াল
সম্পাদকইউসুফ সেখ
পরিবেশকমেহুল মুভিজ প্রাইভেট লিমিটেড
মুক্তি
  • ২২ জুলাই ১৯৯৪ (1994-07-22)
দৈর্ঘ্য১৫৯ মিনিট
দেশভারত
ভাষাহিন্দি

কাহিনী

স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাতি প্রতাপ উচ্ছৃঙ্খল ও জুয়াড়ি, সে কারণে বাড়ি থেকে তাকে তাড়িয়ে দেন প্রতাপের মা। বাড়িছাড়া প্রতাপ বোম্বাই চলে আসে। সমুদ্রে ডুবে যাওয়া থেকে ব্যবসায়ী ও লক্ষীনগর বস্তির মালিক লক্ষীদাসের ছেলে অতুলকে বাঁচালে লক্ষীদাস তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন ও বড় ছেলের মর্যাদা দেন। একসাথে তারা মানুষ হয়। বস্তির একটি ঘরে সাংবাদিক মেঘা দীক্ষিত থাকে। সে সমাজবিরোধী, দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ, উঁচুতলার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কাগজে লিখতে থাকলে তার ওপর হামলা হয়। প্রতাপ তাকে বাঁচায়। বস্তির হিন্দু মুসলিম ঐক্য নষ্ট করে তা দখল করতে চায় প্রমোটার ও রাজনীতিবিদেরা কিন্তু প্রতাপ সর্বদা তাদের আক্রমণ রুখে দেয়। ব্যবসায়ী যোগরাজের মেয়ে মমতা বস্তির ছেলে অতুলকে ভালবাসে জেনে প্রথমে রেগে গেলেও যোগরাজ পরে খুশি হয় এই ভেবে যে বোম্বে শহরে বিরাট জায়গা জুড়ে থাকা লক্ষীনগরকে দখল করা যাবে। কুখ্যাত অপরাধী চতুর সিং চিতার লোকজন বস্তিতে আগুন লাগিয়ে দেয় কিন্তু দয়ালু লক্ষীদাস বস্তির অধিবাসিদের পাশে দাঁড়ান। যখন কোনোভাবে বস্তি দখল করা গেলোনা তখন লক্ষীদাসকে ভয় দেখিয়ে দলিলে সই করিয়ে খুন করে চতুর সিং। প্রতাপ এই খুনের বদলা নিতে মরিয়া হয় এবং চতুর সিং একটি মন্দিরে পুজো দিতে এলে তার ওপর গুলি চালায়। যদিও বুলেট প্রুফ জ্যাকেট থাকায় সে বেঁচে যায়। এবার দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনের প্রধান, অসৎ পুলিশ আধিকারিক ও বিচারককে দের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রতাপ। ছদ্মবেশে টিভি চ্যানেলের আলোচনা কক্ষে ঢুকে সে সকলকে হত্যা করে। বিচারে তার ফাঁসির আদেশ হয়। জেলে তার মা বহুদিন পরে তাকে দেখতে আসেন সংগে আসে মেঘা। ফাঁসির আগের মূহুর্তে খবর আসে রাষ্ট্রপতি এই সাজা মকুব করেছেন। জনগণ এ সংবাদে উল্লাসে ফেটে পড়ে ও প্রতাপের কাছে ছুটে যায়। এই সময় চতুর সিং মেশিনগান নিয়ে গুলি চালাতে থাকে জনতার উদ্দেশ্যে। প্রতাপ তাকে শেষ পর্যন্ত হত্যা করতে সক্ষম হয়।

অভিনয়

সম্মান

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

  • শ্রেষ্ঠ অভিনেতা - নানা পাটেকর

স্টার স্ক্রীন পুরস্কার

  • শ্রেষ্ঠ অভিনেতা - নানা পাটেকর
  • শ্রেষ্ঠ ডায়লগ নির্মাতা - ইসরাক সুজা
  • শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার - ইসরাক সুজা

সঙ্গীত

ক্রান্তিবীর
আনন্দ-মিলিন্দ কর্তৃক সাউন্ডট্র‍্যাক
মুক্তির তারিখ১৯৯৪
সঙ্গীত প্রকাশনীভেনাস রেকর্ডস
প্রযোজকআনন্দ-মিলিন্দ

এই সিনেমায় মোট ছয়টি গান আছে। সুরকার ছিলেন আনন্দ - মিলিন্দ এবং গীতিকার সমীর।

গান কণ্ঠশিল্পীগণ
চুনরী উড়ি সাজন কুমার শানু, পুর্নিমা
যব সে হম তেরা কুমার শানু অলকা ইয়াগ্নিক
জয় অম্বে, জগদম্বে প্রফুল দেভ, সুদেশ ভোঁসলে
ঝানকারো ঝানকারো উদিত নারায়ণ, স্বপ্না অবস্তি
লাভ র‍্যাপ স্বপ্না মুখার্জি, অমিত কুমার, পুর্নিমা
ফুল কলি চাঁদ উদিত নারায়ন, সাধনা সরগম

তথ্যসূত্র

    বহিঃসংযোগ

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.