কোরা কাগজ

কোরা কাগজ (হিন্দি: कोरा कागज़; বাংলা: শূন্য কাগজ) হল ১৯৭৪ সালের সনত কোঠারি প্রযোজিত এবং অনিল গাঙ্গুলি পরিচালিত একটি হিন্দি চলচ্চিত্র। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন বিজয় আনন্দ, জয়া ভাদুড়ি, এ.কে. হাঙ্গাল, অচলা সচদেব এবং দেবেন বর্মা। চলচ্চিত্রে সংগীত দিয়েছেন কল্যাণজী-আনন্দজী। ৪ মে ১৯৭৪ সালে এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। বিখ্যাত সংগীত শিরোনাম "মেরা জীবন কোরা কাগজ" গানটি গেয়ে ছিলেন কিশোর কুমার

কোরা কাগজ
চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকঅনিল গাঙ্গুলি
প্রযোজকসনত কোঠারি
রচয়িতাএম.জি. হাসমত (সংলাপ)
চিত্রনাট্যকারসুরেন্দ্র শাইলাজ
কাহিনিকারআশুতোষ মুখোপাধ্যায় কর্তৃক 
সাত পাকে বাঁধা
শ্রেষ্ঠাংশেবিজয় আনন্দ
জয়া বচ্চন
সুরকারকল্যাণজী-আনন্দজী
চিত্রগ্রাহকবিপিন গজ্জার
প্রযোজনা
কোম্পানি
মেহবুব স্টুডিও
সতরাজ স্টুডিও
রাজকমল স্টুডিও
রঞ্জিত স্টুডিও
শ্রী সাউন্ড স্টুডিও
পরিবেশকশ্রীজি ফিল্মস
এরস এন্টারটেইনমেন্ট
মুক্তি১০ মে ১৯৭৪
দেশইন্ডিয়া
ভাষাহিন্দি

২২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, এটি সেরা জনপ্রিয় চলচ্চিত্র সরবরাহকারী হোলসাম এন্টারটেইনমেন্টের পুরস্কার জিতেছে এবং লতা মঙ্গেশকর সেরা মহিলা প্লেব্যাক গায়িকা পুরস্কার পেয়েছেন।

ছবিটি ১৯৬৩ সালের অজয় ​​কর পরিচালিত বাংলা চলচ্চিত্র সাত পাকে বাঁধার পুনঃনির্মাণ এবং সুচিত্রা সেন অভিনীত[1] যা আশুতোষ মুখোপাধ্যায় রচিত 'সাত পাকে বাঁধা' গল্পের অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল।[2]

কাহিনী

অধ্যাপক সুকেশ দত্ত (বিজয় আনন্দ) এবং অর্চনা গুপ্ত (জয়া ভাদুড়ি) মুম্বাইয়ের বেস্ট বাস সার্ভিসে ভ্রমণের সময় মুখোমুখি একে অপরের সাথে দেখা হয়। অর্চনার বাবা সুকেশকে পছন্দ করত এবং অর্চনা ও সুকেশ দুজনেই একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং বিয়ে করেন। সীমিত আয়ের কারণে অর্চনার মা সুকেশকে পছন্দ করেন না। অর্চনার মা তাদের ধনসম্পত্তি গল্প করতেন যা সুকেশকে অসন্তুষ্ট করত। অর্চনার মা তাদের জীবনে হস্তক্ষেপ করত এবং বাড়ির জন্য জিনিস কিনত। এতে তার আত্মসন্মানে লাগত। এই সমস্ত কিছুর ফলস্বরূপ অর্চনা এবং সুকেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় এবং তারা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অর্চনা তার বাবা-মার সাথে থাকতে শুরু করে, তখন সুকেশ অন্যত্র চলে যায়। অর্চনার পরিবার সুকেশকে ভুলে যেতে বলে এবং পুনরায় বিবাহ করতে বলে কিন্তু অর্চনার এখনও সুকেশের প্রতি অনুভূতি রয়েছে। তিনি সান্ত্বনা খুঁজে পেতে শিক্ষক হিসাবে কাজ করতে অনেক দূরে যান। একদিন সুকেশ এবং অর্চনার রেলওয়ের ওয়েটিং রুমে দেখা হওয়ার সুযোগ হয়ে যায়। সেখানেই তারা তাদের সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি এবং অভিযোগগুলি সমাধান করে নেয়। তারা আবার সুখে থাকার জন্য পুনরায় মিলিত হয়।

অভিনয়ে

  • বিজয় আনন্দ - অধ্যাপক সুকেশ দত্ত
  • জয়া ভাদুড়ি - অর্চনা গুপ্তা
  • এ.কে. হাঙ্গাল - প্রিন্সিপাল গুপ্তা
  • অচলা সচদেব - মিসেস গুপ্তা
  • নাজনীন - অরুণা গুপ্তা
  • দীনেশ হিংগো - গোবিন্দ গুপ্তা
  • রমেশ দেও - অর্চনার কাকা
  • সীমা দেও - অর্চনার কাকীমা
  • সুলোচনা লটকর - সুকেশের মাসি
  • মাস্টার শহীদ - দীপক
  • দেবেন বর্মা - দ্রোনা আচার্য
  • শালিনী
  • অরবিন্দ রাঠোর
  • দীপক
  • রাম সিং
  • পদ্ম রানী - সারদা
  • সত্যেন

চলচ্চিত্র শিল্পী

  • পরিচালক - অনিল গাঙ্গুলি
  • গল্প - আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
  • চিত্রনাট্য - সুরেন্দ্র শৈলজ
  • সংলাপ - এম.জি. হাসমত
  • প্রযোজক - সনত কোঠারি
  • চিত্রগ্রাহক- বিপিন গজ্জর
  • শিল্প পরিচালক - আব্দুল রহিম
  • কোরিওগ্রাফার - সুরেশ ভট্ট, প্রবীন কুমার
  • সংগীত পরিচালক - কল্যাণজী-আনন্দজী
  • গীতিকার - এম.জি. হাশমত
  • প্লেব্যাক গায়ক - কিশোর কুমার, লতা মঙ্গেশকর
  • সম্পাদক - ওয়ামান বি ভোসলে, গুরু দত্ত

সংগীত

সমস্ত গানের কথা লিখেছেন এম.জি. হাসমত

  • "মেরা জীবন কোরা কাগজ" গানটি বিনাকা গীতমালায় বার্ষিক তালিকায় ১৯৭৪ সালে শীর্ষে ছিল।
শিরোনাম গানগায়ক/গায়িকাগানের দৈর্ঘ্য
"মেরা জীবন কোরা কাগজ" কিশোর কুমার ৩:৩৫
"মেরা পধনে মেঁ নাহি লাগতা দিল" লতা মঙ্গেশকর ৩:০১
"রুঠে রুঠে প্রিয়া" লতা মঙ্গেশকর ৩:২২

পুরস্কার এবং মনোনীত

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

  • স্বাস্থ্যকর বিনোদন প্রদানকারী সেরা জনপ্রিয় চলচ্চিত্র : অনিল গাঙ্গুলি[3]
  • সেরা মহিলা প্লেব্যাক গায়িকা: লতা মঙ্গেশকর "রুঠে রুঠে প্রিয়া" গানের জন্য।"[3]

জয়ী

মনোনীত

  • সেরা ফিল্ম
  • সেরা পরিচালক - অনিল গাঙ্গুলি
  • সেরা গল্প - আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
  • সেরা গীতিকার - "মেরা জীবন কোরা কাগজ" গানের জন্য এম.জি.হাসমত
  • সেরা পুরুষ প্লেব্যাক গায়ক - কিশোর কুমার "মেরা জীবন কোরা কাগজ" গানের জন্য[4]

বিএফজেএ পুরস্কার

  • লতা মঙ্গেশকর - হিন্দি চলচ্চিত্র বিভাগের সেরা মহিলা প্লেব্যাক গায়িকা
  • কিশোর কুমার - হিন্দি চলচ্চিত্র বিভাগের সেরা পুরুষ প্লেব্যাক গায়ক
  • কল্যাণজী-আনন্দজী - হিন্দি চলচ্চিত্র বিভাগের সেরা সংগীত পরিচালক
  • এম.জি.হাসমত - হিন্দি চলচ্চিত্র বিভাগের সেরা গীতিকার [5]

তথ্যসূত্র

  1. http://noisebreak.com/10-old-gold-bengali-movies-inspired-bollywood-remake-part/
  2. Gulazar; Nihalani, Govind; Chatterjee, Saibal (২০০৩)। Encyclopaedia of Hindi Cinema। Popular Prakashan। পৃষ্ঠা 431। আইএসবিএন 978-81-7991-066-5।
  3. "22nd National Film Awards" (PDF)Directorate of Film Festivals। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১১
  4. 1st Filmfare Awards 1953
  5. "69th & 70th Annual Hero Honda BFJA Awards 2007"। ১ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৯

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.