কোয়মবেড়ু

কোয়মবেড়ু দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই জেলার একটি অঞ্চল৷ ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে এখানে কোয়মবেড়ু মার্কেট[1] ও ২০০২ খ্রিস্টাব্দে চেন্নাই মফস্বল বাস টার্মিনাস বা সিএমবিটি[2] উদ্বোধন হওয়ার পর ‌থেকেই‌ কোয়মবেড়ু চেন্নাই শহরের অন্যতম জনবহুল ও পরিচিত অঞ্চলে পরিণত হওয়া শুরু হয়। অহোরাত্র এখানে লোক সমাগম ও ব্যস্ততা পরিলক্ষিত হয়। সপ্তাহের সাত দিন সর্বক্ষণ আন্তঃনগর, দূরপাল্লার ও আন্তঃরাজ্য পরিষেবার সহ অটো ও অন্যান্য পরিবহন পরিষেবা রয়েছে। চেন্নাই মেট্রোর সবুজ লাইনের কোয়মবেড়ু মেট্রো স্টেশন এই লোকালয়ে অবস্থিত৷

কোয়মবেড়ু
கோயம்பேடு
চেন্নাইয়ের অঞ্চল
কোয়মবেড়ু বাজারের প্রবেশপথ
কোয়মবেড়ু
কোয়মবেড়ু
স্থানাঙ্ক: ১৩.০৬৯৩৬২° উত্তর ৮০.১৯৭৪২৭° পূর্ব / 13.069362; 80.197427
রাষ্ট্র ভারত
রাজ্যতামিলনাড়ু
জেলাচেন্নাই
মহানগরচেন্নাই
সরকার
  শাসকসিএমডিএ
ভাষা
  দাপ্তরিকতামিল
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন৬০০১০৭
যানবাহন নিবন্ধনTN 02 (টিএন ০২)
নগর পরিকল্পনাসিএমডিএ

অভিগম্যতা

কোয়মবেড়ু পার্ক টাউনে অবস্থিত চেন্নাই সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশন এবং ত্রিশূলম-মীনমবক্কমে অবস্থিত চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে সড়ক পরিবহন যোগ্য। পুন্তমল্লী মহাসড়কের মাধ্যমে কোয়মবেড়ু চেন্নাই সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশন, অভ্যন্তরীণ চক্রপথ বা ইনার রিং রোড বা জওহরলাল নেহেরু সালাই বা ১০০ ফিট রোড বা রাজ্য সড়ক ২ কোয়মবেড়ুকে বিমানবন্দরের সাথে যুক্ত করেছে।

সম্প্রতি লোকালয় জমির দাম দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে আকাশ ছোঁয়া হয়েছে। এর চারদিকে অবস্থিত লোকালয় গুলি হল বড়পালনি, আন্নানগর, আরুমবক্কম, আমাইন্দকরাই, বৃকমবক্কমনেরকুন্দ্রম

আবর্জনা ব্যবস্থাপনা

কোয়মবেড়ুতে দুদি সিউয়েজ ট্রাটমেন্ট প্ল্যান্ট রয়েছে, যা ত্যাগরায়নগর, কোটমবক্কম, আন্নানগর, বৃৃকমবক্কম, মুগপের প্রভৃতি অঞ্চলের দৈনিক ৯৪ মিলিয়ন লিটার আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় সক্ষম৷ জওহরলাল নেহেরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশন ১,১৬০ মিলিয়ন ভারতীয় মুদ্রা ব্যয়ে ২৫ একর জমির ওপর কোয়মবেড়ুতে তৈরি হচ্ছে নতুন প্ল্যান্ট যাতে মাদুরবায়ল, অম্বাত্তুর, নেরকুন্দ্রম, নোলম্বুর অঞ্চলের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করার পরিকল্পনা রয়েছে৷ এই নির্মাণে বর্জ্য থেকে বিদ্যুতুৎপাদন করার ব্যবস্থাও থাকবে৷[3]

চেন্নাই মফস্বল বাস টার্মিনাস

সিএমবিটি

৩৭ একর অঞ্চলের ওপর কোয়মবেড়ুতে নির্মিত এই বাস টার্মিনাসটি এশিয়ার বৃহত্তম৷[4] বর্তমানে এই টার্মিনাসটি তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম জি আর রামচন্দ্রনের নামানুসারে পুরক্ষী তালাইবর ড. এমজিআর বাস টার্মিনাস নাম দেওয়া হয়৷

প্রতিদিন টার্মিনাসটি ২৭০ টি বাস প্রান্তিকী ২,০০০ টি চলন্ত পথের বাস ও ২ লক্ষ বাসযাত্রী নিয়ন্ত্রণ করে৷[5] ৩৬.৫ একর (০.১৪৮ কিমি) ক্ষেত্রে বিস্তৃত টার্মিনাসটিতে ১৮,০০০ ফু (১,৭০০ মি) ক্ষেত্রে যাত্রী প্রতীক্ষালয়, ২৫,০০০ ফু (২,৩০০ মি) ক্ষেত্রে অটোরিক্সা, ক্যাব ও নিজস্ব পার্কিং ও ১৬,০০০ ফু (১,৫০০ মি) ক্ষেত্রে দ্বিচক্রী পার্কিঙের ব্যবস্থা রয়েছে৷[5]

তথ্যসূত্র

  1. Lakshmi, K. (২৩ অক্টোবর ২০১৮)। "Partial ban on lorries at wholesale market planned"The Hindu। Chennai: Kasturi & Sons। পৃষ্ঠা 2। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৮
  2. "Jayalalithaa inaugurates new bus terminus in Chennai"The Hindu Business Line। Chennai: The Hindu। ১৯ নভেম্বর ২০০২। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১১
  3. Koyambedu to get third sewage treatment plant
  4. Dorairaj, S. (২৮ ডিসেম্বর ২০০৫)। "Koyambedu bus terminus gets ISO certification"The Hindu। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  5. "Jayalalithaa inaugurates new bus terminus in Chennai"The Hindu Business Line। ১৯ নভেম্বর ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.