কোঠাবাড়ির থান
কোঠাবাড়ির থান মুলত মোগল আমলে গড়ে উঠা একটি থান বা খানকা, যেটি বর্তমানে কোঠাবাড়ির থান নামে পরিচিতি ।[1] এর গঠনশৈলী থেকে ধারণা করা হয়, এটি সম্রাট জাহাঙ্গীর এর আমলে নির্মিত হয়েছিল । সেসময় সম্রাটের কয়েকজন দেওয়ান এই কোঠাবাড়িতে একটি দুর্গ নির্মাণ করার কাজ করেন এবং রাজ্য রক্ষার জন্য সৈন্যদের নিয়ে এখানেই অবস্থান করতেন । এই থান নিয়ে অনেক কুসস্কার রয়েছে সকলের মাঝে । অনেকেই বলেন একজন সিদ্ধ পুরুষ বা সাধু তার নিজের কবরের ওপর তার নিয়ন্ত্রিত জিনের দ্বারা এটি নির্মাণ করিয়ে নেন , কিন্তু কাজ না শেষ হতেই যখন মোরগ ডেকে উঠে তখন তারা ভাবে সকাল হয়ে গেছে সকাল হয়ে গেছে তাই নির্মাণ শেষ না করেই চলে জায় । সূর্য ওঠার আভাস দিয়ে মোরগ ডেকে ওঠে। ১৯৩৭ সাল থেকে সকলে এখানে নামাজ পড়া এবং মানত করা শুরুে করে, যা বর্তমানে তেমনই চলছে । স্থানটি বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ।
কোঠাবাড়ির থান | |
---|---|
বিকল্প নাম | কোঠাবাড়ির দরগা |
সাধারণ তথ্য | |
অবস্থান | কলারোয়া |
ঠিকানা | কলারোয়া উপজেলা |
শহর | খুলনা |
দেশ | বাংলদেশ |
স্বত্বাধিকারী | বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর |
অবস্থান
সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা থেকে কয়েক মাইল দূরে কোঠাবাড়ি গ্রামে কোঠাবাড়ি থান অবস্থিত ।[2]
ইতিহাস ও বিবরণ
কোঠাবাড়ি থান এর পাশেই রয়েছে ৫টি বড় পাথর । এই পাথরগুলোর কারুকাজ দেখে সহজেই অনুমান করা যায় যে, এটি কোন পিলারের ভাঙা অংশ । এই থানের মূল দালানের পুরুত্ব প্রায় ৬ ফুট, এখানে রয়েছে বেশকিছু টেরাকোটা ইট, যেগুলোতে পদ্মফুল, মানুষ, লতাপাতা, হাতিসহ বিভিন্ন ধরনের ছবি অঙ্কিত আছে । এগুলো দেখে ইতিহাসবিদগণ সহজেই অনুমান করেন এটি মোঘল শাসনামলের কোন সময়ে তৈরি । এই থান বর্তমানে প্রায় ধ্বংসাবশেস অবস্থায় রয়েছে । থানের বিভিন্ন জায়গায় দেয়াল ভেদ করে কিছু বটগাছ রয়েছে । অনেককাল এটি লোকচক্ষুর অন্তরালে ঢাকা ছিল । এটি আবিস্কারের পরে ১৯৩৭ সাল এর দিকে কুসংস্কার এর বশিভুত হয়ে সকলে নামাজ পড়া ও মানত করা শুরু করে । বর্তমানে নামাজ পড়া বন্ধ হলেও মানত এর প্রচলন রয়েছে । প্রতি শুক্রবার এখানে থানে 'মিসকিন মেলা' এবং মানতকারীদের সমাবেশ বসে। বর্তমানে এই স্থানটি বাংলাদেশ সরকারের সংরক্ষিত স্থাপনা হিসাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ।