কোওচি প্রশাসনিক অঞ্চল
কোওচি প্রশাসনিক অঞ্চল (高知県? কোওচি কেন্) হল জাপানের শিকোকু দ্বীপের দক্ষিণ উপকূল সংলগ্ন একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[1] এর রাজধানী কোওচি নগর।[2]
কোওচি প্রশাসনিক অঞ্চল 高知県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 高知県 |
• রোমাজি | Kōchi-ken |
পতাকা কোওচি প্রশাসনিক অঞ্চলের প্রতীক | |
স্থানাঙ্ক: ৩৩°২৬′ উত্তর ১৩৩°২৬′ পূর্ব | |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | শিকোকু |
দ্বীপ | শিকোকু |
রাজধানী | কোওচি |
আয়তন | |
• মোট | ৭,১০৪.৮৭ বর্গকিমি (২,৭৪৩.২১ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ১৪শ |
জনসংখ্যা (১লা ডিসেম্বর ২০১১) | |
• মোট | ৭,৫৭,৯১৪ |
• ক্রম | ৪৫ তম |
• জনঘনত্ব | ১০৬.৬৮/বর্গকিমি (২৭৬.৩/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-39 |
জেলা | ৬ |
পৌরসভা | ৩৪ |
ফুল | য়ামামোমো (মিরিকা রাব্রা) |
গাছ | য়ানাসে সুগি (ক্রিপ্টোমেরিয়া জাপোনিকা) |
পাখি | 'পরি' পিট্টা (পিট্টা নিম্ফা) |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
মেইজি পুনর্গঠনের আগে অবধি কোওচি অঞ্চল তোসা প্রদেশ নামে পরিচিত ছিল। সেন্গোকু যুগে চোসোকাবে পরিবার এবং এদো যুগে য়ামানুচি পরিবার এখানকার শাসক ছিল।[3]
কোওচি নগর বিশিষ্ট বিপ্লবী সাকামোতো রিওমার জন্মস্থান হিসেবে বিখ্যাত।
ভূগোল
শিকোকু দ্বীপের দক্ষিণ অর্ধ নিয়ে কোওচি প্রশাসনিক অঞ্চল গঠিত। এর উপকূলে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর, উত্তর-পশ্চিমে এহিমে এবং উত্তর-পূর্বে তোকুশিমা প্রশাসনিক অঞ্চল। শিকোকুর চারটি প্রশাসনিক অঞ্চলের মধ্যে কোওচি বৃহত্তম অথচ সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বিশিষ্ট। প্রশাসনিক অঞ্চলটির অধিকাংশ ভূভাগ পর্বতময়; কেবলমাত্র কোওচি নগর ও নাকামুরা নগরের কাছে উপকূলীয় সমভূমি দেখা যায়। কোওচিতে অনেক নদী বর্তমান। তোসা-চোয়ের ইনামুরা-য়ামা পর্বত হল কোওচির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। এর উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০৬ মিটার।
২০১২ এর এপ্রিল মাসের হিসেব অনুযায়ী কোওচির মোট ভূমির ৭ শতাংশ সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে আশিযুরি-উওয়াকাই জাতীয় উদ্যান; ইশিযুচি, মুরোতো-আনান কাইগান ও ৎসুরুগিসান উপ-জাতীয় উদ্যান এবং আঠারোটি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[4]
কৃষি
মৃদু প্রশান্ত মহাসাগর-প্রভাবিত জলবায়ুর কারণে কোওচির কৃষি রীতিমত সমৃদ্ধ। উপকূলীয় সমভূমিতে সবজি, পাহাড়ি অঞ্চলে ফল চাষ ও গবাদি পশুপালন করা হয়। কৃষির উন্নতির জন্য অনেকগুলি প্লাস্টিকের গ্রীনহাউস নির্মাণ করা হয়েছে।[5] পরিবেশ বান্ধব কৃষি সংক্রান্ত চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রেও কোওচি প্রশাসনিক অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
শিল্প
ক্ষুদ্র শিল্প ও কৃষি-সম্পর্কিত বিভিন্ন শিল্প কোওচি প্রশাসনিক অঞ্চলে গড়ে উঠেছে। আপান অঞ্চলে হাজার বছর ধরে তোসা-ওয়াশি নামক এক বিশেষ রকম কাগজ প্রস্তুত হয়ে আসছে। সম্প্রতি এই শিল্প বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী কাগজ সরবরাহ করতে বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। ইনো শহরে একটি কাগজ বিষয়ক জাদুঘর বর্তমান।
পর্যটন
শিকোকু পর্বত দ্বারা জাপানের অবশিষ্ট অংশ থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে কোওচি প্রশাসনিক অঞ্চলের সংস্কৃতিতে স্বাতন্ত্র্য দেখা যায়। স্থানীয় য়োসাকোই নৃত্য উৎসবটি চালু হয়েছে ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে। অন্যান্য প্রাচীন, অনমনীয় ঐতিহ্যবাহী জাপানি নৃত্যের বিপরীতে দাঁড়িয়ে য়োসাকোই শিল্পীরা তাদের উপস্থাপনায় নতুন কলাকৌশলের বহুল ব্যবহার করে থাকেন।
বৌদ্ধধর্মের শিঙ্গোন শাখার অভিযাত্রীদের কাছে শিকোকু দ্বীপের ৮৮টি মন্দির পায়ে হেঁটে এক যাত্রায় দর্শন করা বিশেষ পুণ্যকর্ম। কোওচি প্রশাসনিক অঞ্চলে এগুলির মধ্যে ১৬টি মন্দিরের অবস্থান।
দক্ষিণ প্রান্তে মুরোতো অন্তরীপ ও আশিযুরি অন্তরীপ থেকে দৃষ্ট সূর্যাস্তের দৃশ্য বিখ্যাত।
তথ্যসূত্র
- Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Kōchi prefecture" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 538, পৃ. 538,.
- Nussbaum, "Kōchi" at গুগল বইয়ে p. 538, পৃ. 538,.
- Nussbaum, "Provinces and prefectures" at গুগল বইয়ে p. 780, পৃ. 780,.
- "General overview of area figures for Natural Parks by prefecture" (পিডিএফ)। Ministry of the Environment। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১২।
- "中国四国農政局/高知県農林水産業の概要(農業-農業産出額-)"। 中国四国農政局। ২০১৫-০২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-২৩।