কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬
কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ বাংলাদেশে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক কার্যক্রম পরিচালনা এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধানকল্পে জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণীত একটি আইন।[1] ২০০৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আইনটি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩৮ নং আইন) | |
---|---|
জাতীয় সংসদ | |
সূত্র | bdlaws.minlaw.gov.bd |
কার্যকারী এলাকা | বাংলাদেশ |
প্রণয়নকারী | গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ |
প্রণয়নকাল | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ |
অবস্থা: বলবৎ |
বিবরণ
কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬-এ ৩৫ টি ধারা রয়েছে। ধারাগুলোতে এই আইনের সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন, সংজ্ঞা, চ্যানেল ডাউন লিংক, বিপণন, লাইসেন্স, লাইসেন্স প্রদান পদ্ধতি, লাইসেন্স নামঞ্জুর সংক্রান্ত আপীল, লাইসেন্সের মেয়াদ ও শর্তাবলী, লাইসেন্স প্রদানে অনুসরণীয় নীতি, কতিপয় ব্যক্তির ক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রদানের বাধা-নিষেধ, লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা, লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিলকরণ, পরামর্শক কমিটি, ফ্রিকোয়েন্সী বরাদ্দ সম্পর্কিত লাইসেন্স গ্রহণ, লাইসেন্সের ডুপ্লিকেট বা অনুলিপি প্রদান, অনুমোদিত চ্যানেল সঞ্চালন বা সম্প্রচার স্থগিতকরণ, সরকারী ও বেসরকারী চ্যানেল সঞ্চালন, গ্রাহক সেবা, গ্রাহকদের অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তি, সম্প্রচার বা সঞ্চালনের ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধ, জনস্বার্থে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের ক্ষমতা, সেবাপ্রদানকারী কর্তৃক রেজিস্টার সংরক্ষণ, চ্যানেলের মূল্য পরিশোধ, আটককৃত যন্ত্রপাতির বাজেয়াপ্তকরণ, ক্ষমতা অর্পণ, অন্যান্য সংস্থার অনুমোদন গ্রহণ, অপরাধের অ-আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা, কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন, শাস্তি, অপরাধের বিচার, অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ ক্ষমতা, সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ, অন্যান্য আইনের প্রয়োগ, অন্যান্য আইনের উপর প্রাধান্য, বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা এবং আইনের ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশের বিরবণ রয়েছে। মূল আইনটি বাংলা ভাষায় লিখিত।[2]
বিতর্ক
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনবিহীন সম্প্রচার (ক্লিন ফিড) নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই আইন বাস্তবায়নে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিলে কেবল অপারেটর এবং মন্ত্রণালয়ের মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয় এবং এর জেরে ১ই অক্টোবর থেকে কেবল অপারেটরা সব ধরনের বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রাখে।[3][4][5] এই সময় অপারেটরা মন্ত্রণালয়ের কাছে বিজ্ঞাপনবিহীন সম্প্রচার সরবরাহ করে এমন চ্যানেলের তালিকা দাবি করে, মন্ত্রণালয় তালিকা প্রদান করলে পরবর্তীতে ২৪টি বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার পুনরায় শুরু হয়।[6][7] ক্যাবল অপারেটররা আইনটি সংশোধনের দাবি জানিয়েছে যদিও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ঘোষণা দেন।[8][9]
তথ্যসূত্র
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২১।
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২১।
- সোহেল, তানভীর। "সরকার–কেব্ল অপারেটর মুখোমুখি, বিপাকে দর্শক"। Prothomalo। ২০২১-১০-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-০৬।
- "বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া অনেক দর্শকের"। BBC News বাংলা। ২০২১-১০-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-০৬।
- রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২১-১০-০১)। "দেশে বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ"। The Daily Star Bangla। ২০২১-১০-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-০৬।
- Dainikshiksha। "বন্ধ থাকা ২৪ বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার শুরু - দৈনিকশিক্ষা"। Dainik shiksha। ২০২১-১০-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-০৬।
- প্রতিবেদক, গ্লিটজ; ডটকম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "বিবিসি, সিএনএন, স্টার স্পোর্টসসহ ২৪ টিভি চ্যানেল খুলেছে"। bangla.bdnews24.com। ২০২১-১০-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-০৬।
- "বিদেশি চ্যানেলে ক্লিন ফিড বাস্তবায়নে কাল থেকে মোবাইল কোর্ট"। ittefaq। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-০৬।
- "কার স্বার্থে কথা বলছে কোয়াব, ক্লিন ফিড কি অসম্ভব?"। Bangla Tribune। ২০২১-১০-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-০৬।