কেন ব্যারিংটন

কেনেথ ফ্রাঙ্ক ব্যারিংটন (ইংরেজি: Ken Barrington; জন্ম: ২৪ নভেম্বর, ১৯৩০ - মৃত্যু: ১৪ মার্চ, ১৯৮১) বার্কশায়ারে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। তবে, কেন ব্যারিংটন নামে ক্রিকেট বিশ্বে অধিক পরিচিত ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।

কেন ব্যারিংটন
১৯৬৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে কেন ব্যারিংটন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামকেনেথ ফ্রাঙ্ক ব্যারিংটন
জন্ম(১৯৩০-১১-২৪)২৪ নভেম্বর ১৯৩০
রিডিং, বার্কশায়ার, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য
মৃত্যু১৪ মার্চ ১৯৮১(1981-03-14) (বয়স ৫০)
নিডহাম’স পয়েন্ট, ব্রিজটাউন, সেন্ট মাইকেল, বার্বাডোস
উচ্চতা ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি লেগ-স্পিন
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৮০)
৯ জুন ১৯৫৫ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট৩০ জুলাই ১৯৬৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৫৩ - ১৯৬৮সারে
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৮২ ৫৩৩ ১৪
রানের সংখ্যা ৬৮০৬ ৩১,৭১৪ ৩৯৯
ব্যাটিং গড় ৫৮.৬৭ ৪৫.৬৩ ৩৩.২৫
১০০/৫০ ২০/৩৫ ৭৬/১৭১ –/৩
সর্বোচ্চ রান ২৫৬ ২৫৬ ৭০*
বল করেছে ২,৭১৫ ১৭,৯২৪ ১০৮
উইকেট ২৯ ২৭৩
বোলিং গড় ৪৪.৮২ ৩২.৬১ ৩৩.৩৩
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/৪ ৭/৪০ ৩/৪১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫৮/– ৫১৪/– ৫/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২ এপ্রিল ২০১৭

দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে অবস্থান করলেও মাঝে-মধ্যে লেগ-স্পিন বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। এছাড়াও, কাউন্টি ক্রিকেটে সারে দলের পক্ষে খেলেন।

প্রারম্ভিক জীবন

পার্সি ও উইনিফ্রেড দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান ছিলেন কেন ব্যারিংটন। রয় ও কলিন নামে তার দুই ভাই এবং শিলা নাম্নী এক বোন ছিল। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে ২৮ বছর কর্মজীবন অতিবাহিত করেন পার্সি ব্যারিংটন। তন্মধ্যে রয়্যাল বার্কশায়ার রেজিম্যান্টে ২৪ বছর কাজ করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধসহ সমগ্র কর্মজীবনে অনেকগুলো পদক লাভ করেন পার্সি। পার্সি ক্রিকেটার হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। বার্কশায়ারের রিডিং এলাকায় অবস্থিত ব্রোক ব্যারাকে অফিসারদের মেসে থাকা অবস্থায় কেন ব্যারিংটন জন্মগ্রহণ করেন। রেজিম্যান্টাল ক্রিকেট দলের পক্ষে অল-রাউন্ডার হিসেবে অংশগ্রহণ করতেন। সন্তানদেরকে শৈশবকালেই এক টুকরো কাঠ দিয়ে ব্যাট তৈরি করে ক্রিকেট খেলা শেখাতেন। পেশাদার ক্রিকেটার থাকা অবস্থায় তিনি নিয়মিতভাবে তার খেলা দেখার জন্য টিকেট দিতেন।[1]

খেলোয়াড়ী জীবন

ক্রিকেট খেলার প্রতি সুগভীর একাগ্রতা পোষণ ও রক্ষণাত্মক ইনিংস খেলার জন্য দরুণভাবে পরিচিতি পেয়েছেন।[2] ১৯৫০-এর দশক থেকে ১৯৬০-এর দশক পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন। তবে, ক্রিকেটের বিভিন্ন স্তরে তার ব্যাটিং গড়ে বৈচিত্র্যতা লক্ষ্য করা যায়। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ৩৯.৯৭, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৪৫.৬৩, টেস্ট ক্রিকেটে ৫৮.৬৭ এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার ব্যাটিং গড় ৬৩.৯৬। বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকালে যে-কোন ইংরেজ ব্যাটসম্যানের তুলনায় শীর্ষে।

১৯৬০ সালে বার্বাডোসের ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নিজের প্রথম শতরান করেন।[3] ১৯৬৪ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত চতুর্থ টেস্টে ২৫৬ রান তোলেন যা বিশ্বযুদ্ধোত্তর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ। প্রথম ইংরেজ ক্রিকেটার হিসেবে ওল্ড ট্রাফোর্ড, এজবাস্টন, হেডিংলি, লর্ডস, ট্রেন্ট ব্রিজওভালে শতক লাভ করেছেন।[4]

অবসর

পূর্ণাঙ্গ টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবন শেষে ব্যাটিং গড়
অস্ট্রেলিয়া ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান
৯৯.৯৪
দক্ষিণ আফ্রিকা গ্রেইম পোলক
৬০.৯৭
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ জর্জ হ্যাডলি
৬০.৮৩
ইংল্যান্ড হার্বার্ট সাটক্লিফ
৬০.৭৩
ইংল্যান্ড এডি পেন্টার
৫৯.২৩
ইংল্যান্ড কেন ব্যারিংটন
৫৮.৬৭
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ এভারটন উইকস
৫৮.৬১
ইংল্যান্ড ওয়ালি হ্যামন্ড
৫৮.৪৫
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ গারফিল্ড সোবার্স
৫৭.৭৮
ইংল্যান্ড জ্যাক হবস
৫৬.৯৪
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্লাইড ওয়ালকট
৫৬.৬৮
ইংল্যান্ড লেন হাটন
৫৬.৬৭

উৎস: ক্রিকইনফো
যোগ্যতা: পূর্ণাঙ্গ খেলোয়াড়ী জীবনে কমপক্ষে ২০ ইনিংস।

অস্ট্রেলিয়া সফরে ১৯৬৮ সালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়ায় আক্রান্ত হবার ফলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। এরপর ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সালের মধ্যে ইংল্যান্ড দল নির্বাচকসহ সফরে নিয়মিতভাবে দলীয় ম্যানেজার ছিলেন। ১৪ মার্চ, ১৯৮১ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দ্বিতীয়বারের মতো হৃদযন্ত্রের ক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দেহাবসান ঘটে তার।

তথ্যসূত্র

  1. pp. 7–8, Peel
  2. p. 460, Frith
  3. pp 42, 190, Peel
  4. p. 125, Peel

আরও দেখুন

আরও পড়ুন

  • Arlott, John (১৯৮৬)। John Arlott's 100 Greatest Batsmen। MacDonald Queen Anne Press। আইএসবিএন 978-0-356-12365-3।
  • Arnold, Peter (১৯৮৫)। The Illustrated Encyclopaedia of World of Cricket। W.H. Smith। আইএসবিএন 978-1-85435-322-1।
  • Brearley, Mike; Mendes, Sam (২০০১)। The Art of Captaincy। Channel 4 Books। আইএসবিএন 0-340-27086-1।
  • Frith, David (১৯৮৭)। Pageant of Cricket। The MacMillian Company of Australia। আইএসবিএন 978-0-333-45177-9।
  • Moyes, A.G.; Goodman, Tom (১৯৬৫)। With the M.C.C. in Australia 1962–63, A Critical Story of the Tour। The Sportsmans Book Club।
  • Peel, Mark (১৯৯২)। England Expects, A biography of Ken Barrington। The Kingswood Press। আইএসবিএন 978-0-413-66370-2।
  • Snow, John (১৯৭৬)। Cricket Rebel: An Autobiography। Littlehampton Book Services Ltd। আইএসবিএন 978-0-600-31932-0।
  • Swanton, E.W. (১৯৭৭)। Swanton in Australia, with MCC 1946–1975। Fontana। আইএসবিএন 978-0-00-216236-4। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১১
  • Titmus, Fred; Stafford Hildred (২০০৫)। My Life in Cricket। John Blake Publishing Ltd। আইএসবিএন 978-1-84454-124-9। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১১
  • Barrington, Ken (১৯৬৩)। Running into Hundreds। Stanley Paul।
  • Barrington, Ken; Pilley, Phil (১৯৬৮)। Playing It Straight। Stanley Paul। আইএসবিএন 978-0-09-084290-2।
  • Lodge, Jerry (২০০১)। Ken Barrington। Famous cricketers। Association of Cricket Statisticians & Historians। আইএসবিএন 978-1-902171-49-4।
  • Scovell, Brian (১৯৮২)। Ken Barrington: A Tribute। George G.Harrap & Co Ltd। আইএসবিএন 978-0-245-53867-4।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.