কেদারনাথ মন্দির

কেদারনাথ মন্দির (হিন্দি: केदारनाथ मंदिर, Kēdārnāth Maṃdir ) হিন্দুদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান। এটি ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের গাড়োয়াল হিমালয় পর্বতশ্রেণীতে অবস্থিত কেদারনাথ শহরে মন্দাকিনী নদীর তীরে স্থাপিত একটি শিব মন্দির। এখানকার তীব্র শীতের জন্য মন্দিরটি কেবল এপ্রিল মাসের শেষ থেকে কার্তিক পূর্ণিমা অবধি খোলা থাকে। শীতকালে কেদারনাথ মন্দিরের মূর্তিগুলিকে ছয় মাসের জন্য উখিমঠে নিয়ে গিয়ে পূজা করা হয়। এই অঞ্চলের প্রাচীন নাম ছিল কেদারখণ্ড; তাই এখানে শিবকে কেদারনাথ (অর্থাৎ, কেদারখণ্ডের অধিপতি) নামে পূজা করা হয়। মন্দিরটি খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ-নবম শতাব্দীর তামিল নায়ানার সন্তদের দ্বারা পাডল পেত্রা স্থলম বা মহাদেশের ২৭৫টি অতি পবিত্র শিবক্ষেত্র হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।

কেদারনাথ মন্দির
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
অবস্থান
অবস্থানকেদারনাথ, উত্তরাখণ্ড,  ভারত
ছোট চার ধাম
কেদারনাথ বদ্রীনাথ
গঙ্গোত্রী যমুনোত্রী

কেদারনাথ মন্দিরে যাওয়ার জন্য কোনো সড়কপথ নেই। ২০১৩ সালের ১৬ই এবং ১৭ই জুন কেদারখন্ডে ঘটে যাওয়া প্রলয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগে গৌরীকুণ্ড থেকে ১৪ কিলোমিটার পথ পাহাড়ি চড়াই পথে ট্রেকিং করে মন্দিরে যেতে হত। লোকের বিশ্বাস, আদি শঙ্কর বর্তমান স্থানে মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন।[1] যদিও মহাভারতেও কেদারনাথ মন্দিরের উল্লেখ আছে। এটি একটি জ্যোতির্লিঙ্গ। কথিত আছে, পাণ্ডবরা এখানে তপস্যা করে শিবকে তুষ্ট করেন। এটি উত্তর হিমালয়ের ছোট চার ধাম তীর্থ-চতুষ্টয়েরও অন্যতম।বর্তমানে শোনপ্রয়াগ থেকে হাঁটতে হয় ।এখান থেকে গৌরীকুণ্ড চার কিমি। গৌরীকুণ্ড থেকে সাড়ে ছয় কিমি দূরে ভীমবলি, সেখান থেকে আট কিমি দূরে লিঞ্চোলি, লিঞ্চোলি থেকে কেদারনাথ পাঁচ কিমি অর্থাৎ আগে চোদ্দ কিমি এবং এখন সাড়ে তেইশ কিমি হাঁটতে হয়। [2]

পাদটীকা

  1. "Kedarnath"। ২১ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১২
  2. ভ্রমণ পত্রিকা, জুলাই ২০১৫ , ১৬ নম্বর পাতা,ISSN 0971-8885, শীর্ষক নতুন পথে কেদারনাথের ডোলিযাত্রা, লেখক সুনীল কুমার সর্দার

তথ্যসূত্র

  • Chaturvedi, B. K. (২০০৬), Shiv Purana (First সংস্করণ), New Delhi: Diamond Pocket Books (P) Ltd, আইএসবিএন 81-7182-721-7
  • Eck, Diana L. (১৯৯৯), Banaras, city of light (First সংস্করণ), New York: Columbia University Press, আইএসবিএন 0-231-11447-8
  • Gwynne, Paul (২০০৯), World Religions in Practice: A Comparative Introduction, Oxford: Blackwell Publication, আইএসবিএন 978-1-4051-6702-4.
  • Harding, Elizabeth U. (১৯৯৮)। "God, the Father"। Kali: The Black Goddess of Dakshineswar। Motilal Banarsidass। পৃষ্ঠা 156–157। আইএসবিএন 978-81-208-1450-9।
  • Lochtefeld, James G. (২০০২), The Illustrated Encyclopedia of Hinduism: A-M, Rosen Publishing Group, পৃষ্ঠা 122, আইএসবিএন 0-8239-3179-X
  • R., Venugopalam (২০০৩), Meditation: Any Time Any Where (First সংস্করণ), Delhi: B. Jain Publishers (P) Ltd., আইএসবিএন 81-8056-373-1
  • Vivekananda, Swami। "The Paris Congress of the History of Religions"The Complete Works of Swami Vivekananda। Vol.4।

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Famous Shiva temples

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.