কুলো

কুলো বা কুলা বড় সমতল তলাওয়ালা চ্যাপ্টা পাত্র যার একটি দিকের কানা খোলা। আকৃতি অনেকটা ইংরেজি অক্ষর D-এর মত। বক্র দিকটি উঁচু কানাওয়ালা। সোজা দিকটি কানা ছাড়া। এর উপর না-বাছা চাল (অর্থাৎ ধানের খোসা ইত্যাদি মিশ্রিত চাল) নিয়ে পাছড়ানো হয়। তবে কুলো আর নানান কাজেও ব্যবহার হয়। যেমন মাটি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করা ও ফেলার কাজে ব্যবহার করা যায়। কুলো ভেঙ্গে গেলে তাকে খাদ্য শস্য বাছবার কাজের বদলে এইসব কাজে ব্যবহার করা হয়, তাই থেকে “ছাই ফেলতে ভাঙা কুলা” বাগধারাটি এসেছে।

কুলো দিয়ে দুর্গাপূজার মণ্ডপসজ্জা, কলকাতার বড়িশার একটি পূজামণ্ডপে

চাল পাছড়ানো

কুলোর উপর না-বাছা চাল (অর্থাৎ ধানের খোসা ইত্যাদি মিশ্রিত চাল) নিয়ে কুলোর কিনারার বক্র অংশটি ধরে উপর নিচে ঝাঁকানো হয়। ফলে কানাবিহীন অংশটি, যা ধরে থাকা অংশ থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে, সেই অংশের গতি সবচেয়ে বেশি হয়। চাল ও খোসার মিশ্রণ একবার হাওয়ায় লুফলে ভারী চাল তারাতাড়ি নিচে পড়ে, কিন্তু হাল্কা ধানের খোসা বাতাসের রোধের ফলে ধীরে পরে ও চালের উপরে আলাদা স্তর তৈরি করে যা সহজেই আলাদা করে কানাবিহীন অংশ দিয়ে ফেলে দেওয়া যায়।

নানাবিধ ব্যবহার

কুলা ধান ভান্তে ব্যবহৃত হলেও এর নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে। যেমনঃ

গায়ে হলুদ এঃ সাধারনত বিবাহ অনুষ্ঠানের আগে বাঙ্গালী রীতিতে বর ও কনের বাড়ীতে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান হয় এবং সেখানে কুলার উপস্থিতি লক্ষনীয়। কুলা দিয়ে ধান ঝাড়ার কাজেও ব্যবহার করা হয়।

চিত্রশালা

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.