কুদ্দুস বয়াতি
আবদুল কুদ্দুস বয়াতি (জন্ম ২২ জানুয়ারি, ১৯৪৯) একজন বাংলাদেশি লোকসঙ্গীত শিল্পী। তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশের ‘লোকসঙ্গীতের মহাতারকা’ বলেও সম্বোধন করা হয়।[1] তিনি ১৯৯২ সালে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ কর্তৃক নির্মিত বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার প্রচারণার অংশ হিসেবে গাওয়া ‘এই দিন, দিন না আরো দিন আছে’ শিরোনামে একটি গানের মাধ্যমে পরিচিতি পান।[2][3] কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাবকালীন ব্র্যাকের পক্ষ থেকে তিনি জাইনা চলেন, মাইনা চলেন গানে অংশ নেন।[4]
কুদ্দুস বয়াতি | |
---|---|
জন্ম | ২২ জানুয়ারি, ১৯৪৯ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
প্রারম্ভিক জীবন
কুদ্দুস বয়াতি ১৯৪৯ সালে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার রাজীবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[5] তার পিতার মাধ্যমে মাত্র ১১ বছর বয়স থেকে সঙ্গীত চর্চা শুরু করেন।[5] আর্থিক অনটনে লেখাপড়ার সুযোগ পাননি। পরবর্তীতে কাজের সন্ধানে ঢাকা চলে আসেন।[5] এ সময় কিছুদিন আফজাল হোসেনের সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে চারণ সঙ্গীতের প্রামাণ্যচিত্রে অভিনয় করেন।[5]
অ্যালবাম
এখন পর্যন্ত কদ্দুস বয়াতির দুটি একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে।[6] এছাড়া তিনি অসংখ্য জনপ্রিয় বিজ্ঞাপণচিত্র, নাটক ও প্রামাণ্যচিত্রে গান গেয়েছেন।
- সোনার নূপুর
- আম খায়ো জাম খায়ো তেঁতুল খায়ো না
ব্যক্তিগত জীবন
কুদ্দুস বয়াতি ব্যক্তিগত জীবনে চার ছেলে ও তিন মেয়ের জনক।[1]
তথ্যসূত্র
- "ছেলের বিয়ে দিলেন কুদ্দুস বয়াতি"। সময় নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- "কুদ্দুস বয়াতির নতুন স্বপ্ন"। প্রথম আলো। ২৩ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- "উন্নত চিকিৎসার জন্য কুদ্দুস বয়াতিকে বিদেশে নিতে হবে"। বাংলানিউজ২৪.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- "কুদ্দুস বয়াতির 'জাইনা চলেন, মাইনা চলেন'"। বিডিনিউজ২৪.কম। ২৭ মার্চ ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২০।
- "শিল্পীদের যৌবন থাকলে কদর থাকে : কুদ্দুস বয়াতি"। রাইজিংবিডি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- "এই গান আমার নামডাই বদলাইয়া দিছে : কুদ্দুস বয়াতি"। জাগো নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।