কুক প্রণালী

কুক প্রণালী ওশেনিয়ার রাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপ ও দক্ষিণ দ্বীপকে পৃথককারী সামুদ্রিক প্রণালী। উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্বে দিকে বিস্তৃত প্রণালীটি পশ্চিমে তাসমান সাগরকে পূর্বদিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের সাথে সংযুক্ত করেছে।[1] প্রণালীটির প্রশস্ততা পরিবর্তনশীল; এটি সর্বনিম্ন ২৩ কিলোমিটার থেকে সর্বাধিক ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রশস্ত হতে পারে।[1][2] এর গড় গভীরতা ১২৮ মিটার বা ৪২০ ফুট।[1] আনুমানিক ১৭৭০ সালে ব্রিটিশ অভিযাত্রী ক্যাপ্টেন জেমস কুক সম্পূর্ণ প্রণালীটি আবিষ্কার করেন এবং তার নামে এর নামকরণ করা হয়। তিনি আরাপাওয়া দ্বীপে পাহাড়ের উপর থেকে প্রণালীটি অবলোকন করেন।[1] এর আগে ওলন্দাজ অভিযাত্রী আবেল তাসমান প্রণালীটির পশ্চিম প্রান্তে প্রবেশ করেন এবং অনুমান করেন যে এটি একটি উপসাগর। নিউজিল্যান্ডের আদিবাসী জাতি মাওরিদের ভাষাতে এই প্রণালীটির নাম "রাউকাওয়া সাগর"।[3]

কুক প্রণালী
নিউজিল্যান্ডের মানচিত্রে কুক প্রণালীর অবস্থান
নিউজিল্যান্ডের মানচিত্রে কুক প্রণালীর অবস্থান
কুক প্রণালী
নিউজিল্যান্ডের মানচিত্রে কুক প্রণালীর অবস্থান, যা তাসমান সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরকে সংযুক্ত করেছে।
নিউজিল্যান্ডের মানচিত্রে কুক প্রণালীর অবস্থান
নিউজিল্যান্ডের মানচিত্রে কুক প্রণালীর অবস্থান
কুক প্রণালী
নিউজিল্যান্ডের মানচিত্রে কুক প্রণালীর অবস্থান, যা তাসমান সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরকে সংযুক্ত করেছে।
স্থানাঙ্ক৪১°১৩′৪৬″ দক্ষিণ ১৭৪°২৮′৫৯″ পূর্ব
অববাহিকার দেশসমূহনিউজিল্যান্ড
ন্যূনতম প্রস্থ২২ কিমি (১৪ মা)
গড় গভীরতা১২৮ মি (৪২০ ফু)

কুক প্রণালীর দুই তীরেই খাড়া পার্বত্য ঢালের সারি রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ দ্বীপের তীরের উপসাগরগুলি অনেক গভীর।[1] প্রণালীতে সমুদ্রস্রোত বিপজ্জনক ও এখানকার জলবায়ু প্রায়শই ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ থাকে, তাই এটি নৌযোগে অতিক্রম করা অত্যন্ত দুরূহ।[1] এখানে অনেক জাহাজডুবি ও মৃত্যু হয়েছে। ১৯০৯ সালে সবচেয়ে খারাপ দুর্ঘটনায় "পেঙ্গুইন" নামের ফেরিটি ডুবে গেলে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়।[1] তাই নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপের ওয়েলিংটন শহর থেকে দক্ষিণ দ্বীপের ব্লেনহাইম শহরে মূলত বিমানযোগে আকাশপথে কিংবা রেল ফেরির মাধ্যমে পরিবহন সম্পন্ন হয়। প্রণালীর তলদেশ দিয়ে যোগাযোগের তার ও বৈদ্যুতিক তার চলে গেছে, যার দায়িত্বে আছে "ট্রান্সপাওয়ার নিউজিল্যান্ড লিমিটেড" প্রতিষ্ঠান।[4] ১৮৬৬ সালে বৈদ্যুতিক তারগুলি স্থাপন করা হয়।[1]

ছবিতে কুক প্রণালী
  • ওয়েলিংটন পোতাশ্রয়ে কুক প্রণালী ফেরিসমূহ
    ওয়েলিংটন পোতাশ্রয়ে কুক প্রণালী ফেরিসমূহ
  • আন্তর্জাতিক মহাশূন্য স্টেশন থেকে তোলা আলোকচিত্রে পৃথিবীপৃষ্ঠে কুক প্রণালীকে দেখা যাচ্ছে।
    আন্তর্জাতিক মহাশূন্য স্টেশন থেকে তোলা আলোকচিত্রে পৃথিবীপৃষ্ঠে কুক প্রণালীকে দেখা যাচ্ছে।
  • কাউকাউ পর্বত থেকে তোলা আলোকচিত্রে কুক প্রণালী ও নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপের উত্তর প্রান্তের মার্লবরো সাউন্ডস জলমগ্ন উপত্যকাগুলি দেখা যাচ্ছে।
    কাউকাউ পর্বত থেকে তোলা আলোকচিত্রে কুক প্রণালী ও নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপের উত্তর প্রান্তের মার্লবরো সাউন্ডস জলমগ্ন উপত্যকাগুলি দেখা যাচ্ছে।

তথ্যসূত্র
  1. R. W. McColl, সম্পাদক (২০১৪), Encyclopedia of World Geography, 1, Infobase Publishing, পৃষ্ঠা 862
  2. McLintock, A H, Ed. (1966) Cook Strait from An Encyclopaedia of New Zealand, updated 18-Sep-2007. Note: This is the distance between the North Island and Arapaoa Island; some sources give a slightly larger reading of around ২৪.৫ কিলোমিটার (১৫.২ মা), that between the North Island and the South Island.
  3. "TE MOANA-O-RAUKAWA"। Wellington City Libraries। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৭।
  4. "Cook Strait submarine cable protection zone" (পিডিএফ)। Transpower। ২০০৬। ৭ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৯।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.