কিরাত জাতি


কিরাত জাতি, যাদের কিরান্ত বা কিরান্তিও নামেও ডাকা হয়, তারা একটি চীন-তিব্বতীয় জাতিগোষ্ঠী। তারা হিমালয়ের মানুষ। এদের মধ্যে বেশিরভাগই পূর্ব হিমালয় নেপাল থেকে উত্তর পূর্ব ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে বসবাস করে। ভারতে প্রধানত সিকিম রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তর পার্বত্য অঞ্চলে, অর্থাৎ দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলা এদের বাসভূমি।

খুকুরির সাথে চাকমাক ও করদা কিরাটি ঐতিহ্যবাহী ছুরি। কথিত আছে যে খুকুরি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন কিরাতিরা যারা লিচ্ছবি বয়সের আগে, প্রায় ৭ম শতাব্দীতে নেপালে ক্ষমতায় এসেছিলেন।
কিরাত জাতি
কিরাতি লোক
মোট জনসংখ্যা
২.৫ মিলিয়ন+ (আনুমানিক)
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
   Nepal১,২২২,০০৫ (২০১১)[1][2]
 India১,০০০,০০০ (আনুমানিক)
 Bhutanঅজানা
ভাষা
কিরাতি ভাষা ও তিব্বতি-বার্মা ভাষা[3]
ধর্ম
কিরাতি জনগন
ধর্ম : হিন্দুধর্ম, খ্রীস্টান, বুদ্ধধর্ম[4]

কিরাত কথার মানে হল সিংহ হৃদয়ের মানুষ অর্থাৎ সিংহের ন্যায় যাদের প্রকৃতির। কিরাতের অর্থ পাহাড়ি মানুষও হয়। কিরাত শব্দটি পূর্ব নেপাল এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের জনগণের গোষ্ঠীর নামকরণের জন্য ব্যবহার হয়। এই শব্দটি প্রধানত কিরাটি বা কিরান্তি থেকে উদ্ভূত। [5]

কিরান্টিস (১৫০০ খ্রীঃ পুঃ থেকে ২০১৬ সাল) )

কিরাত ("কিরান্তি") হল একটি প্রাচীন জনজাতি যারা হাজার হাজার বছর ধরে নেপালের ইতিহাসের সাথে জড়িত। [6]  কাঠমান্ডু উপত্যকার পুরাতন নথি কিরাতদেরকে সেখানকার আদি শাসক হিসাবে বর্ণনা করে। তারা গবাদি পশু পালনকারী উপজাতি ছিল। কিরাত রাজবংশের সময় কাঠমান্ডুকে ইয়েলা -খোম বলা হত। একটি কিংবদন্তি বিবরণ অনুসারে, নেপালে বসবাসকারী আদিম কিরাতিরা সিকিমেও বাস করত। তারা পাহাড়ি আদিম উপজাতিগুলির মধ্যে কোনো একটির বংশপরম্পরা বহন করছে। বর্তমানে কিরাটিরা আদিম জীবনযাপনের শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং এবং ধীরে ধীরে সভ্যতার দিকে অগ্রসর হয়েছে। [7] ডাঃ এসি সিং (১৯৮৩) বলেছেন যে "সিকিম প্রাক-ঐতিহাসিক সময় থেকে কিরাটি উপজাতিদের বাসভূমি হিসাবে পরিচিত"। [8]

নেপালে কিরাটি জনসংখ্যা প্রায় এক মিলিয়ন (নেপালি জনসংখ্যার প্রায় পাঁচ শতাংশ), তারা প্রধানত তিব্বতি-বার্মি‌জ ভাষায় কথা বলে। কিরান্ট সংস্কৃতি তিব্বতি এবং ইন্দো- নেপালিদের থেকে স্পষ্টতই আলাদা, যদিও দীর্ঘমেয়াদী যোগাযোগের মাধ্যমে কিরাতিরা তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। নেপালে ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, কিরাত জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যা প্রায় ১,২২২,০০৫ জন।

তথ্যসূত্র

  1. "Socio system of Kirat of Nepal an empirical mini study with special reference to Kirat-Limbu"
  2. "Population Monograph of Nepal Volume II" (পিডিএফ)
  3. "Boyd Michailovsky. Kiranti Languages. The Sino-Tibetan Languages, 2017. halshs-01705023" (পিডিএফ)
  4. "Caste ethnicity and religion of Nepal Ministry of Health" (পিডিএফ)। ৩১ মে ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২৩
  5. Ithihaasa: The Mystery of His Story Is My Story of History, Bhaktivejanyana Swami Author House, 29 Jan 2013
  6. Nepali Around the World: Emphasizing Nepali Christians of the Himalayas, Cindy L. Perry, Ekta Books, 1997
  7. "Bulletin of tibetology seminar Volume 1995"
  8. "Population of Sikkim:A Geographical Analysis" (পিডিএফ)
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.