কিম জং উন

কিম জং উন[4] (কোরীয়: 김정은?, 金正恩? জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৪[2]) হচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা। তিনি কিম জং ইলের চতুর্থ সন্তান ও কিম ইল-সাংয়ের নাতি। তিনি বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির প্রথম সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সামরিক সংস্থার সভাপতি, জাতীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার সভাপতি, উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ অধিনায়ক ও কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতিমণ্ডলীয় নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাবা কিম জং ইলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর তিনি ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ নিজেকে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে ঘোষণা করেন।[5] তিনি তার বাবা কিম জং ইল ও মা কো ইয়ং হি-এর তৃতীয় ও সর্বকনিষ্ঠ পুত্র।[6]

কিম জং উন
김정은
কিম জং উন-এর একটি প্রতিকৃতি
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১৭ ডিসেম্বর ২০১১
প্রিমিয়ারচেয়ে ইয়ং রিম
পাক পং-জু
পূর্বসূরীকিম জং ইল
কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির প্রথম সম্পাদক
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১১ এপ্রিল ২০১২
ডেপুটিকিম ইয়ং নাম
চেয়ে ইয়ং রিম
চে রুং এ
রি ইয়ং হো
পূর্বসূরীকিম জং ইল (সাধারণ সম্পাদক)
জাতীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার প্রথম সভাপতি
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১৩ এপ্রিল ২০১২
ডেপুটিকিম ইয়ং চুন
রি ইয়ং মু
অগেন্নিয়ায়
পূর্বসূরীকিম জং ইল (সভাপতি)
কোরিয়ান পিপলস আর্মির সর্বোচ্চ অধিনায়ক
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৩০ ডিসেম্বর ২০১১ [1]
পূর্বসূরীকিম জং ইল
কেন্দ্রীয় সামরিক সংস্থার সভাপতি
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১১ এপ্রিল ২০১২
Acting: ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ – ১১ এপ্রিল ২০১২
ডেপুটিচেয়ে ইয়ং রিম
রি ইয়ং-হো
পূর্বসূরীকিম জং ইল
কেন্দ্রীয় সামরিক সংস্থার উপসভাপতি
কাজের মেয়াদ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১  ১১ এপ্রিল ২০১২
সাথে ছিলেন রি ইয়ং হো
নেতাকিম জং ইল
পূর্বসূরীঅবস্থান প্রতিষ্ঠা
উত্তরসূরীচেয়ে ইয়ং রিম
রি ইয়ং হো
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম৮ জানুয়ারি ১৯৮৩(৪০ বছর)[2]
পিয়ং ইয়াং, গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া
রাজনৈতিক দলওয়ার্কার্স পার্টি
দাম্পত্য সঙ্গীরি সোল জু
সন্তানকিম জু-এ
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকিম ইল-সাং বিশ্ববিদ্যালয়
কিম ইল-সাং সামরিক বিশ্ববিদ্যালয়
ধর্মনাস্তিক
স্বাক্ষর
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্যউত্তর কোরিয়া গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া
কাজের মেয়াদ২০১০–বর্তমান
পদ প্রজাতন্ত্রের সেনাপতি (공화국원수, কুংআঘুআংসো)
কমান্ডসর্বোচ্চ অধিনায়ক
কিম জং উন
চোসেঙ্গুল
হাঞ্ছা[3]
সংশোধিত রোমানীকরণGim Jeong(-)eun
ম্যাক্কিউন-রাইশাওয়াKim Chŏngŭn

২০১০ সালের শেষ দিক থেকেই কিম জং উন রাষ্ট্রের পরবর্তী উত্তরাধীকারের মতো আচরণ শুরু করেন, এবং তার বাবার মৃত্যুর পর কিমকে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন “মহান উত্তরাধিকারী” হিসেবে ঘোষণা করেন। [7] কিম জং ইলের একটি স্মরণ সভায় উত্তর কোরিয়ার সুপ্রিম পিপলস এস্যাম্বলির সভাপতি কিম ইয়ং নাম ঘোষণা করেন; “সম্মানিত কমরেড কিম জং উন, আমাদের দল, সামরিক বাহিনী ও দেশের সর্বোচ্চ নেতা, যিনি মহান কমরেড কিম জং ইলের আদর্শ, নেতৃত্ব, চরিত্র, গুণাবলী, সাহসিকতা ও বীরত্বের উত্তরাধিকারী লাভ করেছেন।” [8] ২০১১ সালের ৩০শে ডিসেম্বর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতিমণ্ডলীয় নিয়ন্ত্রণ কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে, কিম জং উনকে কোরিয়ান পিপলস আর্মির সর্বোচ্চ অধিনায়ক পদে নিযুক্ত করেন।[1] ২০১২ সালের ১১ই এপ্রিল চতুর্থ দলীয় সম্মেলনে তাকে সদ্য সৃষ্ট পদ কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির প্রথম সম্পাদকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

তাকে ২০১২ সালের ১৮ জুলাই কোরিয়ান পিপলস আর্মির সেনাপতি পদে উন্নীত করা হয় এর ফলে তার সর্বোচ্চ অধিনায়ক পদটি আরও দৃঢ় হয়। [9] তার দুটি ডিগ্রি রয়েছে, একটি থেকে কিম ইল সাং বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞানের ওপর আরেকটি সেনা কর্মকর্তা হিসেবে কিম ইল সাং সামরিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

২০১২ সালের ২৫শে জুলাই উত্তর কোরীয় রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রথম বারের মতো কিম জং ইলের বৈবাহিক সম্পর্ক প্রকাশ করেন। এতে বলা হয় কিম রি সোল জু-র (কোরীয়: 리설주) সাথে বিবাহিত। [10][11] ২০১৩ সালে দম্পতিটি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "N.Korea declares Kim Jong-Un commander of military" (ইংরেজি ভাষায়)। এজেন্সি অফ ফ্রান্স প্রেস। ৩০ ডিসেম্বর ২০১১। ৮ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১১
  2. "Rodman Gives Details on Trip to North Korea" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৪
  3. (কোরীয়)"[北 막오른 김정은 시대]조선중앙통신 보도, 金正銀(X) 金正恩"Naver। ২ অক্টোবর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১০
  4. (কোরীয়)""청년대장 김정은"... 북 후계자 시사 벽보 찍혔다"Kyunghyang Shinmun। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১০
  5. North Korea tells rival SKorea and other nations not to expect any change, despite new leader. The Associated Press (via Yahoo! News). 29 December 2011. Retrieved 1 January 2012.
  6. Kim Jong-un: a profile of North Korea's next leader. দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ. ০২ জুন ২০০৯ ইংরেজি ভাষায়
  7. Alastair Gale (১৮ ডিসেম্বর ২০১১)। "Kim Jong Il Has Died"The Wall Street Journal Asia। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১১
  8. "Kim Jong Il son declared 'supreme leader' of North Korea's people, party and military"দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। ২৮ ডিসেম্বর ২০১১। ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১১
  9. "North Korea's Kim Jong-un named 'marshal'" (ইংরেজি ভাষায়)। বিবিসি। ২৮ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১২
  10. "North Korea leader Kim Jong-un married to Ri Sol-ju" (ইংরেজি ভাষায়)। বিবিসি। ২৫ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১২
  11. "North Korea leader Kim Jong Un projects new image by showing off wife" (ইংরেজি ভাষায়)। ফক্স নিউজ চ্যানেল। Associated Press। ২৬ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১২

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.