কাস্কী জেলা
কাস্কী জেলা (নেপালি: कास्की जिल्ला শুনুন , হচ্ছে নেপালের পশ্চিমাঞ্চল বিকাস ক্ষেত্রের গণ্ডকী অঞ্চলের একটি জেলা। পোখরা হচ্ছে এই জেলার সদরদপ্তর। এই জেলার আয়তন ২,০১৭ কিমি২ (৭৭৯ মা২)।। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এ জেলার লোকসংখ্যা ৩৮০,৫২৭ জন।
কাস্কী জেলা कास्की | |
---|---|
District | |
Location of Kaski (dark yellow) in Gandaki Pradesh | |
নেপালের মানচিত্রে কাস্কী জেলার অবস্থান | |
Country | নেপাল |
Province | Gandaki Pradesh |
Admin HQ. | Pokhara |
সরকার | |
• ধরন | Coordination committee |
• শাসক | DCC, Kaski |
আয়তন | |
• মোট | ২০১৭ বর্গকিমি (৭৭৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (2011) | |
• মোট | ৪,৯২,০৯৮ |
• জনঘনত্ব | ২৪০/বর্গকিমি (৬৩০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | NPT (ইউটিসি+05:45) |
ওয়েবসাইট | www.ddckaski.gov.np/ |
ইতিহাস
এটা বিশ্বাস করা হয় যে কাস্কিতে মানব বসতি প্রাক-ঐতিহাসিক কাল থেকেই ছিল। অনেক ইতিহাসবিদ কাস্কিকে উল্লেখ করেছেন কাশ্যপ ঋষি শব্দ থেকে উদ্ভূত। উপত্যকার অভ্যন্তরে সভ্যতার সূচনা খাস শাসকদের দিয়ে হয়েছিল।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের নেপাল শুমারি অনুসারে কাসকি জেলার জনসংখ্যা হল ৪৯২,০৯৮ জন।
খেলাধুলা
জেলা ক্রীড়া কমিটি সূত্রে জানা গেছে, কাস্কি জেলার প্রায় ৪১৭ রোপানী আয়তনের পোখরা রঙ্গশালা নামে একটি স্টেডিয়াম রয়েছে যেখানে ২১,০০০ দর্শকের ধারণক্ষমতা রয়েছে।
প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ
জেলাটি একটি মহানগর শহর এবং চারটি গ্রামীণ পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এগুলি নিম্নরূপ:[1]
- পোখরা মহানগর শহর
- অন্নপূর্ণা গ্রামীণ পৌরসভা
- মাছাপুচ্ছরে গ্রামীণ পৌরসভা
- মাডি গ্রামীণ পৌরসভা
- রূপা গ্রামীণ পৌরসভা
রাজনীতি
সকল শাসন এবং এই জেলার উন্নয়ন প্রধানত জেলা উন্নয়ন কমিটি, কাস্কী দ্বারা পরিচালিত হয়।
পর্যটন
- ফেওয়া হ্রদ নেপালের দ্বিতীয় বৃহত্তম হ্রদ। নেপালের গণ্ডকী অঞ্চলের বৃহত্তম হ্রদ এটি।[2] সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭৪২ মিটার উচ্চতায় ফেওয়া হ্রদের অবস্থান। ফেওয়া হ্রদের আকার ৫.২৩ বর্গকিলোমিটার (২ বর্গমাইল)।[3] এর গড় গভীরতা ৮.৬ মিটার (২৮ ফুট) এবং সর্বোচ্চ গভীরতা ২৪ মিটার (৭৯ ফুট)।[4]
- সুন্দর অন্নপূর্ণা পর্বতশ্রেণী সহজে কাস্কী জেলার প্রায় সব জায়গা থেকে দেখা যায় এবং এর মনাঙ এবং ম্যাগদী জেলার সীমান্তে এই পর্বতশ্রেণী অবস্থিত।
- বেগনাস হ্রদ নেপালের কাস্কী জেলার লেখনাথ পৌরসভার একটি স্বচ্ছপানির হ্রদ[5] যা পোখরা উপত্যকার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত। ফেওয়া হ্রদ-এর পর, পোখরা উপত্যকার আটটি হ্রদের মধ্যে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম হ্রদ।[6][7]
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ
- পোখরা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৯৭ সালে নেপালের পঞ্চম বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
তথ্যসূত্র
- "स्थानिय तह" (Nepali ভাষায়)। Ministry of Federal Affairs and General Administration। ৩১ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- Aryal, Vijay (২৮ অক্টোবর – ২ নভেম্বর ২০০৭)। "Phewa Lake Watershed Area: A Study on the Challenges to Human Encroachment" (পিডিএফ)। Proceedings of Taal 2007: The 12th World Lake Conference, Jaipur, India। International Lake Environment Committee: 2292–2299।
- Rai, Ash Kumar (২০০০)। "Evaluation of natural food for planktivorous fish in Lakes Phewa, Begnas, and Rupa in Pokhara Valley, Nepal" (পিডিএফ)। Limnology। 1: 81–89। ডিওআই:10.1007/s102010070014।
- Shrestha, Purushottam (২০০৩)। "Conservation and management of Phewa Lake ecosystem, Nepal" (পিডিএফ)। Aquatic Ecosystem Health and Management Society। পৃষ্ঠা 1–4। ৮ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৯।
- "Seven Vanishing Lakes of Lekhnath"। Ekantipur.com। ২ এপ্রিল ২০১০। ২৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৪।
- Oli, Krishna Prasad (১৯৯৭)। A local level conservation strategy for Begnas and Rupa lake watershed area। Kathmandu, Nepal: International Union for Conservation of Nature and Natural Resources, Nepal. Rāshṭriya Yojanā Āyoga, Nepal National Conservation Strategy Implementation Programme।
- Rai, Ash Kumar (২০০০)। "Limnological characteristics of subtropical Lakes Phewa, Begnas, and Rupa in Pokhara Valley, Nepal"। Limnology। 1 (1): 33–46। ডিওআই:10.1007/s102010070027।