কার্বন-নাইট্রোজেন-অক্সিজেন চক্র

সূর্যের চেয়ে বেশি ভরের তারাদের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীণ মিথস্ক্রিয়া যে প্রক্রিয়ায় হয়, তাকে কার্বন-কার্বন চক্র বলে।

প্রোটন-প্রোটন (P-P), সিএনও(CNO, এবং বিভিন্ন তাপমাত্রায় (T) ট্রিপল-α ফিউশন প্রক্রিয়ার আপেক্ষিক শক্তির ফলাফল (ε) এর লগারিদম। ড্যাশড রেখাটি তারার(Sun) মধ্যে পি-পি এবং সিএনও প্রক্রিয়াগুলির সম্মিলিত শক্তি উৎপাদন দেখাচ্ছে।

কার্বন ১২+প্রোটন, নাইট্রোজেন ১২ + গামারশ্মি, কার্বন ১৩ + পজিট্রন + নিউট্রিনো, কার্বন ১৩ + প্রোটন, নাইট্রোজেন ১৪ + গামারশ্মি, নাইট্রোজন ১৪ + প্রোটন, অক্সিজেন ১৫ + পজিট্রন + নিউট্রিনো, নাইট্রোজেন ১৫ + পজিট্রন + নিউট্রিনো, নাইট্রোজেন ১৫ + প্রোটন, কার্বন ১২ + হিলিয়াম ৪.. এখানে, কার্বন, নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ বিক্রিয়া চালানোর জন্য এরা অপরিহার্য, কিন্তু এরা নিজেরা বিক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয় না। যেমন কার্বন চক্রে ১ম ধাপে৪ বিক্রিয়া শুরু করার জন্য কার্বনের কেন্ত্রীণ প্রয়োজন। আবার, শেষধাপে হিলিয়ামের সাথে এই কার্বন বেরিয়ে আসে। কাজেই মোটের উপর কার্বন পরমাণু বিক্রিয়ায় অংশ নেয় ঠিকই কিন্তু নিজেকে বিলিয়ে দেয় না। কার্বন চক্র, প্রোটন চক্রের তুলনায় জটিলতার কিন্তু মোটের উপর ৪টি প্রোটন উপর্যুক্ত নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় একটি হিলিয়াম গঠিত হয়। কাজেই নক্ষত্রের মক্তির জন্য যে ফিউশন বিক্রিয়া প্রয়োজন তা দু’টি চক্রের সাহায্যে ধাপে ধাপে সম্পূন্ন করা যায়। নিম্নভর তারাদের জন্য প্রোটন চক্র কিন্তু ভারী তারাদের জন্য কার্বন চক্র।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.