কারিগর
যিনি সম্পূর্ণরুপে বা আংশিকভাবে হাত দিয়ে কোনো বস্তু তৈরি করেন তাকে কারিগর বলে। এই বস্তগুলি নিশ্চয়ই অনেক সৌন্দর্য্যবর্ধিত হয়ে থাকে। উদাহরণ - আসবাবপত্র, ভাস্কর্য, কাপড়, শৈল্পিক বস্ত, গহনা, শৈল্পিক খাদ্যদ্রব্য, বিভিন্ন ঘর সাজানোর জিনিস এবং যন্ত্রপাতি এবং কলকব্জা। এছাড়া ঘড়ি-নির্মাতা ঘড়ি হাত দিয়ে ঘড়ি তৈরি করে। একজন কারিগর তার অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নিজের তৈরি বস্তুকে এক অন্যন্য পর্যায়ে নিয়ে যায়। এই কাজ তাকে এক মহান শিল্পীদের কাতারে নিয়ে যায়।
"কারিগর" এর বিশেষণ পদ। এটা বিশেষণ হিসেবে প্রায়ই কোন শিল্প প্রক্রিয়া বা হাত প্রক্রিয়াকরণ করতে ব্যবহার করা হয়। হাত প্রক্রিয়াকরণ বলতে খনন কারিগর (যারা বিভিন্ন স্থানে খনন কাজে নিয়োজিত) এর কথা বোঝানো হতে পারে। আবার কখনো কখনো কারিগরকে বিপণন এবং বিজ্ঞাপনে পরোক্ষভাবে হাত দিয়ে তৈরি খাদ্যদ্রব্য ও শিল্পের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। যেমন: রুটি, পানীয় অথবা কারগরি চিছ প্রভৃতী। এর মধ্যে কিছু বস্তু ঐতিহ্যগতভাবে হাতে তৈরি, পল্লী অঞ্চল বা যাজকসংক্রান্ত পণ্য ভালো কিন্তু এখন সাধারণভাবে স্বয়ংক্রিয় যান্ত্রিকীকরণ এ কারখানায় এবং অন্যান্য শিল্প এলাকায় একটি বড় দক্ষতার উপর তৈরি করা হয়।
শিল্প বিপ্লবের পূর্বে কারিগরদের দিয়ে তৈরি ভোগ্যপণ্য অনেক জনপ্রিয় ছিলো।
প্রাচীন গ্রীসে কারিগরদের উৎপত্তি হয় আগোরার কাছে। এবং সেখানেই কারিগরদের কর্মশালা গড়ে উঠে।[1]
মধ্যযুগীয় কারিগর
মধ্যযুগীয় সময়ে কারিগররা নতুন কোনো বস্তু তৈরি করার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকতো। কিন্তু তারা নতুন কোনো বস্তু তৈরিতে কখনো অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দিতো না। কারিগররা দুই ভাগে বিভক্ত ছিলো: একদল ছিলো যারা তাদের নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করতো এবং অন্যদল করতো না। যারা নিজেদের ব্যবসা নিজেরাই করতো তাদের মালিক বা মনিব বলা হতো, অপরদিকে আধুনিককালে এদেরকে সওদাগর বা শিক্ষানবিস বলা হতো। একটি ভুল ধারণা হলো কিছু লোক এই সামাজিক দলকে আধুনিক জ্ঞানে "শ্রমিক" মনে করেন: কোন ব্যক্তির ককর্মচারী। এদের মধ্যে কিছু প্রভাবশালী কারিগর দলই হলো মালিক বা মনিব: নিজের ব্যবসা রয়েছে। মালিকগণ সমাজের উচ্চ শ্রেণীর ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হতো।[2]
শকুনিন (জাপানি শব্দ)
শকুনিন হলো জাপানি শব্দ,এর অর্থ "কারিগর" বা "হস্তশিল্পী", যা এও বোঝায় যে নিজের কাজ নিজে করার মধ্যে গর্ব রয়েছে। এর পূর্ণ শব্দ হচ্ছে শকুনিন তাশিও ওদাতে:
শকুনিন অর্থ শুধু কারিগরি দক্ষতা হলেই হবে না, কিন্তু একে বুঝে শুনে সমাজে কাজে লাগাতে হবে... একজন দায়িত্ববান ব্যক্তি সমাজের ভালোর জন্য বস্তুগত এবং আধ্যাত্মিক উভয় কাজ করে থাকেন।[3]
ঐতিহ্যবাহী হিসেবে নতুন বছরের শুরুতে শকুনিন তাদের যন্ত্রপাতিকে সম্মান করে তা ধুয়ে যত্ন করে এবং প্রত্যেক যন্ত্রপাতির বাক্সর উপরে চাউলের তৈরি কেক এবং ছোট কমলালেবু রেখে সম্মান করে সারাবছর বিনা কোনো বাধায় কাজ করার জন্য।[3]
চিত্রশালা
- বর্ম, ১৪২৫
- কামার, ১৬০৬
- ভাস্কর, ১৫৬৪
- কাঠ মিস্ত্রি, ১৪২৫
- পিপে-নির্মাতা, ১৬০৮
- রং মিস্ত্রি, ১৪৩৩
- লোম-ব্যবসায়ী, ১৫৪৩
- স্বর্ণকার, ১৫৪৩
- বন্দুকনির্মাতা, ১৬১৩
- টুপি নির্মাতা, ১৫৩৩
- তালা নির্মাতা, ১৬০০
- পেরেকনির্মাতা, ১৫২৯
- কুমার, ১৬০৫
- তালানির্মাতা, ১৬১৬
- ঘোড়ার জিন নির্মাতা, ১৪৭০
- মুচি, ১৫৩৫
- রাজমিস্ত্রি, ১৫৫০
- দরজী, ১৪২৫
- চামার, ১৪৭৩
- তাঁতী, ১৫২৪
- গাড়ি নির্মাতা , ১৫৪৫
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- Peppas, Lynn (২০০৫)। Life in Ancient Greece। Crabtree Publishing Company। পৃষ্ঠা 12। আইএসবিএন 0778720357। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৭।
- History of Western Civilization, Boise State University "Document No.23"। ২০০৯-০১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-০৮।
- Nagyszalanczy, Sandor (২০০০)। The Art of Fine Tools। Taunton Press। পৃষ্ঠা 131। আইএসবিএন 1561583618।
Artian .com /Prezzy
বহিঃসংযোগ
- উইকিঅভিধানে artisan-এর আভিধানিক সংজ্ঞা পড়ুন।
- History of Artisans