কামোর্তা-শ্রেণির করভেট
কামোর্তা-শ্রেণী করভেট বা প্রকল্প ২৮ বর্তমানে ভারতীয় নৌবাহিনীতে পরিষেবা প্রদানকারী একটি ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী অভিযান পরিচালনাকারী করভেট জাহাজের শ্রেণি। এটি কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (জি.আর.এস.ই.) দ্বারা নির্মিত, ভারতের প্রথম ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী যুদ্ধের স্টেলথ করভেট। [11] প্রকল্প ২৮ ২০০৩ সালে অনুমোদিত হয়, নেতৃত্বাধীন জাহাজটি নির্মাণের সাথে, ১২ আগস্ট ২০০৫ সালে আইএনএস কামোর্তার নির্মাণ শুরু করা হয়। চারটি করভেট যুদ্ধজাহাজের মধ্যে আইএনএস কামোর্তা (পি২৮), আইএনএস কদমত (পি২৯) এবং আইএনএস কিলতান (পি৩০) যথাক্রমে ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে সৈন্যবাহিনীতে নিযুক্ত করা হয়। এছাড়া আইএনএস কাভারাত্তি সমুদ্র পরীক্ষা শেষ করেছে এবং ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় নৌবাহিনীতে সরবরাহ করা হয়। ফেব্রুয়ারিতে জাহাজটি সৈন্যবাহিনীতে নিযুক্ত হয়েছে।[3][12]
সমুদ্রের পরীক্ষা চলাকালে আইএনএস কাভারাত্তি (পি৩১) | |
শ্রেণি'র সারাংশ | |
---|---|
নাম: | কামোর্তা-শ্রেণি |
নির্মাতা: | গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড |
ব্যবহারকারী: | ভারতীয় নৌবাহিনী |
পূর্বসূরী: | |
উত্তরসূরী অনুযায়ী: | প্রকল্প ২৮এ শ্রেণি (পরিকল্পিত)[1] |
খরচ: | ₹ ৭৮ বিলিয়ন (US$ ৯৫৩ মিলিয়ন)[2] |
পরিকল্পিত: | ৪[2] |
সম্পন্ন: | ৪[3] |
সক্রিয়: | ৪ |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার: | ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী যুদ্ধের করভেট |
ওজন: | ৩,৩০০ টন (৩,২০০ লং টন; ৩,৬০০ শর্ট টন)পূর্ণ লোড[4] |
দৈর্ঘ্য: | ১০৯ মি (৩৫৮ ফু)[4] |
প্রস্থ: | ১৩.৭ মি (৪৫ ফু)[4] |
ইনস্টল ক্ষমতা: | ২০,৩৮৪ অশ্বশক্তি (১৫,২০০ কিওয়াট) |
প্রচালনশক্তি: | সিওডিএডি: ৪ × পিল্স্টিক ১২পিএ ৬ এসটিসি৬ ডিজেল ইঞ্জিন[5] |
গতিবেগ: | ২৫ নট (৪৬ কিমি/ঘ; ২৯ মা/ঘ)[5] |
সীমা: | ৩,৪৫০ নটিক্যাল মাইল (৬,০০০ কিমি)[6] |
লোকবল: | ১৯৩ (১৩ জন কর্মকর্তা)[6] |
সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি: | |
যান্ত্রিক যুদ্ধাস্ত্র ও ফাঁদ: |
|
রণসজ্জা: |
|
বিমান বহন: | ১ × কা-২৮পিএল বা করতো হ্যাল ধ্রুব [5] |
বিমানচালানর সুবিধাসমূহ: |
রেল-লেস হ্যালো ট্রাভসিং সিস্টেম এবং ভাঁজ করতে সক্ষম হ্যান্ডার দরজা [7][8][9] [10] |
এই করভেট যুদ্ধ জাহাজগুলির প্রধান মঞ্চ (প্ল্যাটফর্ম) এবং প্রধান অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা স্বতন্ত্রভাবে পরিকল্পিত এবং নির্মিত। [1] করভেট শ্রেণীটির নামকরণ করা হয় লক্ষদ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপের নামের থেকে।
কামোরতা-শ্রেণীর কভারেটগুলির নির্মানে কোরা-শ্রেণী করভেট যুদ্ধজাহাজগুলি অনুসরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এবং ভূমিকায় রাখা হয় অভয়-শ্রেণি করভেট যুদ্ধজাহাজগুলিকে।
নির্মাণ
ভারতীয় নৌবাহিনী কর্তৃক ২০০৩ সালে চারটি কামোর্তা-শ্রেণী করভেট যুদ্ধজাহাজ নির্মানের জন্য অর্ডার দেওয়া হয়। নেতৃত্ব প্রধানকারী জাহাজ, আইএনএস কামোর্তা যুদ্ধ জাহাজের নির্মাণ ২০০৫ সালে কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড শুরু করে। প্রথম জাহাজটি ২০১০ সালে চালু করা হয় এবং ২০১৪ সালে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। [1] এই শ্রেণীর দ্বিতীয় জাহাজ আইএনএস কদমতের নির্মাণ ২০০৭ সালে শুরু হয়। ২০১১ সালে জাহাজটি চালু করা হয় এবং ২০১৬ সালের প্রথম দিকে এটি ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১০ সালে সালে আইএনএস কিলতানের নির্মান শুরু হয় এবং ২০১৩ সালে চালু করা হয়। এই শ্রেণীর শেষ জাহাজ আইএনএস কভারতি'র নির্মান ২০১২ সালে শুরু হয় এবং ২০১৫ সালে জাহাজটি চালু করা হয়। উভয় জাহাজ ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশা করা হয়। [11]
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ভারতবর্ষে যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ শিল্পের স্থানীয়করণ ও যুদ্ধজাহাজ নির্মানে উন্নয়ন সাধন করা। নৌবাহিনী ভারতীয় শিল্পকে স্বাভাবিকের চেয়ে উন্নত ধরনের সরঞ্জাম সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করে। এই সরঞ্জামের জন্য জাহাজ নির্মানে কিছু অপ্রতুল বিলম্ব হয় এবং নির্মানকার্য নিখুঁত করার জন্য নির্মান সংস্থা সমস্তরকম চেষ্টা চালায়। [13][14]
এই শ্রেণির সমস্ত জাহাজ রাষ্ট্রায়ত্ত স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (সেল) দ্বারা উৎপাদিত বিশেষ গ্রেডের উচ্চ-প্রসারণীয় ইস্পাত ডিএমআর২৪৯এ[4] এবং কার্বন ফাইবার রিইনফোর্ডেড প্লাস্টিক (সিএফআরপি) উপকরণ ব্যবহার করে নির্মিত হয়। প্রধান যন্ত্রপাতিগুলি রাফ্ট মাউন্ট করা হয় এবং প্রতিটি গিয়ার ইউনিট ও এর সাথে যুক্ত ইঞ্জিনগুলি একটি সাধারণ রাফ্টে মাউন্ট করা। ডিজেল ইঞ্জিনগুলি ফ্রান্সের এসইএমটি পাইলস্টিকের আওতায় কিরলস্কর দ্বারা অনুজ্ঞাপত্রে নির্মিত। ডিসিএনএস সংস্থা সিওডিএডি ইঞ্জিনের জন্য শব্দ-দমনকারী রাফ্ট-মাউন্টযুক্ত গিয়ারবক্স সরবরাহ করে। ওয়ার্টসিলি ইন্ডিয়া বোর্ড ইলেকট্রনিক্সগুলিতে শক্তির জন্য কম কম্পনের ডিজেল বিকল্পগুলি উৎপাদন করে।[13][15]
এই জাহাজগুলিতে এল-৩ এমএপিপিএস থেকে একটি সংহত জাহাজ পরিচালন ব্যবস্থা (আইএসএমএস) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা একটি সংহত প্ল্যাটফর্ম পরিচালন ব্যবস্থা এবং সেতু পরিচালন ব্যবস্থাকে একক সমন্বিত ব্যবস্থায় সংযুক্ত করে।[16]
আইএনএস কিলতান এবং আইএনএস কাভারাত্তিকে তাদের পূর্ববর্তী জাহাজের চেয়ে অধিক উন্নত। প্রথমত, সুইডেনের ককুমস থেকে আমদানি করা যৌগিক উপকরণগুলি বৃহৎ কাঠামোগুলি নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর ফলে ইস্পাত, ক্ষয়-বিরোধী এবং অগ্নি প্রতিরোধক দিয়ে নির্মিত সাধারণ বৃহৎ কাঠামোর তুলনায় ওজন কমে যাওয়া জাহাজগুলির স্টিলথ বৈশিষ্ট্যগুলি বৃদ্ধি পেয়েছে। জাহাজগুলির জন্য কিছু অতিরিক্ত অস্ত্র এবং নতুন বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলেও ধারণা করা হয়।[17][18][19]
নকশা এবং বর্ণনা
২০০৩ সালে, সাংকেতিক নাম প্রকল্প ২৮-এর অধীনে, ভারতীয় নৌবাহিনী চারটি এএসডব্লিউ করভেটের জন্য একটি অর্ডার প্রদান করে। করভেটের নকশাটি মূলত রাশিয়ান করভেট প্রকল্প ২০৩৮.২-এর উপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা করা হয়, তবে প্রাথমিক নকশাটি পরে ভারতীয় নৌবাহিনীর নৌ নকশা অধিদপ্তর দ্বারা সরবরাহ করা হয়, তারপরে জিআরএসই দ্বারা বিস্তারিত নকশা করা হয়।[20] নকশায় শাব্দ স্বাক্ষর ও জাহাজের কম্পন হ্রাস'সহ অনেক স্টিলথ জাহাজের বৈশিষ্ট্য রয়েছে।[21]
শ্রেণিতে কিছু বড় বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তবে এটি স্টিলথের উন্নতির জন্য 'এক্স' আকৃতির হাল ফর্ম, কম্পন হ্রাস করার জন্য একটি ভেলা মাউন্ট করা প্রপালশন ব্যবস্থা এবং একটি ইনফ্রারেড স্বাক্ষর দমন ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধ নয়।[6] এটিতে সম্পূর্ণ বায়ুমণ্ডলীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (টিএসিএস), সংহত প্ল্যাটফর্ম ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা (আইপিএমএস), ইন্টিগ্রেটেড ব্রিজ সিস্টেম (আইবিএস), যুদ্ধ ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (বিডিসিএস) এবং কর্মচারীদের অবস্থান নির্দেশক ব্যবস্থা (পিএলএস) এর মতো নেটওয়ার্কও রয়েছে। জাহাজগুলির মধ্যে এমন প্রযুক্তিও রয়েছেম, যা তাদেরকে পারমাণবিক, জৈবিক এবং রাসায়নিক (এনবিসি) যুদ্ধের পরিস্থিতিগুলিতে লড়াই করতে সক্ষম করে। ভারতীয় নৌবাহিনী দাবি করেছে যে এই জাহাজগুলিতে অর্জিত দেশীয় প্রযুক্তি প্রায় ৯০%।[4]
সাধারণ বৈশিষ্ট্য এবং পরিচালনা
কামোর্তা-শ্রেণীর করভেটের সামগ্রিক দৈর্ঘ্য ১০৯ মিটার (৩৫৮ ফুট) এবং জাহাজের সবচেয়ে চওড়া অংশ়় ১৩.৭ মিটার (৪৫ ফুট) প্রসারিত। জাহাজগুলি স্থানচ্যুত করে স্ট্যান্ডার্ড লোডে প্রায় ২,৫০০ টন (২,৫০০ লং টন; ২,৮০০ শর্ট টন) এবং পুরোপুরি লোড হওয়ার পরে ৩,০০০ টন (৩,০০০ লং টন; ৩,৩০০ শর্ট টন)।
এগুলিকে চারটি পাইলস্টিক ১২ পিএ৬ এসটিসি ডিজেল ইঞ্জিন দ্বারা চালিত করা হয়, যার প্রত্যেকটিই কোডাড কনফিগারেশনে ৫,০৯৬ এইচপি (৩,৮০০ কিলোওয়াট) শক্তিযুক্ত। তাদের দুটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য পিচ প্রোপেলার রয়েছে, যা জাহাজকে ২৫ নট (৪৬ কিমি/ঘণ্টা; ২৯ মাইল) এর বেশি গতিতে সর্বোচ্চ গতি অর্জনে সহায়তা করে।[4]
ইলেকট্রনিক্স ও সেন্সর
কার্মোতা-শ্রেণির করভেটগুলি বিভিন্ন ধরনের সেন্সর রয়েছে। করভেটে পরিচিত সেন্সরগুলির তালিকা নীচে দেওয়া হল:
রণসজ্জা
শ্রেণির সজ্জায় একটি স্টিলথ মাউন্টে লাইসেন্স-নির্মিত ওটিও মেলারা ৭৬ মিমি অতি ক্ষিপ্র বন্দুক এবং তালওয়ার-শ্রেণি ও শিবালিক-শ্রেণির ফ্রিগেটের মতো একটি অস্ত্র বিন্যাস, দুটি লারসেন ও টুব্রো নির্মিত ডেরিভেটিভ অন্তর্ভুক্তকারী আরবিইউর-৬০০০ অ্যান্টি-সাবমেরিন রকেট লঞ্চ, পাশাপাশি লারসন এবং টুব্রো টর্পেডো টিউব লঞ্চার এবং একজোড়া একে -৬৩০ এম নিকটবর্তী অস্ত্র ব্যবস্থা (সিআইডব্লিউএস) পাওয়া যায়। গুলিবর্ষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটি হল ভারত ইলেকট্রনিক্স আইএসি মোড সি ব্যবস্থা।[6]
ভূমি থেকে বায়ু ক্ষেপণাস্ত্র (এসএএম) অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জাহাজটিতে একটি বিকল্প রয়েছে। তবে কোন এসএএম'কে কামোর্তা-শ্রেণির করভেটে সংহত করা হবে তা এখনও অস্পষ্ট। বিকল্পগুলির মধ্যে বারাক ১ এবং বারাক ৮ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[22] করভেটেগুলি একটি হেলিকপ্টার ধারণ করতে পারে, যেটি বর্তমানে ওয়েস্টল্যান্ড সি কিং এমকে ৪২ বি হেলিকপ্টার।[4]
কার্মোতা-শ্রেণির জাহাজগুলি
শ্রেণির সমস্ত জাহাজের নাম হ'ল পূর্ববর্তী অর্নলা-শ্রেণির করভেটের জাহাজগুলির থেকে নেওয়া হয়, যা কার্মোতা শ্রেণির আধ্যাত্মিক পূর্বসূরি হিসাবে বিবেচিত হয়।[23]
নাম | ধ্বজা | নির্মাণ শুরু | চালু হয় | অনুমোদিত | হোম পোর্ট |
---|---|---|---|---|---|
আইএনএস কামোর্তা (পি২৮) | পি২৮ | ২০ নভেম্বর ২০০৬[24]:৫৭ | ১৯ এপ্রিল ২০১০[25] | ২৩ আগস্ট ২০১৪[26][27] | বিশাখাপত্তনম |
আইএনএস কদমত (পি২৯) | পি২৯ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭[24]:৫৭ | ২৫ অক্টোবর ২০১১[28] | ৭ জানুয়ারী ২০১[29] | |
আইএনএস কিলতান (পি৩০) | পি৩০ | ১০ আগস্ট ২০১০[30] | ২৬ মার্চ ২০১৩[31] | ১৬ অক্টোবর ২০১৭[7] | |
আইএনএস কাভারাত্তি (পি৩১) | পি৩১ | ২০ জানুয়ারী ২০১২[24]:৫৮ | ১৯ মে ২০১৫[8] | ২২ অক্টোবর ২০২০[3][32] |
ছবি
- সমুদ্রে কামোর্তা-শ্রেণির জাহাজ
- আইএনএস কামোর্তা সিঙ্গাপুর বন্দরে প্রবেশ করছে।
- ফিলিপাইনের ম্যানিলা দক্ষিণ হারবারে ভারতীয় নৌবাহিনীর আইএনএস কদমত (পি ২৯) এর একটি পাশের দৃশ্য।
- ইউএনএনএস রিচার্ড ই বার্ড দ্বারা সমুদ্রে আইএনএস কিলতান পুনঃপূরণ।
- আইএনএস কাভারাত্তি পরীক্ষামূলক যাত্রার সময়
- আইএনএস কামোর্তা মালয়েশিয়ার কোটা কিনাবালু সফরে
- ভারতীয় নৌবাহিনী দ্বারা কম্পিউটারে তৈরির প্রকল্প ২৮ কামোর্তা শ্রেণির করভেটের ছবি
রপ্তানি
ফিলিপাইন নৌবাহিনী
একটি আধুনিকীকরণ কর্মসূচির আওতায় ফিলিপাইন নৌবাহিনী দুটি হালকা ফ্রিগেট কিনতে চেয়েছিল, যার প্রত্যেকেটির স্থানচ্যুতি ২ হাজার টন (২,০০০ লম্বা টন; ২,২০০ শর্ট টন), দৈর্ঘ্য ১০৯ মিটার (৩৫৮ ফুট) গতি ২৫ নট (৪৬ কিমি/ঘণ্টা) ২৯ মাইল প্রতি ঘণ্টা) এবং সমুদ্র রাজ্য ৭-এর মধ্যে যাত্রা করতে সক্ষম। বিড প্রক্রিয়াতে, জিআরএসই প্রতিযোগী দেউ শিপ বিল্ডিং ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, হুন্ডাই হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ এবং নাভন্তিয়ারের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে নির্বাচিত হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী ২১.৫৭ বিলিয়ন ডলার (৩০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বেশি ব্যয় হবে বলে জানা যায়।[33][34] তবে পোস্টের যোগ্যতার মূল্যায়নের ভিত্তিতে জিআরএসই আর্থিক সক্ষমতার প্রয়োজনীয়তা পূরণ না করার কারণে অযোগ্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়।[35]
ব্রাজিলিয়ান নৌবাহিনী
জুন ২০১৮ সালে, জিআরএসই ব্রাজিলিয়ান নৌবাহিনীর তমান্ডার-শ্রেণীর ভবিষ্যতের করভেট প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব জমা করে। জিআরএসই ফিলিপাইনের প্রস্তাবের সমতুল্য অস্ত্র ও সেন্সর সহ ২,৮০০ টনের সংশোধিত কামোর্তা শ্রেণীর জাহাজ প্রদান সম্মতি দেয়। ব্রাজিলের স্থানীয় শিপইয়ার্ডে প্রকল্পটি শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়, যার জন্য জিআরএসই স্থানীয় ভাবে উৎপাদনের জন্য সিনেরজি গ্রুপ কর্পোরেটের সাথে অংশ গ্রহণ করে।[36] জিআরএসইর প্রস্তাবটি ২০১৮ সালের অক্টোবরে মনোনয়ন (ডাউন-সিলেক্ট) করা হয়নি।[37]
সমালোচনা
৩,৪০০ টন ওজনের জাহাজগুলি একটি কর্ভেটের পরিবর্তে ছোট ফ্রিগেট জাহাজ হিসেবে বেশি যুক্তিযুক্ত এবং এই জাহাজগুলি দুর্বল অস্ত্রসজ্জা যুক্ত। এটিও অভিযোগ করা হয়েছে যে ভারতীয় নৌবাহিনী ৩,৪০০-টন ওজন বিশিষ্ট ফ্রিগেট জাহাজের সহনশীলতা এবং ১২০০ টন ওজন বিশিষ্ট কর্ভেট জাহাজের অস্ত্রসজ্জা যুক্ত জাহাজ চেয়েছিল।[38]
আরও দেখুন
- ভারতীয় নৌবাহিনীর বর্তমান নৌযান-সমূহের তালিকা
- ভারতীয় নৌবাহিনীর ভবিষ্যত
তথ্যসূত্র
- Pike, John। "Project 28 ASW Corvette"। www.globalsecurity.org। ৮ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৬।
- "INS Kavaratti: Anti-submarine warfare class stealth corvette launched"। The Economic Times। ১৯ মে ২০১৫। ৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৬।
- "GRSE delivers 4th anti-submarine warfare corvette to Navy"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- "INS Kadmatt commissioned at Visakhapatnam"। indiannavy.nic.in। ৩০ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৬।
- Rahmat, Ridzwan; Hardy, James (২২ জুলাই ২০১৪)। "Indian Navy takes delivery of first anti-submarine corvette"। IHS Jane's Navy International। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- Mazumdar, Mrityunjoy (৬ জানুয়ারি ২০১৬)। "Indian Navy commissions second Kamorta-class ASW corvette"। IHS Jane's Navy International। ৯ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- Gupta, Jayanta (১৬ অক্টোবর ২০১৭)। "INS Kiltan commissioned to Navy by defence minister Nirmala Sitharaman"। The Times of India।
- "'Kavaratti' - Fourth Ship of Project – 28 (Anti Submarine Warfare Corvette) Launched at GRSE, Kolkata"। Press Information Bureau। ১৯ মে ২০১৫। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- https://web.archive.org/web/20180221213511/
- https://timesofindia.indiatimes.com/india/ins-kiltan-commissioned-to-navy-by-defence-minister-nirmala-sitharaman/articleshow/61103387.cms
- "INS Kamorta: All you need to know about India's indigenous warship"। dna। ২৩ আগস্ট ২০১৪। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৬।
- "Nirmala to induct INS Kiltan in Vizag"। Deccan Chronicle (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ অক্টোবর ২০১৭। ১৫ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭।
- Shukla, Ajai (১ আগস্ট ২০০৯)। "Warship project delayed to build up private sector"। Business Standard। ৩১ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- Nair-Ghaswalla, Amrita (১২ জানুয়ারি ২০১৮)। "Strict adherence to indigenisation norm delays production of anti-sub warfare ships"। The Hindu Business Line (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১৮।
- "Bharat-Rakshak.com :: NAVY - Project 28 Class"। bharat-rakshak.com। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "The Power of Two: Combined IPMS + IBS for the Indian Navy P28 Stealth Corvettes" (পিডিএফ)। MCS News। জুন ২০১০। ২৪ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- "GRSE's last two ASW corvettes to be very advanced: Navy - Times of India"। The Times of India। ১২ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৬।
- "INS Kavaratti launched - Times of India"। The Times of India। ২০ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৬।
- "Navy experimenting with composite superstructure for warships"। The Economic Times। PTI। ২৭ এপ্রিল ২০১৫। ৩ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৬।
- "Project 28 ASW Corvette"। globalsecurity.org। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- Malik, Amarjeet। "Anti-submarine corvette for Navy next year"। Georgians News। General Military School। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- "Indian Navy test-fires missile developed with Israel"। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫।
- Shukla, Ajai (২৩ আগস্ট ২০১৪)। "India gets its first "90 per cent indigenous" warship"। Business Standard। Visakhapatnam। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "Garden Reach Shipbuilders & Engineers: Committed to Self Reliance in Maritime Security" (পিডিএফ)। Garden Reach Shipbuilders & Engineers। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- Bose, Raktima (২০ এপ্রিল ২০১০)। "India's first anti-submarine warfare corvette launched"। The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- Subrahmanyam, G. S. (২৪ আগস্ট ২০১৪)। "INS Kamorta joins Eastern Fleet"। The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "প্রথম ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী রণতরি চালু ভারতের"। প্রথম আলো। ২৪ আগস্ট ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২০।
- Dutta, Ananya (২৬ অক্টোবর ২০১১)। "INS Kadmatt launched"। The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "Boost for Indian Navy's firepower: INS Kadmatt, anti-submarine warfare corvette, commissioned"। The Economic Times। ৭ জানুয়ারি ২০১৬। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "Keel Laying – Anti Submarine Warfare Corvette GRSE Yard No. 3019" (পিডিএফ)। ১৯ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- Kumar, Vinay (২৭ মার্চ ২০১৩)। "Third anti-submarine warfare corvette launched in Kolkata"। The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "GRSE to diversify into exports, may bag Guyanese order soon"। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- "GRSE to Export Light Frigates to Philippines"। DefenseNews। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১৬।
- "GRSE close to sealing deal with Philippines on warship export"। Business Standard। PTI। ৮ জুন ২০১৬। ২২ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১৬।
- "Losing bidders buck P18-b Navy deal"। Manila Standard। ৩০ জুন ২০১৬। ১১ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৬।
- "GRSE unveils design proposal for Brazilian corvette programme"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৮।
- "Four European Designs Shortlisted for Brazilian Navy Tamandaré-class"। Navy Recognition। ২০ অক্টোবর ২০১৮।
- "Kamorta Project 28 ASW Corvette - Design"। Global Security (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৬।
বহিঃসংযোগ
- "ভারত-রক্ষক.কম :: নেভি - প্রজেক্ট ২৮ ক্লাস"। Bharat-Rakshak.com। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- পি-২৮ বিশেষ উল্লেখ – গ্লোবাল সিকিউরিটি
- কার্মোতা-শ্রেণি বিশ্লেষণ - ডিফেন্সিক্লোপেডিয়া