কানাইলাল শীল
কানাইলাল শীল (১৮৯৫-১৯৭৬) ছিলেন একজন বাঙালি দোতারাবাদক, সুরকার, লোকসঙ্গীত রচয়িতা ও সংগ্রাহক। লোকসঙ্গীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৮৭ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।[1]
কানাইলাল শীল | |
---|---|
জন্ম | ১৮৯৫ |
মৃত্যু | ১৯৭৬ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
পেশা | সঙ্গীতের শিক্ষক |
পরিচিতির কারণ | সুরকার, দোতারাবাদক |
পুরস্কার | একুশে পদক |
প্রারম্ভিক জীবন
কানাইলাল ১৮৯৫ সালে[2] (১৩০৫ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার কইরাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আনন্দচন্দ্র শীল এবং মাতা সৌদামনী শীল। মাত্র আড়াই বছর বয়সে তার পিতার মৃত্যু হয়। আট বছর বয়সে তার বেহালায় হাতেখড়ি হয় ওস্তাদ বসন্ত কুমার শীলের কাছে। এগার বছর বয়সে তিনি ওস্তাদ মতিলালের কাছে বেহালায় পূর্ণপাঠ শেষ করেন।[3]
কর্মজীবন
ফরিদপুরের অম্বিকাপুরে এক যাত্রানুষ্ঠানে কানাইলালের সাথে পরিচয় হয় পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের সাথে। জসীম উদ্দীন তাকে কলকাতায় নিয়ে যান। সেখানে তার লোকসঙ্গীত শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদের সাথে সাক্ষাৎ হয়। তার অনুপ্রেরণায় তিনি লোকগান রচনা শুরু করেন এবং তার সহায়তায় গ্রামোফোন কোম্পানিতে যোগ দেন। সেখানে তিনি কাজী নজরুল ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত হন এবং তার গানের সাথে দোতারা বাজাতেন। পরে তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিওর কলকাতা কেন্দ্রে নিয়মিত দোতারাবাদক হিসেবে যোগদান করেন।[1]
মৃত্যু
কানাইলাল শীল ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।[1]
তথ্যসূত্র
- খান, মোবারক হোসেন। "শীল, কানাইলাল"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৭।
- "Homage to Kanai Lal Shil [কানাইলাল শীলের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি]"। দ্য ডেইলি স্টার। ১ নভেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৭।
- "কানাই লাল শীল"। দেশে বিদেশে। ১৯ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৭।