কাজী নাবিল আহমেদ
কাজী নাবিল আহমেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ এবং বর্তমান সংসদ সদস্য।[1][2] তার নির্বাচনী আসন যশোর-৩।[3][4] তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি।[5]
কাজী নাবিল আহমেদ | |
---|---|
যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২০১৪ – ২০১৮ | |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ খালেদুর রহমান টিটো |
উত্তরসূরী | নিজে |
কাজের মেয়াদ ২০১৮ – বর্তমান | |
পূর্বসূরী | নিজে |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ৪ অক্টোবর, ১৯৬৯ ঢাকা |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
পিতামাতা | কাজী শাহেদ আহমেদ (পিতা) আমিনা (মাতা) |
পেশা | রাজনীতি ও ব্যবসা |
ধর্ম | ইসলাম |
ডাকনাম | নাবিল |
প্রাথমিক জীবন
কাজী নাবিল আহমেদ ১৯৬৯ সালের ৪ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।[1][6] কাজী নাবিল আহমেদের বাবার নাম কাজী শাহেদ আহমেদ এবং মায়ের নাম আমিনাহ। তার বাবা সামরিক বাহিনীতে চাকরি করতেন। ১৯৭৯ সালে সেনাবাহিনী থেকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করে ব্যবসা শুরু করেন। কাজী শাহেদ আহমেদ ক্যাসেল কন্সট্রাকশন নামে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বানান, এরপর প্রতিষ্ঠা করেন জেমকন গ্রুপ। ছোট আকারে শুরু হলেও বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে এই প্রতিষ্ঠানে।
শিক্ষা
কাজী নাবিল আহমেদ সেন্ট জোসেফ হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক, নটরডেম কলেজ, ঢাকা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান।[6] যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন ১৯৯২ সালে। সে বছরই দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে পারিবারিক ব্যবসার দেখভাল করতে মনোযোগী হন। শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯৯৯ সালে তিনি আবার বিদেশ গমন করেন। তিনি ইংল্যান্ডে কম্পারেটিভ পলিটিক্সের ওপর এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন।[6]
কর্মজীবন
তার কর্মজীবন শুরু হয় পারিবারিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে কাজ করার মধ্য দিয়ে। তিনি জেমকন গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিষ্ঠানটি তার বাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৮২ সালে চালু হয় জেমিনি সি ফুড, ১৯৮৬ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পোল ফ্যাক্টরি, ২০০২ সালে মিনাবাজার, ২০০৩ সালে জেম জুট, সম্প্রতি আবাসন ব্যবসা জেমকন সিটি চালু হয়।[6] এছাড়াও জেমকন গ্রুপের রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকা।
রাজনীতি
যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন সময়ে কাজী নাবিল আহমেদ রাজনীতিতে জড়িয়ে পরেন। সেখানে তার সাথে জিমি কার্টারের দেখা হয়। জিমি কার্টারের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে তিনি রাজনীতিতে আরো বেশি আগ্রহী হন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী রাজনীতিক মাহী বি চৌধুরী তার সহপাঠী ছিলেন। ২০০৩ সাল থেকে তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।[6] তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য হন। [7] তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের একজন সদস্য।[3]
খেলাধুলা
ছোটবেলা থেকেই কাজী নাবিল আহমেদ খেলাধুলার সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি গত শতকের নব্বই এর দশক থেকে আবাহনীর ডিরেক্টর পদে ছিলেন। তিনি ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ইনচার্জ মনোনীত হন এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি পদে ৩ বার নির্বাচিত হয়েছেন।[3] এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের ফুটসাল ও বিচ সকার কমিটির একজন সদস্য তিনি। শেখ কামাল ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণেও তার ভূমিকা রয়েছে।
তথ্যসূত্র
- Adnan, Rajib, Bipul, Shanto,। "কাজী নাবিল আহমেদ / Kazi Nabil Ahmed (1969) - Jessore-3 - Jessore, Jhenaidah, Magura, Narail"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-৩১।
- "যশোরকে বিভাগ ঘোষণার দাবি জানালেন কাজী নাবিল আহমেদ | banglatribune.com"। Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-৩১।
- "Joyful Joy and Durjoy"। archive.dhakatribune.com। Dhaka Tribune। ১৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৬।
- "MP Kazi Nabil hosts iftar party"। archive.dhakatribune.com। Dhaka Tribune। ১৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৬।
- "Salahuddin wins BFF election"। archive.dhakatribune.com। Dhaka Tribune। ১৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৬।
- "কাজী নাবিল আহমেদ : একজন সংসদ সদস্যের প্রতিকৃতি – যশোর টাইমস"। যশোর টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১০-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-৩০।
- Pratidin, Bangladesh। "প্রবীণ তরিকুলের বিপরীতে তরুণ নাবিল | বাংলাদেশ প্রতিদিন"। Bangladesh Pratidin। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-৩১।