কাউখালী উপজেলা, পিরোজপুর

কাউখালী উপজেলা বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

কাউখালী
উপজেলা
ডাকনাম: কাউহালী
কাউখালী
কাউখালী
বাংলাদেশে কাউখালী উপজেলা, পিরোজপুরের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৫′ উত্তর ৯০°৭′ পূর্ব
দেশবাংলাদেশ
বিভাগবরিশাল বিভাগ
জেলাপিরোজপুর জেলা
১৭৯০১৭৯০
পিরোজপুর-২ সংসদীয় আসন১২৮, জাতীয় সংসদ
সরকার
  চেয়ারম্যানআবু সাঈদ মিয়া (জাতীয়পার্টি জেপি)
আয়তন
  মোট৭৯.৫৬ বর্গকিমি (৩০.৭২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১৭)[1]
  মোট১,১০,৫৮৯
  জনঘনত্ব১,৪০০/বর্গকিমি (৩,৬০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৫৭.৫%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৮৫১০
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
১০ ৭৯ ৪৭
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান

উত্তর ও পশ্চিমে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলা, পূর্বে রাজাপুর উপজেলাঝালকাঠি সদর উপজেলা, দক্ষিণে ভান্ডারিয়া উপজেলা এবং দক্ষিণ পশ্চিমে পিরোজপুর সদর উপজেলা অবস্থিত।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

কাউখালী উপজেলায় বর্তমানে ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম কাউখালী থানার আওতাধীন।

ইউনিয়নসমূহ:

ইতিহাস

১৭৯০ সালে গভর্নর লর্ড কর্নওয়ালিশ ভারত শাসন সংস্কার আইনের মাধ্যমে প্রশাসনিক পরিবর্তন সাধন করে বৃহত্তর বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) জেলার জন্য ১০টি থানা স্থাপনের অনুমোদন প্রদান করলে এর ৩টি থানা পিরোজপুর অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ করা হয় এবং তখন কাউখালীতে থানা স্থাপিত হয়। পরে এখানে আবগারী অফিস, মুন্সেফ আদালত, রেজিস্ট্রারি অফিসসহ লবণ চৌকি স্থাপিত হয়।

১৮৫৯ সালে পিরোজপুর মহকুমা স্থাপিত হলেও কাউখালী ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত পিরোজপুরের নামে কাউখালীতেই অফিস-আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। আদিতে থানাগুলো নদীতীরে ভাসমান জলথানা হিসেবে কার্য সম্পাদন করত বলে কাউখালী থানাও এধরনের স্থাপনা ছিলো যা ১৯০৯ সালের ৩১ মার্চ বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয়।

নামকরণ

তদানীন্তন সেলিমাবাদ পরগনা ছিল লবণ ব্যবসায়ের প্রাণকেন্দ্র্। বৃহৎ লবণ শিল্প ছিল সেলিমাবাদে। সেলিমাবাদের লবণ মহলের ব্যাপক উৎপাদনশীল এলাকা ছিল কাউখালীতে।

আমরাজুরীর দত্ত পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা নেমক মহলের দারোগা ছিল। ১৭৮৩ সালের ২৫ জুন তারিখে লন্ডনের কমন্স সভার লবণ রিপোর্টে দেখা যায়, রাশিয়ার অন্তর্গত আর্মেনিয়ার অধিবাসী জনৈক খাজা কাওয়ার্ক নামের এক ব্যবসায়ী ১৭৭৩ সালেসেলিমাবাদের লবণ শিল্পের মালিক ছিলেন। ১৭৭৪ সালে ঢাকার চিফ বারওয়েল লবণ ব্যবসা নিজ হসস্ত গ্রহণ করেন। তিনি পরে খাজা কাওয়ার্ককে মূল্যবান উপহার বিনিময়ে লবণ ব্যবসার জন্য গোপনে অনুমতি প্রদান করেন। যার জন্য বারওয়েল দারুনভাবে সমালোচিত এবং নিন্দিত হন। স্থানীয় লোকজন খাজা কাওয়ার্ককে কাও সাহেব বলে ডাকত। ফলতঃ কাও সাহেব নামের প্রচার এবং প্রসার থেকে কাওখালী, যা কালক্রমে পরিবর্তিত হয়ে কাউখালী হয়েছে।

জনসংখ্যার উপাত্ত

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কাউখালী উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৭০,১৩০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৪,৮৯৩ জন এবং মহিলা ৩৫,২৩৭ জন। মোট পরিবার ১৬,২০৮টি।[2]

শিক্ষা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কাউখালী উপজেলার সাক্ষরতার হার ৬৪.৬%।[2]

উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

নাঙ্গুলী নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা। এটি এ উপজেলার সর্বোচ্চ ধর্মীয় শিক্ষালয়। ১৯৮৫ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর তথা কামিল (স্নাতকোত্তর) স্তর পর্যন্ত এখানে পাঠদান করা হয়।[3] জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-এ একাধিকবার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অত্র প্রতিষ্ঠানটি শ্রেষ্ঠ হয়েছে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মহোদয় মুহাম্মদ আব্দুল মতিন একাধিকবার উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান মনোনীত হয়েছেন।[4] শাখা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাদ্রাসা সংলগ্ন সালেহিয়া এতিমখানা, লিল্লাহবোর্ডিং, নূরানী, হাফেজী ও মহিলা মাদ্রাসা গড়ে ওঠেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এখানের এতিমখানা ও লিল্লাহবোর্ডিং এ ফ্রি থেকে-খেয়ে পড়াশুনা করছে। পিরোজপুর জেলায় মাদ্রাসাটির বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।[5]

অর্থনীতি

সুপারী, কলা, পান, আমরা ইত্যাদি।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

  • শহীদ ড. আবুল খায়ের - তিনি কাউখালী উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের রিডার ছিলেন। তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির স্বাধীনতার একজন প্রবক্তা।

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৮)। "এক নজরে কাউখালী"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৩১ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৫
  2. "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৯
  3. "কাউখালী সদর ইউনিয়ন"উইকিপিডিয়া। ২০২১-১২-২৮।
  4. "নাঙ্গুলী নেছারিয়া ফাযিল মাদরাসা"উইকিপিডিয়া। ২০২১-১১-২০।
  5. "কাউখালী সদর ইউনিয়ন"উইকিপিডিয়া। ২০২১-১২-২৮।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.