কাইমুর জেলা

১৯৯১ সালের মার্চ মাসে রোহতাস জেলা ভেঙে কৈমুর জেলা গঠিত হয়।[1] কৈমুর জেলার লেহদায় ২০,০০০ বছরের পুরনো একটি জনবসতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ২০১২ সালের জুন মাসে এই জেলার বৈদ্যনাথে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে পালযুগের কয়েকটি মিথুনমূর্তি পাওয়া গিয়েছে।[2] বর্তমানে কৈমুর জেলা রেড করিডোরের অন্তর্গত একটি জেলা।

কৈমুর জেলার আয়তন ৩,৩৬২ বর্গকিলোমিটার (১,২৯৮ মা^২)।[3] আয়তনের দিক থেকে এই জেলা রাশিয়ার ভয়গাচ দ্বীপের প্রায় সমান।[4]

কৈমুর জেলার দক্ষিণে কৈমুর পর্বতমালা ও রোহতাস মালভূমি অবস্থিত। কর্মনাশা, কুদ্রা ও দুর্গাবতী নদী এই জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তেলহারের কর্কট জলপ্রপাত এই জেলার একটি বিখ্যাত জলপ্রপাত। এই জেলায় ১,০৬,৩০০ হেক্টর বনাঞ্চল রয়েছে। কৈমুর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এখানকার একটি উল্লেখযোগ্য অভয়ারণ্য। এই অভয়ারণ্যে বাঘ, চিতাবাঘ ও চিঙ্কারা দেখা যায়।

কৈমুর জেলার অর্থনীতির মূল ভিত্তি হল কৃষি। ধান, গম, সবজি, ডাল ও ভুট্টা এখানকার প্রধান কৃষিজ ফসল। জেলার প্রধান শিল্প হল বনস্পতি ওয়েল লিমিটেড, এসিসি লিমিটেড ও পুসাউলিতে পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার হাই ভিলেজ ডাইরেক্ট কারেন্ট (এইচভিডিসি) গ্রিড স্টেশন।

২০০৬ সালে ভারত সরকারের পঞ্চায়েত মন্ত্রক দেশের ২৫০টি সর্বাধিক অনগ্রসর জেলার তালিকায় কৈমুর জেলার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে।[5] বিহারের যে ৩৬টি জেলা অনগ্রসর অঞ্চল অনুদান তহবিল কর্মসূচির অধীনে অনুদান পেয়ে থাকে, কৈমুর জেলা তার অন্যতম।[5]

কৈমুর জেলা দুটি মহকুমায় বিভক্ত। যথা: মোহনিয়া মহকুমা ও ভাবুয়া মহকুমা। মহকুমাদুটি আবার ১১টি ব্লকে বিভক্ত। যথা: ভাবুয়া, রামগড়, মোহনিয়া, দুর্গাবতী, অধউরা, ভগবানপুর, চান্দ, চৈনপুর, কুদ্রা, রামপুর ও নুয়াওয়ান।

২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, কৈমুর জেলার জনসংখ্যা ১,৬২৬,৩৮৪।[6] জনসংখ্যার হিসেবে এই জেলা গিনি-বিসসুয়া রাষ্ট্র[7] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইডাহো রাজ্যের প্রায় সমান।[8] জনসংখ্যার হিসেবে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এই জেলার স্থান ৩০৭তম।[6] কৈমুর জেলার জনঘনত্ব ৪৮৮ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,২৬০ জন/বর্গমাইল)।[6] ২০০১-২০১১ দশকে এই জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২৭.৫৪%।[6] কৈমুর জেলার লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯১৯ জন মহিলা [6] এবং সাক্ষরতার হার ৭১.০১%।[6]

• বিহারের জেলাগুলির তালিকা

1. "History"। Official Website of Kaimur। ২০১৩-১২-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-০৭।
2. "Erotic sculptures of Pala period discovered in Bihar village"। জুন ১৩, ২০১২। মে ৬, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫।
3. Srivastava, Dayawanti et al. (ed.) (২০১০)। "States and Union Territories: Bihar: Government"। India 2010: A Reference Annual (54th সংস্করণ)। New Delhi, India: Additional Director General, Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting (India), Government of India। পৃষ্ঠা 1118–1119। আইএসবিএন 978-81-230-1617-7। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অতিরিক্ত লেখা: লেখকগণের তালিকা (link)
4. "Island Directory Tables: Islands by Land Area"। United Nations Environment Program। ১৯৯৮-০২-১৮। ২০১৮-০২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১। Vaygach Island3,329km2
5. Ministry of Panchayati Raj (সেপ্টেম্বর ৮, ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme" (পিডিএফ)। National Institute of Rural Development। ৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১১।
6. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
7. US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১। Guinea-Bissau 1,596,677 July 2011 est. line feed character in |উক্তি= at position 14 (সাহায্য)
8. "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ২০১১-০৮-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০। Idaho 1,567,582 line feed character in |উক্তি= at position 6 (সাহায্য)

উইকিমিডিয়া কমন্সে কৈমুর জেলা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।

• Official government website
• Kaimur Information Portal

টেমপ্লেট:Patna Division