কসবা উপজেলা

কসবা উপজেলা বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা এবং উপজেলা।[1]

কসবা
উপজেলা
কসবা চট্টগ্রাম বিভাগ-এ অবস্থিত
কসবা
কসবা
কসবা বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
কসবা
কসবা
বাংলাদেশে কসবা উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৪′১৬″ উত্তর ৯১°৯′৪৮″ পূর্ব
দেশবাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
জেলাব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ২৪৬ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪
সরকার
  জাতীয় সংসদ সদস্যএডভোকেট আনিসুল হক (বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ)
  উপজেলা চেয়ারম্যানরাশেদুল কাউছার জীবন
আয়তন
  মোট২০৯.৭৮ বর্গকিমি (৮১.০০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
  মোট৩,১৯,২২১
  জনঘনত্ব১,৫০০/বর্গকিমি (৩,৯০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৫০.৭%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
২০ ১২ ৬৩
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

অবস্থান ও আয়তন

কসবা উপজেলার আয়তন ২০৯.৭৬ বর্গ কিলোমিটার (৫১, ৮৩২.৮ একর)। [2]এই উপজেলার উত্তরে তিতাস নদী, আখাউড়া উপজেলাব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা, দক্ষিণে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা, পশ্চিমে নবীনগর উপজেলা, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা

ভৌগোলিক পরিবেশ

তিতাস, সালদা, বিজনা, সিনাই, সাঙ্গুর, বুড়ি, রাজার খাল, অদের খাল, কালিয়ারা নদী কসবার মধ্যে অতিক্রম করেছে। এ উপজেলার পূর্বপ্রান্তে রয়েছে লাল মাটির পাহাড়ী টিলা ভূমি।

প্রশাসনিক এলাকা

কসবা উপজেলা পরিষদ মার্কেট

কসবা উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম কসবা থানার আওতাধীন।

পৌরসভা:
ইউনিয়নসমূহ:

জাতীয় সংসদ

সংসদীয় আসন জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[3] সংসদ সদস্য[4][5][6][7][8] রাজনৈতিক দল
২৪৬ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আখাউড়া উপজেলা এবং কসবা উপজেলা আনিসুল হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

জনউপাত্ত

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কসবা উপজেলায় মোট জনসংখ্যা ছিল ৩,১৯,২২১ জন ও পরিবার সংখ্যা ৬০,৯১৯টি। এই উপজেলার প্রতি প্রতি ১০০ জন মহিলার (৫২.৪%) বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ৯১ জন (৪৭.৬%)। মোট জনসংখ্যার ৪২.৪% শিশু (০-১৪ বছর)। জনসংখ্যার অধিকাংশই ইসলামের অনুসারী (৯৫.৭%)। বাকি ৪.৩% হিন্দু ধর্মের অনুসারী। কসবা উপজেলার গড় সাক্ষরতার হার ৫০.৭%  (৭+)। প্রথম বিয়ের ক্ষেত্রে  পুরুষদের গড় বয়স ২৪.৪ বছর এবং মহিলাদের গড় বয়স ১৯.৮ বছর। [9]

জলবায়ু

ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ুর অন্তর্গত। এ উপজেলায় গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত এই তিনটি ঋতুর প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মে মাসে ৩০ ডিঃসেঃ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ডিঃসেঃ পরিলক্ষিত হয়। জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ ও স্বাস্থ্যকর। বার্ষিক সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১১৪.৬৫ ইঞ্চি এবং সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত ৫৬.৪৩ ইঞ্চি এবং গড় বৃষ্টিপাত ৭৮.০৬ ইঞ্চি।

দর্শনীয় স্থান

  • কুল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধ
  • লক্ষীপুর (গোপীনাথপুর) শহীদ মুক্তি যোদ্ধা সমাধিস্থল
  • কোরআন ভাস্কর্য
  • পুড়া রাজার জাঙ্গাল - তিলক পীর থেকে বল্লভপুর পর্যন্ত
  • শ্রী শ্রী আনন্দময়ী আশ্রম ও জন্ম ভিটা - খেওড়া
  • ধর্মসাগর
  • গুনসাগর - জাজিয়ারা
  • রামসাগর - মাইজখার
  • ব্লু স্কাই পার্ক - বল্লভপুর-শিমরাইল কেন্দ্রবিন্দু
  • বর্ডার হাট
  • বড় মসজিদ - জাজিসার
  • রাজ বাড়ি-জাজিয়ারা
  • কল্যাণ সাগর
  • ব্রাহ্মণগ্রাম রেল ব্রিজ
  • মজলিশপুর স্টিল ব্রিজ
  • কসবা মডেল মসজিদ

শিক্ষা ব্যবস্থা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কসবা উপজেলার সাক্ষরতার হার ৫০.৭%। [2] এখানে রয়েছে:

  • সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা: ১৬০টি
  • কিন্ডার গার্টেন: ৫৪টি
  • উচ্চ বিদ্যালয়: ৩৯টি

সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়: ২টি

  • নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ২টি
  • মাদ্রাসা: ২৩টি

দাখিল মাদ্রাসা: ১৬টি, সিনিয়র মাদ্রাসা: ৭টি, স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা: ২টি

  • কলেজের সংখ্যা: ৮টি
  • মহিলা কলেজের সংখ্যা: ৩টি
  • গণশিক্ষা পাঠাগার: ১১টি
  • টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট: ০১টি

[10]

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

  • পুরকুইল গাউছিয়া হাবিবিয়া ফাযিল মাদরাসা
  • শিক্ষা সদন বায়েক উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৫)
  • জাজিসার সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয় (১৯৪১)
  • সিরাজুল হক উচ্চ বিদ‍্যালয় (১৯৪৭)
  • কসবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯৯)
  • লিয়াকত আলী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৮৫)
  • রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়
  • শিমরাইল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২১)
  • কুটি অটল বিহারী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৮)
  • জমশেরপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৩)
  • খেওড়া আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭৫)
  • কসবা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
  • মইনপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৩)
  • মজলিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • সানমুন কিন্ডার গার্টেন(১৯৯৮)
  • চন্ডিদ্বার উচ্চ বিদ্যালয়(১৯৪৮)
  • খাড়েরা মোহাম্মাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,খাড়েরা
  • আড়াইবাড়ী ইসলামীয়া সাঈদীয়া কামিল মাদ্রাসা

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য সেবাদানের জন্য রয়েছে:

  • উপজেলা স্থাস্থ্য কেন্দ্র - ১টি;

কৃষি

এখানকার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কৃষক। প্রধান ফসলঃ ধান, গম, বিভিন্ন ধরনের সব্জী। লুপ্ত বা লুপ্ত প্রায় শষ্যাদিঃ কাউন, আউস ও আমন ধান, পাট ও অড়হর ডাল।

অর্থনীতি

  • কুটির শিল্প - মৃৎ শিল্প, সূচী-শিল্প।
  • রপ্তানী পণ্য - শাক-সবজি
  • মাছ চাষ

যোগাযোগ ব্যবস্থা

রেলপথে আগে কোনো ট্রেন যাত্রাবিরতি দিতো না। বর্তমানে মহানগর এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতি দেয়। কসবা উপজেলার সড়কপথ ভালো নয়। শহরে কোনো বাস টার্মিনাল নেই। তাদেরকে কুটি/ব্রাহ্মণবাড়িয়া/কুমিল্লা বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা বা চট্টগ্রাম/ সিলেট যেতে হয়।

কসবা রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচি:

ট্রেন নং নাম ছুটির দিন হতে প্রস্থান গন্তব্য পৌঁছাবে
৭১১ উপকুল এক্সপ্রেস বুধবার কসবা ০৮:৩৮ ঢাকা 11:45
৭১২ উপকুল এক্সপ্রেস মঙ্গলবার কসবা ১৮:২৫ নোয়াখালী 21:20
৭১৯ পাহাড়িকা এক্সপ্রেস সোমবার কসবা ১১:১৫ সিলেট 18:00
৭২০ পাহাড়িকা এক্সপ্রেস শনিবার কসবা ১৫:৪৫ চট্টগ্রাম 19:35
৭২১ মহানগর এক্সপ্রেস রবিবার কসবা ১৫:৫৮ ঢাকা 19:10
৭২২ মহানগর এক্সপ্রেস রবিবার কসবা ০০:৪০ চট্টগ্রাম 04:50
৮০১ চট্টলা এক্সপ্রেস মঙ্গলবার কসবা ১২:৪০ ঢাকা 15:50
৮০২ চট্টলা এক্সপ্রেস মঙ্গলবার কসবা ১৬:২৭ চট্টগ্রাম 20:30

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

নদ-নদী

  • সালদা নদী — ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে উৎপত্তি লাভ করে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারপর এটি কিছুদুর প্রবাহিত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বুড়ি নদীতে পতিত হয়েছে।
  • বিজনা নদী

হাট-বাজার ও মেলা

কুটি বাজার, কসবা বাজার, নয়নপুর বাজার, ব্রাহ্মনগ্রাম মজলিশপুর বাজার, সালদানদী বাজার, মন্দবাগ বাজার, গোপীনাথপুর বাজার, চন্ডীদ্বার বাজার, চারগাছ বাজার‚চারগাছ মেলা‚মেহারী বাজার‚মেহারী বৈশাখী মেলা‚বাদৈর বাজার ও বল্লভপুর কডুর মেলা, বালিয়াহুড়া বাজার, অষ্টজঙ্গল বাজার, কোল্লাপাথর-সাগরতলা বাজার, অনন্তপুর বাজার, মাদলা বাজার, বায়েক চৌমুহনী বাজার, কায়েমপুর বাজার, মঈনপুর বাজার, কালতা বাজার, শাহপুর বাজার, জয়নগর বাজার, রাজনগর বাজার, ধজনাগর বাজার, বড়ঠোটা বাজার, রামপুর বাজার, বড়মুড়া পাখি মার্কেট বাজার, গোসাইস্হল মেলা, রামপুরের মেলা, বাড়াই বাজার, মধুপুর বাজার, পানিয়ারুপ বাজার।

আরও দেখুন

এক নজরে কসবা উপজেলা :(২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী)== তথ্যসূত্র ==

  1. "3739 - কসবা উপজেলা-NULL"kasba.brahmanbaria.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৭-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১৮
  2. "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৯
  3. "Election Commission Bangladesh - Home page"www.ecs.org.bd
  4. "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)ecs.gov.bdবাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯
  5. "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  6. "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  7. "জয় পেলেন যারা"দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  8. "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  9. "Population and Housing Census 2011: Zila Report: Brahmanbaria" (পিডিএফ)Bangladesh Bureau of Statistics। অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৮
  10. এক নজরে কসবা উপজেলা :(২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী)
  11. "প্রখ্যাত আইনজ্ঞ সিরাজুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত - শেষ পাতা"

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.