কল্যাণ শেখর
কল্যাণ শেখর পঞ্চকোট রাজ্য শাসনকারী শেখর রাজবংশের একান্নতম রাজা ছিলেন।
কল্যাণ শেখর | |
---|---|
পঞ্চকোট রাজ্যের রাজা | |
রাজত্ব | ১২৯০-১৩১৬ |
পূর্বসূরি | ভবানী শেখর |
উত্তরসূরি | চন্দন শেখর |
বংশধর | চন্দন শেখর সাগর শেখর নাগর শেখর চামর শেখর |
রাজবংশ | শেখর রাজবংশ |
পিতা | ভবানী শেখর |
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
কল্যাণ শেখর পঞ্চকোট রাজ্য শাসনকারী শেখর রাজবংশের পঞ্চাশতম রাজা ভবানী শেখরের পুত্র ছিলেন। তিনি ১২৯০ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৩১৬ খ্রিস্টাব্দ পর্য্যন্ত রাজ্য শাসন করেন। তিনি বরাকর নদের তীরবর্তী চাল্লাদহ নামক স্থানে কল্যাণেশ্বরী মন্দির নির্মাণ করেন।[1]:৩৭-৩৮ এছাড়া তিনি অষ্টধাতুনির্মিত চতুর্ভুজা, মুণ্ডমালাশোভিতা রাজরাজেশ্বরী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন, যা বর্তমানে কাশীপুর রাজবাড়ীতে অবস্থিত।[1]:৪২ চন্দন শেখর, সাগর শেখর, নাগর শেখর ও চামর শেখর নামক তাঁর চার পুত্র ছিল।[1]:৪৩
কিংবদন্তি
কল্যাণ শেখর দ্বারা কল্যাণেশ্বরী মন্দির নির্মাণকে ঘিরে রাঢ় অঞ্চলে কিংবদন্তি চালু রয়েছে। প্রচলিত লোককথা অনুসারে, কল্যাণ শেখরের সঙ্গে সেন রাজা বল্লাল সেনের কন্যা সাধনার সঙ্গে বিবাহ হয়। বিবাহের যৌতুক হিসেবে কল্যাণ শেখর সেন রাজবংশের কুলদেবী শ্যামারূপার মূর্তি ও তার হাতের তলোয়ারটিকে চেয়ে নেন এবং বিবাহের পরে বরাকর নদের তীরে এই দেবীমূর্তিকে কল্যাণেশ্বরী মন্দির স্থাপন করেন।[1]:৩৮-৪২ কিন্তু এই ঘটনার কোন ঐতিহাসিক সত্যতা নেই বললেই চলে। শেখর রাজবংশের বিভিন্ন বংশতালিকায় কল্যাণ শেখরের রাজত্বকালের সময় সঠিক বলে গণ্য করা হলে, বল্লাল সেন ও তাঁর পুত্র লক্ষ্মণ সেন যে কল্যাণ শেখরেরর একশত বছর পূর্বেকার শাসক ছিলেন, একথা অনস্বীকার্য্য।[1]:৮
তথ্যসূত্র
- রাখালচন্দ্র, চক্রবর্তী (২০১৩) [১৯৩৩]। দিলীপ কুমার গোস্বামী, সম্পাদক। পঞ্চকোট ইতিহাস (চতুর্থ সংস্করণ)। বজ্রভূমি প্রকাশনী, বিদ্যাসাগর পল্লী, সাউথ লেক রোড, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ -৭২৩১০১।
কল্যাণ শেখর শেখর রাজবংশ | ||
রাজত্বকাল শিরোনাম | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ভবানী শেখর |
পঞ্চকোট রাজ্যের রাজা ১২৯০-১৩১৬ |
উত্তরসূরী চন্দন শেখর |