কল্পনা সরোজ

কল্পনা সরোজ একজন ভারতীয় নারী উদ্যোক্তা এবং টেডেক্স (টেকনোলজি, এন্টারটেইনমেন্ট, ডিজাইন) বক্তা।[1] তিনি ভারতের মুম্বইয়ের কামানি টিউবসের প্রধান।

কল্পনা সরোজ
২০১৩ সালে কল্পনা সরোজ
জন্ম১৯৬১
রোপারখেড়া, মহারাষ্ট্র, ভারত
জাতীয়তাভারতীয়
দাম্পত্য সঙ্গীসমীর সরোজ (বি. ১৯৮০; মৃ. ১৯৮৯)
শুভকরণ
সন্তানসীমা সরোজ, আমার সরোজ
ওয়েবসাইটwww.kalpanasaroj.com

সত্যিকারের "স্লামডগ মিলিয়নেয়ার" হিসাবে বর্ণিত, তিনি কামানী টিউবস কোম্পানির দুর্দশাগ্রস্ত সম্পদ কিনেছিলেন এবং সফলভাবে উক্ত কোম্পানিকে লাভের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন।[2]

প্রারম্ভিক জীবন

সরোজ ১৯৬১ সালে ভারতের মহারাষ্ট্রের রোপারখেড়া গ্রামের একটি মারাঠি বৌদ্ধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন, তিনি তিন কন্যা ও দুই পুত্রের মধ্যে বড়। তিনি পাসি দলিত সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। সরোজের বাবা রোপারখেড়া গ্রামের অকোলায় এক পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। কল্পনা সরোজ মাত্র ১২ বছর বয়সে বিবাহ করেছিলেন এবং মুম্বাইয়ের একটি বস্তিতে স্বামীর পরিবারের সাথে থাকতে শুরু করেছিলেন। স্বামীর পরিবারের সদস্যদের হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরে, তাঁর পিতা তাঁকে উদ্ধার করেছিলেন, অতঃপর তিনি স্বামীকে ছেড়ে তাঁর বাবা মায়ের সাথে বসবাস করতে গ্রামে ফিরে এসেছিলেন। গ্রামবাসীর তাঁকে একঘরে করে দেওয়ায় তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।[2] মাত্র ১৬ বছর বয়সে, তিনি তাঁর মামার সাথে বসবাস করতে ফিরে মুম্বই চলে এসেছিলেন। তিনি তাঁর পরিবারকে সহায়তা করার জন্য একটি পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করেছিলেন। তফসিলি বর্ণের লোকদের জন্য সরকারী ঋণ ব্যবহার করে তিনি সফলভাবে সেলাইয়ের ব্যবসা এবং তারপরে একটি আসবাবের দোকান শুরু করেছিলেন।

উদ্যোক্তা উদ্যোগ

কল্পনা সরোজ কেএস ফিল্ম প্রোডাকশন শুরু করেছিলেন এবং তাঁর প্রথম চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছিলেন; যা ইংরেজি, তেলুগু এবং হিন্দি ভাষায় ডাব করা হয়েছিল। কল্পনা সরোজের ব্যানারে খাইরালঞ্জি নামক চলচ্চিত্রটি দীলিপ মাস্কে, জ্যোতি রেড্ডি এবং মান্নান গোরে প্রযোজনা করেছিলেন।

তিনি একটি সফল স্থাবর সম্পদের (রিয়েল এস্টেট) ব্যবসা তৈরি করেছেন এবং তাঁর উদ্যোক্তা দক্ষতার জন্য তিনি বেশ পরিচিতি লাভ করেছিলেন। ২০০১ সালে কামানী টিউবসের পরিসমাপনে (লিকুইডেশন) যাওয়ার সময় তিনি বোর্ডের একজন সদস্য ছিলেন এবং এই সংস্থার দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এটি পুনর্গঠন করে লাভের রাস্তায় ফিরিয়ে এনেছিলেন।[3][4][5]

তাঁর নিজের অনুমান অনুসারে, তাঁর ১১২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ব্যক্তিগত সম্পত্তি রয়েছে।[6]

ব্যক্তিগত জীবন

সরোজ একজন আম্বেডকর ভক্ত এবং বৌদ্ধ।[7][8][9] ১৯৮০ সালে, তিনি মাত্র ২২ বছর বয়সে সমীর সরোজের সাথে পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন; যার সাথে তাঁর একটি পুত্র এবং একটি কন্যা সন্তান রয়েছে, যাদের নাম যথাক্রমে অমর সরোজ (জন্ম: ১৯৮৫) এবং সীমা সরোজ (জন্ম: ১৯৮৭)।[10][11][12] ১৯৮৯ সালে, তাঁর স্বামী মারা যান এবং সরোজ তাঁর ইস্পাত আলমারি উৎপাদন ব্যবসায়টি উত্তরাধিকার সূত্রে পান।[13] তিনি বর্তমানে শুভকরণের সাথে বিবাহ বন্ধনে আছেন।

তথ্যসূত্র
  1. The Power of 2 | Kalpana Saroj | TEDxHyderabad
  2. "From child bride to multi-millionaire in India"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৩।
  3. "Former child bride grows up to be millionaire CEO"। MSN। ৯ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৩।
  4. "Dalits seek escape from India's caste system"। Al Jazeera News। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৩।
  5. "India woman is an 'untouchable,' with a Midas touch"। LA Times। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৩।
  6. "Remarkable Climb for Self-Made Dalit Millionaire"। India Real Time-Wall Street Journal। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৩।
  7. Pronoti, Datta (২৯ মে ২০১০)। "Caste No Bar"। The Crest Mumbai। ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৮।
  8. "Kalpana – Symbol of true grit"। The Hans India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১৬।
  9. https://indianexpress.com/article/business/meet-kalpana-saroj-dalit-entrepreneur-who-broke-corporate-hegemony/
  10. "Kalpana Saroj - slumdog billionaire and more"। Thaindian News। ২০১৮-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১৬।
  11. Sengupta, Hindol (২০১৪-১১-১৮)। Recasting India: How Entrepreneurship is Revolutionizing the World's Largest Democracy (ইংরেজি ভাষায়)। St. Martin's Press। আইএসবিএন 9781137474780।
  12. "Meet Kalpana Saroj, Dalit entrepreneur who broke corporate hegemony"। The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৬-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১৬।
  13. "Saga of steely resolve"। dna (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৬-০৭-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১৬।

বহিঃসংযোগ
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.