কলাস্থানবিদ্যা

কলাস্থানবিদ্যা (ইংরেজি: Histology) বিশুদ্ধ উদ্ভিদবিজ্ঞানপ্রাণীবিজ্ঞানের একটি প্রধান শাখা, এ শাখায় বহুকোষী জীবেদের (অর্থাত প্রাণী ও উদ্ভিদ) বিভিন্ন কলার অবস্থান, গঠন, আকার, আয়তন ও কাজ সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়। [1][2][3][4] কোষবিজ্ঞান বা সাইটোলজি (cytology) ও কলাবিজ্ঞানের (হিস্টোলজি) প্রধান পার্থক্য হল কোষ বিজ্ঞানে মূলতঃ আলাদা আলাদা ভাবে ভাসমান কোষেদের বর্ণনা করা হয়। কলার মধ্যে অবস্থান কালে কোষের জে ত্রিমাত্রিক আকৃতি থাকে, বিচ্ছিন্ন ভাবে ভাসমান কোষে তা থাকে না। ফলে কোষের আকৃতি কেবল কলা বিজ্ঞানে কাজে লাগে কোষবিজ্ঞানে কোন কাজে আসে না। কোষবিজ্ঞান প্রধানত কেন্দ্রকের (নিউক্লিয়াস) চেহারা ও সাইটোপ্লাস্মের আয়তন ও রংএর পার্থক্য দ্বারা চালিত হয়। কলাবিজ্ঞানে শুধু কোষেদের আকৃতিই নয়, কোষদের অবস্থান, পারস্পরিক নৈকট্য ও আন্তঃকোষীয় সংযোগ, ও ধাত্র ইত্যাদির সাহাযয়ে কলার পরিচয়, কলার মধ্যে কোন অসঙ্গতি আছে কিনা, পরিচয়হীন কলার উ্তপত্তিগত সূত্র, অসমবৃদ্ধি, অবৃদ্ধি, অতিবৃদ্ধি ও কর্কট্রোগের সম্ভাবনা ইত্যাদি সন্ধান করা হয়।

মাইক্রোস্কোপে দৃশ্য মানবদেহের ফুসফুসের কলার নমুনা

কলাস্থানিজ্ঞানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছে কলারসায়ন (Histochemistry) যাতে কলার উপর নানা রকম রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কলাকে নানা রঙে রঞ্জিত করে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে দেখার উপযোগী করা হয়।


তথ্যসূত্র

  1. "Histology | physiology"Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২৯
  2. "DefinedTerm: Histology"Defined Term (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১০-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২৯
  3. Maximow, Alexander A.; Bloom, William (১৯৫৭)। A textbook of Histology (Seventh সংস্করণ)। Philadelphia: W. B. Saunders Company।
  4. Leeson, Thomas S.; Leeson, C. Roland (১৯৮১)। Histology (Fourth সংস্করণ)। W. B. Saunders Company। পৃষ্ঠা 600আইএসবিএন 978-0721657042।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.