করোনেশন সেতু
করোনেশন ব্রিজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গরাজ্যের সেবকে অবস্থিত। এটি রোডওয়ে ব্রিজ ও সেবক সেতু নামেও পরিচিত। সেতুটি তিস্তা নদীর উপর নির্মিত হয়েছে এবং দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা দুটিকে সংযুক্ত করেছে। সেতুটি ১৭ নং জাতীয় সড়কের (পুরানো - জাতীয় সড়ক ৩১) অংশ। এই সেতুটি সেবক রেলওয়ে সেতুর সমান্তরালে বিস্তৃত, যা প্রায় ২ কিমি দূরে তিস্তা নদীর উপর অবস্থিত।
করোনেশন ব্রিজ | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২৬°৫৪′১০″ উত্তর ৮৮°২৮′২৩″ পূর্ব |
বহন করে | একটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী লেন |
অতিক্রম করে | তিস্তা নদী |
স্থান | সেবক, পশ্চিমবঙ্গ |
অন্য নাম | সেবক সেতু |
বৈশিষ্ট্য | |
নকশা | খিলান সেতু |
ইতিহাস | |
চালু | ১৯৪১ |
পরিসংখ্যান | |
টোল | না |
অবস্থান | |
সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর বাংলার তৎকালীন গভর্নর জন অ্যান্ডারসন ১৯৩৭ সালে স্থাপন করেন। সেতুর নির্মাণ কাজ ১৯৪১ সালে ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছিল এবং এটির নামকরণ ১৯৩৭ সালে রাজা ষষ্ঠ জর্জ ও রাণী এলিজাবেথের রাজ্যাভিষেকের স্মরণে করা হয়েছিল।[1]
সেতুটির এক দিকের প্রবেশপথে দুটি বাঘের মূর্তি থাকায় স্থানীয়রা সেতুটিকে বাগপুল বা বাঘের সেতু বলে ডাকে। এই সেতুটির নকশা, অঙ্কন ও পরিকল্পনা দার্জিলিং ডিভিশন পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের (পিডব্লিউডি) শেষ ব্রিটিশ এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জন চেম্বারস করেছিলেন। বোম্বে থেকে আগত মেসার্স জেসি গ্যামনকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেতুটি রিইনফোর্সড কংক্রিট পদ্ধতিতে নির্মিত হয়েছিল। যেহেতু জলের গভীরতা ও স্রোতের কারণে তিস্তা নদীর তলদেশ থেকে খুটি তৈরি সম্ভব ছিল না, তাই পুরো সেতুটি একটি নির্দিষ্ট খিলান আটকানো ছিল, যার দুটি প্রান্ত নদীর উভয় পাশে পাথরের উপর স্থাপন করা হয়েছিল।
চিত্রশালা
- করোনেশন সেতুর একটি সাম্প্রতিক ছবি (২০২১ সাল)
- করোনেশন সেতুর উপরে যানবাহন চলাচলের পথ
- সেতু, তিস্তা নদী ও সুরজাদ্য সূর্যাদয়
- নদীর তীর থেকে সেতুর দৃশ্য
তথ্যসূত্র
- "Archived copy"। ২৯ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১১।