কম্পো নদী

কম্পো নদী আত্রাই নদীর একটি শাখা নদী।

কম্পো নদী
কম্পো নদীর দৃশ্য
কম্পো নদীর দৃশ্য
দেশসমূহ  বাংলাদেশ,  ভারত
উৎস আত্রাই নদী

উৎপত্তি

আত্রাই নদী থেকে উৎপত্তি কম্পো নদী। ভবানীগঞ্জ পৌরসভা থেকে শুরু করে হাটগাঙ্গোপাড়া পর্যন্ত এর বিস্তার। পশ্চিম বাগমারার সকল খাল ও বিলের পানির প্রধান উৎস এই কম্পো নদী।

রাজশাহী জেলার এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। কোলাবিল, বিল কালাই, বিলশনি, বিল সূতি, বিল মাললী, জোকার বিল, যশোবিল,মরা বিল, হাতিয়ার বিল, উধাঢুল বিল,দরগাতা বিল ইত্যাদি বিলের পানির প্রধান উৎস। যা পশ্চিম বাগমারার ফসল উৎপাদনে সাহায্য করে।

নামকরণ

এই নদীর পানি মিঠা ও স্বচ্ছ। এর দৈর্ঘ্য বড় হলেও প্রস্থের দিক দিয়ে খুবই কম। এই নদীর পানি কম্পনের মতো কাপে বলে এর নামকরণ করা হয় কম্পো নদী বলে,অনেকের ধারনামতে।

তবে কারো কারো ধারণা মতে,এই নদীতে প্রচুর পরিমাণ দেশি জাতীয় মাছ পাওয়া যেতো। আর এসব মাছের লাফালাফিতে নদীর পানি কম্পনের মতো হতো, তাই এর নাম দেওয়া হয় কম্পো নদী।

প্রাকৃতিক মাছের উৎস

এই নদীতে নানানরকম প্রাকৃতিক মাছ পাওয়া যায়। যদিও আগের থেকে এখন কম পাওয়া যায। কিছু কিছু মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তাছাড়া মাছের পনা অবস্থায় শিক্র করার জন্য মাছের পরিমাণ দবন দিন কমে যাচ্ছে।

বোয়াল,শোল,গজার,আঁইড়,টেংরা, শিং, টাকি,বাঘাপুটি,টিপপুটি,গুচি,চিংড়ি, বেলে,আইকড়,বাইম,পবদা, পাতাসি,নয়না ইত্যাদি ধরনের দেশি মাছ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য নয়না ও গজার মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু এক সময় এদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো।

অবদান

কম্পো নদী শুধু মাছ আর পানি দিয়ে পরিচিত ছিলনা। আগে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিল কম্পো নদী। ১৯৯০ সালের আগে নৌকা ছিল কম্পো নদীর বাহন। শুধু তাই নয় এই এলাকার বাসিন্দার দ্রুতগামী যানবাহন ছিল নৌকা। তাই কম্পো নদীর তীর ঘেষে তৈরি হয় বসতবাড়ি, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ,মাদ্রাসা আরও অনেক কিছু।

এই নদীর তীরে স্থাপিত হয়েছে সময়ের সাথে সাথে কিছু হাট বাজার। যেমন: হাট ভাবানীগঞ্জ,হাট মাধনাগর,জাপ জতীনগঞ্জ,হাট বাঁইগাছা, হাট গাঙ্গোপাড়া,হাট খুজিপুর ছাড়াও আরও অনেক বাজার।

  • হাট হচ্ছে সপ্তাহের নির্দিষ্ট এক বা দুই দিন আর বাজার হচ্ছে প্রতিদিনের কেনাবেচা।

আরও দেখুন

ছবি

তথ্যসূত্র

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.