কবিতা কে. বারজাতিয়া
কবিতা কে বারজাতিয়া (জন্ম: ১২ই নভেম্বর ১৯৭৭) হলেন একজন ভারতীয় টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক, যিনি রাজশ্রী প্রোডাকশনসের সাথে কাজ করেন, যেটি তাঁর পিতা মাতার পরিবারের মালিকানাধীন একটি চলচ্চিত্র সংস্থা।
কবিতা কে. বারজাতিয়া | |
---|---|
জন্ম | |
পেশা | প্রযোজক, পরিচালক |
কর্মজীবন | ২০০৩–বর্তমান |
আত্মীয় | সুরজ বারজাতিয়া (সম্পর্কিত ভাই) |
পটভূমি
কবিতা বারজাতিয়া ১৯৭৭ সালের ১২ই নভেম্বর তারিখে ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি রাজশ্রী প্রোডাকশনের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমলকুমার বারজাতিয়ার কন্যা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা তারাচাঁদ বারজাতিয়ার নাতনী,[1] যিনি ১৯৪৭ সালে রাজশ্রী প্রোডাকশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কবিতা বারজাতিয়া মুম্বইয়ের একটি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তিনি সিডেনহ্যাম কলেজ থেকে ডিগ্রি অর্জন করার পর এনএমআইএমএস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।[2]
ব্যক্তিগত জীবন
তিনি একজন প্রশিক্ষিত কণ্ঠশিল্পী এবং কত্থক নৃত্যশিল্পী। তিনি বেশ কয়েকটি সরাসরি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেছেন; তিনি বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রও বাজাতে পারেন। কবিতার এক ব্যক্তির সাথে বিবাহ হয়েছিল, যেটি মাত্র ১০০ দিন স্থায়ী হয়েছিল। এটিই ছিল তাঁর জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং তার পর থেকে তিনি তাঁর জীবনের লক্ষ্যে মনোনিবেশ করেন।[3]
পেশা
ভারতীয় বিনোদন শিল্পে কবিতা বারজাতিয়া ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হুঁ-এ কাজ করার মাধ্যমে অভিষেক করেছেন, যেখানে তিনি তাঁর সম্পর্কিত ভাই, সুরজ বারজাতিয়ার সাথে সহ পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।[4] ২০০৪ সালে, সুরজ বারজাতিয়ার নির্দেশনায় তিনি কাজ করা শুরু করেছিলেন।[4] রাজশ্রীর টিভি বিভাগটি ১৯৮৪ সালে চালু হয়েছিল এবং কবিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে, আট বছরেরও বেশি সময় ধরে সফলভাবে এর পরিচালনা করেছিলেন। রাজশ্রী প্রোডাকশনস ওহ রহনে ওয়ালী মহলোঁ কি, ইয়াহাঁ ম্যায় ঘর ঘর খেলি, দো হন্সো কা জোড়া-এর মতো টেলিভিশন ধারাবাহিক প্রযোজনা করেছে।[5] ২০১৩ সালে, কবিতা বারজাতিয়া চলচ্চিত্র নির্মাণে তাঁর অভিষেকের ঘোষণা দিয়েছিলেন; নির্মাতা হিসাবে তিনি সম্রাট অ্যান্ড কো-এ কাজ করার মাধ্যমে অভিষেক করেছিলেন; এই চলচ্চিত্রটি ২০১৮ সালের ১লা মে তারিখে মুক্তি পেয়েছে।[6][7]
কবিতা বারজাতিয়ার প্রথম স্বাধীন প্রকল্পটি ছিল টেলিভিশন ধারাবাহিক ওহ রহনে ওয়ালী মহলোঁ কি, এটি একটি পারিবারিক কাহিনী ছিল; যেটি ২০০৫ সালের ৩০শে মে তারিখ হতে রাত ৯:০০ টায় (আইএসটি) স্টার প্লাসে প্রচার করা হয়েছিল।[2] এই ধারাবাহিকটি ছয় বছর যাবত ১,৪০০ পর্ব প্রচার করেছিল।[8] এবং এটি বেশ কয়েকটি পুরস্কার জয় করেছিল। কবিতার পরবর্তী প্রযোজনা ছিল, পেয়ার কে দো নাম: এক রাধা, এক শ্যাম, যেটি ২০০৬ সালের ৩রা এপ্রিল তারিখ হতে স্টার প্লাসে রাত ৮টায় (আইএসটি) প্রচার করা হয়েছিল।[9] এই ধারাবাহিকের গল্পটি পুনর্জন্ম ধারণা এবং কীভাবে চিরস্থায়ী প্রেম স্থায়ী হয় তার ওপর ভিত্তি করে রচিত।[10]
কবিতা বারজাতিয়া আইটিএ স্কুল অফ পারফর্মিং আর্টসের উপদেষ্টা বোর্ডের একজন সদস্য।[11]
তথ্যসূত্র
- "Kavita Barjatya forays into films with Samrat And Co"। Hindustan Times। ৭ মে ২০১৩। ২১ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৩।
- "Sister's turn to turn on the shine"। Deccan Herald। ২৪ জুন ২০০৫। ১৪ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৩।
- "Kavita Barjatya: Big Boss of the small screen!"। The Times of India। ২৭ জুলাই ২০১২। ৪ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৩।
- "Why should I shut my show?: Kavita Barjatya"। The Times of India। ৭ জানুয়ারি ২০১০। ১৯ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৩।
- "Kavita Barjatya forays into films with 'Samrat And Co'"। Zee News। ৭ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৩।
- "Rajshri Productions to make Samrat And Co"। Bollywood Hungama India। ৬ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৩।
- "Rajshri's Detective Saga Samrat And Co To Release"। Box Office India। ২৭ আগস্ট ২০১৩। ১৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৩।
- "Rajshri Productions' "Woh Rehne Waali Mehlon Ki" ends on a positive note"। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৩।
- "First Look of Pyaar Ke Do Naam: Ek Raadha, Ek Shyaam"। Rediff Movies। ৩ এপ্রিল ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৩।
- "View from the Couch on April 3"। The Telegraph – Subhash K. Jha। ১০ মার্চ ২০০৬।
- "Advisory Board"। The ITA School of Performing Arts। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৩।