কওমী তারানা

কওমী তরানা (উর্দু: قومی ترانہ, উচ্চারিত [ˈqɔːmiː təˈɾaːnə], আ. অ. “জাতীয় সংগীত”), যা পাক সরজমীন (উর্দু: پاک سرزمین, উচ্চারিত [ˈpɑːk ˈsəɾzəmiːn], আ. অ.পবিত্রভূমি) হিসেবেও পরিচিত, হল ইসলামি প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত। ১৯৫২ সালে হাফিজ জলন্ধরী এটি রচনা করেন এবং তারও পূর্বে ১৯৪৯ সালে আহমদ গোলাম আলী ছাগলা এর সুর প্রদান করেন। ধ্রুপদী উর্দুতে রচিত হলেও গানটি অত্যাধিক ফার্সি প্রভাবিত এবং এতে পাকিস্তানের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা উর্দু ভাষার ‘কা’ শব্দটি কেবল ব্যবহৃত হয়েছে—ফলে উর্দু ও ফার্সি উভয় ভাষায় গানটি পারস্পরিক বোধগম্য[1][2][3]

قومی ترانہ
কওমী তরানা
কওমী তরানার স্বরগ্রাম

 পাকিস্তান-এর জাতীয় সঙ্গীত
হিসেবেও পরিচিত“পাক সরজমীন”
বাংলা: “পবিত্র ভূমি”
কথাহাফিজ জলন্ধরী, জুন ১৯৫২
সুরআহমদ গোলাম আলী ছাগলা, ২১ আগস্ট ১৯৪৯
গ্রহণের তারিখ১৩ আগস্ট ১৯৫৪
সঙ্গীতের নমুনা
কওমী তরানা (যান্ত্রিক)

১৯৫৪ সালের আগস্টে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়[1] এবং ওই একই বছর আহমদ রুশদি, কওকাব জাহান, রশীদা বেগম, নাজম আরা, নসীমা শাহীন, জওয়ার হোসাইন, আখতার আব্বাস, গোলাম দস্তগীর, আনোয়ার জহির, আখতার ওয়াসী আলী-সহ পাকিস্তানের এগারোজন প্রধান গায়ক গানটি রেকর্ড করেন।[4]

সংগীত

১৯৪৯ সালে পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী ও সুরকার আহমেদ জি সাগলা এটিতে সুর এবং প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য উভয় সংগীতের ছাপ প্রতিফলিত হয়। একুশটি বাদ্যযন্ত্র[5] এবং আটত্রিশটি ভিন্ন সুর কওমি তারানা বাজানোর জন্য ব্যবহৃত হয়[6], যার সময়কাল ছিল ৮০ সেকেন্ড।[7]

সঙ্গীতের কথা

উর্দু
كشورِ حسين شاد باد پاک سرزمین شاد باد
ارضِ پاکستان! تُو نشانِ عزمِ عالی شان
مرکزِ یقین شاد باد
قوّتِ اُخوّتِ عوام پاک سرزمین کا نظام
پائنده تابنده باد! قوم، ملک، سلطنت
شاد باد منزلِ مراد
رہبرِ ترقّی و کمال پرچمِ ستاره و ہلال
جانِ استقبال! ترجمانِ ماضی، شانِ حال
سایۂ خدائے ذوالجلال
প্রতিবর্ণীকরণ

পাক সরজ়মীন শাদ বাদ,
কিশ্ৱর-এ-হসীন শাদ বাদ,
তূ নিশান-এ-অজ়্ম-এ-আলী শান
অর্জ়-এ-পাকিস্তান!
মরকজ়-এ-য়ক়ীন শাদ বাদ।

পাক সরজ়মীন কা নিজ়াম,
কুৱ্ৱত-এ-উখ়ুৱ্ৱত-এ-অৱাম,
ক়ৌম, মুল্ক, সলতনত
পায়িন্দা তাবিন্দা বাদ!
শাদ বাদ মনজ়িল-এ-মুরাদ।

পরচম-এ-সিতারা-ও-হিলাল
রহবর-এ-তরক়্ক়ী-ও-কমাল,
তরজুমান-এ-মাজ়ী, শান-এ-হাল,
জান-এ-ইস্তিক়বাল,
সায়া-য়ে-খ়ুদা-য়ে জ়ুল-জলাল।

বঙ্গানুবাদ[8]

হে পুণ্যভূমি আনন্দিত থাক,
হে রূপসী দেশ আনন্দিত থাক,
তুই মহান সঙ্কল্পের চিহ্ন,
হে পাকিস্তান ভূখণ্ড!
বিশ্বাসের কেন্দ্র আনন্দিত থাক।

হে পুণ্যভূমির সুশৃঙ্খলা,
আম-জনতার ভ্রাতৃত্বের ক্ষমতা,
জাতি, দেশ, রাষ্ট্র,
চির দীপ্তিমান থাক!
আনন্দিত থাক আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য।

তারা ও অর্ধচন্দ্রের পতাকা,
উন্নয়ন ও উৎকর্ষের নেতা,
অতীতের অনুবাদক, বর্তমানের মহিমা,
ভবিষ্যতের আত্মা!
অত্যুত্তম পরমেশ্বরের ছায়া।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Information of Pakistan"। Infopak.gov.pk। ২০০৭-১০-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-৩১
  2. Vatanka, Alex,। Iran and Pakistan : security, diplomacy and American influence। London। পৃষ্ঠা ১৪। আইএসবিএন 978-1-78453-214-7। ওসিএলসি 917136168
  3. "The national anthem of Pakistan"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৮-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৬
  4. "Death Anniversary of Ahmed Rushdi"Duniya News। ১৪ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  5. Jafari, Aqeel Abbas। Pakistan Chronicle। করাচি: Wirsa Publishers। পৃষ্ঠা ৪২। আইএসবিএন 978-969-9454-00-4। ওসিএলসি 643571356
  6. Mazhar Iqbal, Mazhar.dk। "National Anthem of Pakistan"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৪-১২
  7. Information Ministry, Government of Pakistan। "Basic Facts"। ২০০৬-০৪-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৪-১২
  8. Alex Vatanka। Iran and Pakistan: Security, Diplomacy and American Influence। I.B.Tauris। পৃষ্ঠা 14। আইএসবিএন 9780857739155।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.