(আ-ধ্ব-ব: [k], প্রাচীন ব্রাহ্মীরূপ:𑀓) হলো বাংলা বর্ণমালার প্রথম ব্যঞ্জনবর্ণ এবং ১২তম বর্ণ। ‘ক’ হলো একটি পূর্ণমাত্রাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ।

ব্যবহার
লিখনপদ্ধতিবাংলা লিপি
ধরনশব্দীয় বর্ণমালা লিপি
উৎপত্তির ভাষাবাংলা ভাষা
ইউনিকোড মানU+0995
বর্ণমালায় অবস্থান১২
ইতিহাস
ক্রমবিকাশ
অন্যান্য
লেখার দিকবাম থেকে ডানে

বর্ণনা

'ক' হলো বাংলা বর্ণমালার প্রথম বর্ণ এবং একই সাথে ব্রাহ্মী বর্ণমালারও প্রথম বর্ণ। এর আদিরূপ যোগ চিহ্নসদৃশ। বাংলা ভাষায় 'ক' আদ্যক্ষর রূপে বহুল ব্যবহৃত। ক-বর্গীয় ধ্বনিরও প্রথম ধ্বনি 'ক'। কখনো কখনো গণিতে অজ্ঞাত রাশি প্রকাশ করতে এই বর্ণটি ব্যবহার করা হয়।

ব্যবহার

স্বরবর্ণক'র সাথে যুক্ত হলে
কা
কি
কী
কু
কূ
কৃ
কে
কৈ
কো
কৌ

যুক্তবর্ণ

পৃথকরূপে যুক্তরূপ শব্দ
ক্ + ক ক্ক ছক্কা
ক্ + ট ক্ট অক্টোবর
ক্ + ত ক্ত রক্ত
ক্ + ত + র ক্ত্র বক্ত্র
ক্ + ব ক্ব পক্ব
ক্ + ম ক্ম রুক্মিনী
ক্ + য ক্য বাক্য
ক্ + র ক্র বক্র
ক + ল ক্ল ক্লেশ
ক্ + ষ ক্ষ ক্ষমা
ক্ + ষ + ণ ক্ষ্ণ তীক্ষ্ণ
ক্ + ষ + ম ক্ষ্ম সূক্ষ্ম
ক্ + ষ + য ক্ষ্য ভক্ষ্য
ক্ + স ক্স বাক্স
  • কিছু যুক্তবর্ণ ইংরেজি শব্দের জন্য সৃষ্টি হয়েছে। যেমন: ক্ + ট = ক্ট।
  • কিছু যুক্তবর্ণ সংস্কৃত ভাষায় ছিল। বাংলায় তা আর ব্যবহৃত নয়। যেমন: ক্ + ন = ক্ন।

ব্যঞ্জন সন্ধিতে ক

  • ক+অ = গ (দিক+অন্ত = দিগন্ত)
  • ক+দ = গ+দ (বাক+দান = বাগদান)
  • ম+ক = ঙ+ক (শম+কা = শঙ্কা)
  • ক+ন = গঙ+ন (দিক্+নির্ণয় = দিগ্‌নির্ণয়/দিঙ্‌নির্ণয়)

ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য

'ক'কে প্রথাগতভাবে কন্ঠ্যধ্বনি বলা হয়। তবে এর উচ্চারণস্থান জিহ্বামূল বা পশ্চাত্তালু।[1] ক ধ্বনি উচ্চারণের সময় নিঃশ্বাস ধীরে সংযোজিত হয়।তাই এটি অল্পপ্রাণ ধ্বনি। ক উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না বিধায় এটি অঘোষ ধ্বনি।

উদাহরণ

  • কং
  • ক্ষ
  • ঙ্ক
  • থা
  • কা
  • কাকা
  • কি
  • কি
  • কিছু
  • কী
  • কী
  • ণ্টক
  • ণ্ঠ
  • পাল
  • বি
  • কাব্য
  • কামড়
  • কা
  • লা
  • কামাই
  • কায়দা
  • কায়িক
  • কা
  • কান্ত
  • কান্না
  • কাপড়
  • কাবাব
  • কাবুব
  • কাব্য
  • কার্যক্রম
  • কার্য
  • কারাবাস
  • কার্যভার
  • কার্যকারী
  • কার্যকালাপ
  • কার্পাস
  • ষ্ট
  • ষা
  • হা
  • ল্য
  • ল্যাণ

কম্পিউটিং কোড

অক্ষর
ইউনিকোড নামবাংলা অক্ষর ক
এনকোডিংদশমিকহেক্স
ইউনিকোড2453U+0995
ইউটিএফ-৮224 166 149E0 A6 95
সংখ্যাসূচক অক্ষরের তথ্যসূত্রকক

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. আবদুল হাই, মুহম্মদ। ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব। ঢাকা।

বহিঃসংযোগ

  • উইকিঅভিধানে -এর আভিধানিক সংজ্ঞা পড়ুন।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.